ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের রাজনীতিতে নতুন দিকপাল ছাত্রনেতা বখতিয়ার মাহমুদ

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের আগামী দিনের কান্ডারী  ছাত্রনেতা বখতিয়ার মাহমুদ। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী দুঃশাসন ও স্বৈর শাসনামলে নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা-মামলা, গ্রেফতার ও কারাবন্দীর শিকার হন তিনি।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর বিরোধী দল বিএনপি এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মসূচীসহ ৫ই আগষ্ট সরকার পতনে জীবন বাজি রেখে তিনি মাঠে থেকেছেন। জেলা ছাত্রদলের ভ্যানগার্ড খ্যাত ছাত্রনেতা বখতিয়ার মাহমুদ বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছেন। জেলজুলুম হুলিয়া হামলা মামলা মাথায় নিয়ে দলের আস্থাভাজন শীর্ষ নেতাদের প্রতি আনুগত্য থেকে বিএনপির রাজনীতি সুসংগঠিত করতে কেন্দ্র ঘোষিত ছাত্রদলের সকল কর্মসূচি সফল করেছেন। দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তাকে কারাবরণও করতে হয়েছে।

সর্বশেষ ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী একটি নাশকতা মামলায় জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম পিন্টু ও বখতিয়ার কে গ্রেফতার দেখিয়ে পুলিশ তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠায়। বারবার গ্রেফতার ও কারাবরণের পরও এ নেতা দলের হাল ছাড়েননি। ২০১৪ সালের নির্বাচন পরবর্তী আন্দোলন, সংগ্রাম, দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচী রাজপথে থেকে সফল করায় সকলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে জেলা জুড়ে আলোচিত হন তরুণ এই ছাত্রনেতা। ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের আগামী দিনের কান্ডারি বখতিয়ারের নেতৃত্বে ছাত্রদল আজ সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদ উত্তীর্ন কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে যে কোন মুহূর্তে ঘোষণা হতে পারে জেলা ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন। এতে ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করা হতে পারে। নতুন কমিটিতে পদ পেতে সিনিয়র নেতাদের কাছে ধরনা দিচ্ছেন অনেকে। সম্ভাব্য কমিটিতে পদের জন্য মরিয়া ডজন খানেক ছাত্রনেতা। তবে তৃণমূলে গুঞ্জন রয়েছে সৎ, ত্যাগী, মেধাবী, কর্মী বান্ধব  হিসেবে জনপ্রিয় ছাত্রনেতা বখতিয়ার মাহমুদের নাম। দীর্ঘদিন রাজনীতি করার কারণে সারা জেলা জুড়ে রয়েছে তার বিশাল কর্মী বাহিনী। ঝিনাইদহ কেসি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক পদে থাকায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীদের সাথেও রয়েছে তার সখ্যতা।

ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশী বখতিয়ার মাহমুদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রেখেছি। নিজের জীবন বাজি রেখে বিএনপির দুঃসময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আশাকরি দল আমাকে মূল্যয়ন করবে। তিনি কান্না বিজড়িত কন্ঠে আরও বলেন, মিথ্যা মামলা কাধে নিয়ে পলাতক ছিলাম। বাবার মৃত্যুর সংবাদ শুনেও তার কবরে একমুঠো মাটি দিতে বা  শেষ বারের মতো বাবার মুখটা পর্যন্ত দেখতে পারিনি।

ছাত্রদলের একটি সূত্র জানায়, দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর গঠিত হতে যাচ্ছে জেলা ছাত্রদলের কমিটি। তাদের দাবী এ কমিটিতে তৃণমূল থেকে উঠে আসা ত্যাগী, পরিশ্রমী, নির্ভীক, পরিচ্ছন্ন ছাত্র রাজনীতির নতুন দিকপাল, নির্যাতিত ছাত্রনেতা বখতিয়ার মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেখতে চাই। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসা পোড় খাওয়া কর্মী বান্ধব নেতাকেই আগামীতে ছাত্রদলের যোগ্য স্থানে বসাবেন। সেই হিসেবে বখতিয়ার মাহমুদ একজন কর্মী বান্ধব জনপ্রিয় ছাত্রনেতা।