ফ্যাসিষ্টের সহযোগী সাবেক প্রধান বিচারপতির সাথে ছবি তুলে প্রমোশন ও বদলি বাণিজ্য
সাংবাদিকতা একটি মহৎ পেশা। যিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন তাকে সাংবাদিক বলা হয়। সাংবাদিকরা হলো দেশ এবং জাতির বিবেক ও দর্পন স্বরুপ। কিন্তু বর্তমান সময়ে সাংবাদিকরা কি আদৌ নিজেকে সেই দর্পন ও বিবেকের ভুমিকায় নিজেকে নিতে পেরেছে? গুটি কয়েক সাংবাদিকের ব্যাক্তিগত দায়ভার সমগ্র সাংবাদিক সমাজের ওপর চাপালে ভূল হবে। তাই সাংবাদিকতাকে মহৎ পেশা হিসেবে না নিয়ে ব্ল্যাক মেইলিং এর মাধ্যমে ব্যাক্তিগত হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে সাংবাদিকতার ব্যানারে থেকে ভালো মানুষ সেজে দিব্যি চাঁদাবাজি করে রাতারাতি অঢেল সম্পত্তি ও টাকা পয়সার মালিক বনে গেছেন এসএসসি পাশ সাঈদ আহমেদ। বিনা ভোটের অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকারের দলীয় পরিচয় পুঁজি করে খুনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি, আমলা ও বিচারপতিদের সাথে সখ্যতা গড়তে বেগ পেতে হয়নি সাঈদের। গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ও প্রশাসনের পরতে পরতে দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে দেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিণত করে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটে নিয়েছে তাদের মধ্যে অন্যতম হলো দৈনিক ইনকিলাবের রিপোর্টার সাঈদ আহমেদ। সাঈদ সরকারের মন্ত্রী-এমপি না হলেও প্রশাসনের সর্বস্থরের অবাধে যাথায়াত থাকায় তার কথায় অনেক নিয়োগ, বদলি ও প্রমোশন বাণিজ্য হয়েছে শুধুমাত্র আওয়ামী ঘরণার সাংবাদিক ও ফ্যাসিষ্ট লীগের দলীয় পদের প্রভাবে।
কর্মজীবনে আওয়ামী ফ্যাসিষ্টদের সাথে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কলাকৌশলে এমপি ও মন্ত্রীর নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতারণার ও ব্ল্যাক মেইলিং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমান অর্থ বিত্তের মালিক হয়ে বিলাসী জীবন অতিবাহিত করে যাচ্ছে ফ্যাসিষ্ট লীগের হোতা সাঈদ। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিক, সাবেক আইনমন্ত্রী মরহুম আব্দুল মতিন খসরু এবং বাংলাদেশের সাবেক এটর্নী জেনারেল এর সাথে ছবি তুলে বিচারাঙ্গনে তার প্রভাব পতিপত্তির বিষয়টি জানান দেয়। খুলে গেলো তার অবৈধ ইনকামের পথ, পেয়ে গেলো আলাউদ্দিনের আচার্য প্রদীপ ও অবৈধ উপায়ে টাকা রোজগার করার লাইসেন্স, আর থাকাতে হয়নি পেছনে, থাকাতে হবেই বা কেন? একদিকে ফ্যাসিষ্টের দোসর সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইনমন্ত্রীর সাথে ছবি অন্যদিকে আওয়ামী খুনি হাসিনার দলের দলীয় পদ ও প্রভাব। এ সবকে কাজে লাগিয়ে ধূর্ত সাঈদ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে বিভিন্ন চলছাতুরী ও ব্ল্যাক মেইলিং করে হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা আর গড়েছেন একাধিক বাড়ি, গাড়ী ও নারী । আর অর্জিত এসব সম্পদ অবৈধভাবে লেনদেন তথা হস্তান্তর/স্থানান্তর/ রুপান্তর /গোপন করে পরবর্তীতে তা লেয়ারিং করত: বিদেশে পাচার করেছে। নিম্ম আদালতের এক একজন ম্যাজিষ্ট্রেটকে তাঁর পছন্দ অনুযায়ী জায়গায় পোষ্টিং করিয়ে নিতেন ৮০ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত। আবার উচ্চ আদালতে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের জামিন তদবির করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন। মহামান্য হাইকোর্ট এ প্রধান বিচারপতি ও এটর্নী জেনারেল এর রেফারেন্স দিয়ে বিভিন্ন বিচারপতিদের কাছেও তদবির করে অনেক টাকা অবৈধভাবে কামিয়েছেন বলে লোকে মুখে জানা যায়। জুলাই অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সারা দেশে যখন স্বৈরাচার খুনি হাসিনা হটাও আন্দোলন তুঙ্গে তখন সাঈদ তার দোসর আওয়ামীলীগকে ক্ষমাতা রাখার জন্য সাংবাদিকতার ব্যানারে নিরাপরাধ ছাত্রদের বুকের ওপর সরাসরি গুলি করার জন্য পুলিশকে দিয়েছে মদদ আর হাসিনাকে দিয়েছে অর্থের যোগান। সেই দিন অর্থাৎ ৫ই আগষ্ট হাসিনার পলায়ন সহ্য করতে না পেরে সাঈদ তার অফিস থেকে বের হয়ে সোজা চলে যান চাঁনখার পুল এলাকায়, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের দলীয় ক্যাডার বাহিনীর সাথে যুক্ত হয়ে ঝাপিয়ে পড়ে নিরস্ত্র ছাত্র জনতার ওপর চালালো বন্ধুকের গুলি ঝড়ে গেলো কিছু তরতাজা প্রাণ। তার মদদপুষ্ট ফ্যাসিষ্ট দলের পরাজয়ের গ্লানি সহ্য করতে না পেরে একদিকে দেশে শ্রমিকদের উসকে দিয়ে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস সেক্টরে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা অন্যদিকে রাতারাতি ভোল পাল্টিয়ে বিএনপি সেজে চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে রুপ পাল্টানো সাঈদ।
এমএসএম / এমএসএম