গবি প্রশাসনের নোটিশে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ: ফেসবুকে সমালোচনার ঝড়

সম্প্রতি ফেসবুকের পাবলিক গ্রুপ, পেইজে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক, শিক্ষার্থীদেরকে নিয়ে মানহানিকর পোস্ট করায় এ বিষয়ে সতর্কতামূলক এক নোটিশ প্রদান করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয় (গবি) প্রশাসন। উক্ত নোটিশকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের সমালোচনার ঝড়।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আবু মুহাম্মদ মুকাম্মেল স্বাক্ষরিত নোটিশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী সম্পর্কে ফেইসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ,পেইজ, আইডিতে মানহানিকর পোস্টের কারণে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন হচ্ছে এবং বিভিন্ন মহলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই ধরনের স্ট্যাটাস বা মন্তব্যের সাথে কারো সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।'
বিকেলে নোটিশটি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ কমেন্ট করে প্রশ্ন তুলছেন, 'গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পর্কে ফেইসবুকে যদি সত্যতা লিখার কারণে ওই ব্যক্তি/গোষ্ঠীর মানহানি হয় তবে সেখানে দোষটা কার? যে লিখেছে তার? নাকি যার সম্পর্কে সত্যতা তুলে ধরেছে তার?, এটি সাইবার সিকিউরিটি আইন? নাকি নিজেদের বাঁচানোর জন্য “প্রাণ বাঁচাও বন্দোবস্ত আইন?'
জানা যায়, বিগত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে, পেইজে ফেইক আইডির মাধ্যমে বিভিন্ন সময়েই আইন বিভাগের কিছু শিক্ষককে কেন্দ্র করে মানহানিকর পোস্ট করায় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের নিকট দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানায়। শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ছাত্র উপদেষ্টার সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নোটিশের এই সিদ্ধান্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উপনীত হয়েছে ।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, 'শিক্ষার্থীরা যৌক্তিক সমালোচনা করতেই পারে। বরং এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মান উন্নয়ন হয়। মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অধিকার সংবিধান কাউকে দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় এমন কাজ কেন করবে? এটা একটা স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত।'
মেডিকেল ফিজিক্স এন্ড বায়োমেডিকেল ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সামিউল হাসান শোভন বলেন, 'ইদানিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গ্ৰুপে শিক্ষক- শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নামে আপত্তিকর পোস্টের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এটা অস্বীকার করার উপায় নাই।'
তিনি আরও বলেন,'বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা থাকবে ,গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে এটার সমাধান থাকবে এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু সমস্যা থাকবে,সমালোচনা থাকবে না বিষয়টা নিতান্তই দুঃখজনক। নতুবা সমস্যার সমাধান বের করা কঠিন হবে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে শিক্ষার্থীবান্ধব হতে হবে। যদি কোনো শিক্ষার্থীর সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ বক্স চালু হয়েছে। সেখানে যথোপযুক্ত অভিযোগ প্রদান অথবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকে অবহিত করা যেতে পারে। সমস্যার সমাধান না হলেও বিষয়টি গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।'
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেন বলেন, "গঠনমূলক সমালোচনা শিক্ষার্থীরা করতেই পারে কিন্তু অপপ্রচার বা মানহানিকর সমালোচনা করা সমীচীন নয়। শিক্ষার্থীদের গঠনমূলক সমালোচনা করতে কোন বাঁধা নেই কিন্তু কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করা ঠিক নয়।"
এমএসএম / এমএসএম

শেকৃবিতে পরীক্ষা না দিয়েও পাশ: সাংবাদিকদের হস্তক্ষেপে ফলাফল সংশোধন

ইবিতে সমকামিতার অভিযোগে শিক্ষক বরখাস্ত

চাকসুর নাম 'জোবরা ভাতঘর অ্যান্ড কমিউনিটি সেন্টার' রাখলো চবি শিক্ষার্থীরা

দ্রত সময়ে টিএসসি স্থাপনসহ ৭ দফা দাবিতে চবি শিবিরের সংবাদ সম্মেলন

চাকরীর নামে ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, বরখাস্ত চবির অফিস সহকারী

খাবারের মান যাচাইয়ে ক্যান্টিনে ডিআইইউ প্রক্টোরিয়াল টিমের অভিযান

ডিআইইউ-তে "বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং" শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ইবিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন

চবি হিস্ট্রি ক্লাবের নেতৃত্বে মাহিম-জোবায়েদ

টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স ফোরামের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ইবিতে সেশনজট নিরসনে ভিসির মতবিনিময়

সাপ, মশা আর দুর্গন্ধের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের যুদ্ধ
