সরকারী খাদ্য গুদামে ধান দিতে অনীহা কৃষকদের

নানান রকম হয়রানী ও জটিলতা এবং সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাজারেই ভালো দাম পাওয়ায় সরকারী খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে অনীহা ধানের জেলা দিনাজপুরের কৃষকদের। এ জন্য চলতি আমন সংগ্রহ অভিযানের প্রায় দেড় মাস হলেও দিনাজপুর জেলা খাদ্য বিভাগ মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪ শতাংশ ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে কৃষকদের কাছ থেকে। যদিও এই সময়ে মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ করা হয়েছে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ।
গত বোরো সংগ্রহ অভিযানেও দিনাজপুর খাদ্য বিভাগ কৃষকদের কাছ থেকে কাংখিত ধান পায়নি, মিল মালিকদের কাছ থেকে কাংখিত চালও সংগ্রহ করতে পারেনি খাদ্য বিভাগ। দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, চলতি আমন সংগ্রহ অভিযানে দিনাজপুর জেলায় কৃষকদের কাছ থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে ১৭ হাজার ৯৯১ মেট্রিক টন ধান, মিল মালিকদের কাছ থেকে ৪৭ টাকা কেজি দরে ৪৬ হাজার ৪৮৪ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল এবং ৪৬ টাকা কেজি দরে ১১ হাজার ৬২০ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। গত ১৭ নভেম্বর থেকে দিনাজপুরে শুরু হয় সরকারী খাদ্য বিভাগের আমন সংগ্রহ অভিযান। এই অভিযান চলবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানায়, গত ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কৃষকদের কাছ ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র ৮’শ মেট্রিক টন। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪ শতাংশ। অন্যদিকে মিল মালিকদের কাছ থেকে সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৪ মেট্রিক টন এবং আতপ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৩ হাজার ৪৮৬ মেট্রিক টন। কৃষকদের কাছ ধান সংগ্রহ মোট লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৪ শতাংশ সংগ্রহ হলেও মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহ হয়েছে মোট লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ।
অর্থ্যাৎ মিল মালিকরা সরকারী খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ করলেও সরকারী খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে অনাগ্রহী কৃষকরা। এ প্রসঙ্গে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী জানান, মুলত কৃষকদের ন্যায্যমুল্য নিশ্চিত করতেই সরকার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কৃষকরা যদি বাজারেই ধান বিক্রি করে লাভবান হন-তাহলে তারা সেখানেই ধান বিক্রি করবে-এটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, সরকারের বেধে দেয়া দামের কারনেই কৃষকরা বাজারে ধানের ভালো দাম পাচ্ছেন। যদিও আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার শতভাগ ধান কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। এদিকে দিনাজপুরের বিভিন্ন ধানের হাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে মোটা জাতের ধান কৃষকরা বাজারে বিক্রি করছে ১ হাজার ৩৫০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪’শ টাকা মন দরে।
প্রতিকেজিতে যার মুল্য দাঁড়ায় ৩৪ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। কিন্তু সরকারী মুল্য প্রতিকেজি ৩৩ টাকা। সরকার নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে বাজারেই নগদ টাকায় বেশী দাম পাওয়ায় সরকারী খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ করতে অনীহা কৃষকদের। উল্লেখ্য, গত বোরো সংগ্রহ অভিযানেও কৃষকদের কাছ থেকে কাংখিত ধান পায়নি দিনাজপুর জেলা খাদ্য বিভাগ। পুরন হয়নি মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রাও। বোরো সংগ্রহ অভিযানে দিনাজপুরে কৃষকদের কাছ থেকে ১৪ হাজার ৯৫১ মেট্রিক টনের মধ্যে ধান সংগ্রহ হয় ১১ হাজার ৩১০ মেট্রিক টন। আর মিল মালিকদের কাছ থেকে ১ লাখ ২ হাজার ৩৩৫ মেট্রিক টনের মধ্যে সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয় ৯১ হাজার ৬২১ মেট্রিক টন এবং ১৭ হাজার ১৩২ মেট্রিক টনের মধ্যে আতপ চাল সংগ্রহ হয় ১৩ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন।
T.A.S / T.A.S

মেহেরপুরে রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবসে আলোচনা সভা ও সম্মাননা স্মারক প্রদান

বড়লেখায় দিনদুপুরে ছিনতাইয়ের ঘটনায় গ্রেফতার ২, টাকা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার

কুতুবদিয়ায় সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা অর্ধগলিত মরদেহটি সনাক্ত হয়েছে

সিংড়ায় রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা রোধ করলেন সাব রেজিস্ট্রার

দাউদকান্দিতে খাল পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন

হাতিয়ায় নদী ভাঙ্গনের কবলে দুটি বিদ্যালয়, রক্ষার দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

রাণীনগরে চাকু ধরে ব্যবসায়ীর ৫লাখ টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ

কক্সবাজারে অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, প্রাণ গেল চারজনের

মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছধরা উন্মুক্ত

বন রক্ষায় বন বিভাগকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে; পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা

সিংড়ায় অজ্ঞাত লাশের রহস্য উদঘাটন, র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার ২

হাটহাজারীতে সালিশি বৈঠকে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা অভিযোগ ; আটক ২
