বনানী গুলশান এলাকায় শিশা সহ মাদকের জমজমাট ব্যবসা চলছে

ঢাকায় অভিজাত এলাকা বনানী গুলশানে গড়ে উঠেছে খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্টের নামে শীশা লাউন্স, মাদক ও দেহ ব্যবসা রমরমা বানিজ্য। উঠতি বয়সের ধনীর দুলাল ও দুলালীরা এর প্রধান কাস্টমার। লাউন্স গুলো হলো: সিকনেচার, জাজ, আল-কোসিনো, এস, সিলবার, ইয়া-হাবিবি, মারবেলা, ৩২ ডিগ্রী, ব্লাকবিজ এর মধ্যে অন্যতম। সিকনেচার এর মালিক প্রফেসর মইনুল, দিপু ও চঞ্চল   ধ্রুব হলো গুলশান ও বনানী এলাকার মাফিয়া ডন. দুর্নীতিবাজ স্বরাষ্টমন্ত্রীর সহযোগী এই মাফিয়া ডন  ধ্রুব প্রায় বিদেশ সফর করে থাকেন। বিদেশ সফর কালীন সময় সে অবৈধ ভাবে নিষিদ্ধ মাদক আমদানি করে থাকেন।

বিভিন্ন সময় বিদেশ থেকে অবৈধ ভাবে আনিত মাদক দ্রব্য উপরে উল্লেখিত সিসা লাউন্স গুলোতে সরবরাহ করে থাকেন। সিকনেচার সর্বোচ্চ শেয়ার হোল্ডার হলেন ঢাকা মহানগর উত্তরের শেরে বাংলা নগরের জিয়া পরিষদ সহ- সভাপতি প্রফেসর মইনুল ইসলাম ওরফে সীসা মইনুল। এই ব্যাপারে অভিযুক্ত   ধ্রুবের সাথে টেলিফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ আংশিক সত্য বলে স্বীকার করেন। তিনি দৈনিক সকালের সময় প্রতিবেদককে বলেন, আমি সিসা বিক্রি করিনা। এবং আমার মালিকানাধীন কোনো অবৈধ লাউন্স নেই এবং জীবনে কারো সাথে কোনো রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পর্ক নেই। তবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেতাদের সাথে ছবি থাকতে পারে। একাধিক মেয়েদের সাথে অনৈতিক ছবি থাকতে পারে। যেহেতু আমি সিসা লাভার ধ্রুবোর কথা। কথার রেকট দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার অফিসে জমা রয়েছে। অন্যদিকে মাইনুল ওরফে জিয়া পরিষদের মইনুল সকালের সময়ের প্রতিবেদককে বলেন আমি এই ব্যবসার সাথে অর্থাৎ সিকনেচার হোটেলের সাথে ব্যবসায় জড়িত। যদি আপনার কিছু বলার থাকে বনানীতে আসেন চা খাই। 

এ ব্যাপারে বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাসেল সারোয়ার প্রতিবেদককে বলেন .রেস্টুরেন্টের নামে অনৈতিক ব্যবসা চালায় তা আমার জানা নেই, তথ্য প্রমাণ পেলে আমরা ব্যবস্থা নিব। এলাকার বসবাসকারী নিরীহ সাধারণ মানুষের দাবি বনানী গুলশান এলাকার এই চক্রটি ২৫ শে ডিসেম্বর বড় দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অবৈধ মাদক জমা করা হচ্ছে সিকনেচার লাউন্সে। এই অবৈধ মাদক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা উচিত।