ঢাকা বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৫

তানোরে ডিএপি সার সংকটে আলুক্ষেতে টপড্রেসিং বিড়ম্বণায় চাষীরা


সোহানুল হক পারভেজ, তানোর photo সোহানুল হক পারভেজ, তানোর
প্রকাশিত: ৬-১-২০২৫ দুপুর ১:১৩

কিছুতেই কাটছেনা ডিএপি সারের সংকট বলে নিশ্চিত করেছে চাষীরা। একারণে আলুক্ষেতে সময়মত টপড্রেসিং করতে বিড়াম্বণায় পড়েছে এঅঞ্চলের বিপুল সংখ্যক আলু চাষী। বিভিন্ন দোকান ঘুরে ন্যায্য দাম তো দুরে থাক বাড়তি দামেও মিলছে না ডিএপি সার। আলুর ক্ষেতে টপড্রেসিংয়ের আগে ডিএপি সারের প্রয়োজন হয়।তাছাড়া কাংখিত ফলন পাওয়া যায় না। সার না পেলেও কৃষি দপ্তরের কোন তদারকি নেই। সারের বিষয়ে সর্বময় ক্ষমতার মালিক বনে গেছেন কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ। তিনি ছাড়া কোন কর্মকর্তা সার বিষয়ে তথ্য দিতে নারাজ। ফলে দ্রুত সময়ের মধ্যে ডিএপি সারের ব্যবস্থা না করলে অধিক টাকার আলুর চাষাবাদ ভেস্তে যাবে এবং ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন চাষীরা।চাষীদের তথ্যমতে, উপজেলার প্রায় মাঠে আলু রোপন হয়েছে। শোভা পাচ্ছে আলুর সবুজ পাতা। আলু রোপনের ২৫ থেকে ২৬ দিনের মধ্যে টপড্রেসিং করতে হয়। কিন্তু টপড্রেসিংয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ডিএপি সারের। বিঘায় ২০ থেকে ২৫ কেজি, আবার অনেকে ৩০ কেজি করেও ব্যবহার করে থাকে। যারা আলুর প্রজেক্ট করেছেন তারা বাড়তি দামে প্রয়োজনীয় সব সার মজুদ করে রেখেছে। তাদের কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যারা সরকারি মূল্যে সার পাওয়ার আশায় ছিলেন তারা কোনভাবেই পাচ্ছে না ডিএপি। শুধু ডিএপি নয় টিএসপি সারেরও সংকট তৈরি করেছেন ডিলাররা। তানোর পৌর এলাকার কৃষক মুনসুর জানান, ধানতৈড় গ্রামের বাবু ৫০ বিঘা জমিতে আলু রোপন করে ডিএপি সার সংকটে টপড্রেসিং করতে পারছে না। শরিফুল, হিরোন, জিল্লু ও হোসেন সার পায়নি। না পাওয়ার কারণে টপড্রেসিং করতে পারেনি।মোহনপুর গ্রামের আব্দুল খালেক ১০ বিঘা, সইবুর ৬০ বিঘা, গোলাম মুর্তজা ৫০ বিঘা, দুবইল গ্রামের জলিল ৪০ বিঘা, আক্কাস ৫ বিঘা, বানিয়াল গ্রামের সমশের ১০ বিঘা জমিতে টপড্রেসিং করতে পারছে না। তারা জানান, আলুর জমি পাইল খনন করার পর ডিএপি সার দিতে হয়। সার দেয়ার ৩ থেকে ৪ দিন পর খননকৃত পাইল থেকে মাটি তুলে গাছের গোড়ায় দেয়া হয়। কিন্তু বিগত ১০ থেকে ১২ দিন ধরে ডিএপি সার মিলছেনা। সারের দোকানে গেলেই ১৪০০ থেকে ১৪৫০ টাকা করে দাম চাচ্ছে। রোপন থেকে এখন পর্যন্ত সার নিয়ে মহা কারসাজি চলছে। অথচ কৃষি অফিস থেকে কোন তদারকি নেই। তদারকি বা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলে এতো বাড়তি দাম নিতে পারত না। ৫০ কেজির সরকারি মূল্যে এক বস্তা ডিএপি সারের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা। কিন্তু বস্তায় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা করে বাড়তি দাম নিচ্ছে অসাধু ডিলারেরা।চাষীরা জানান, বাড়তি দামের কথা বললেই সার পাওয়া যাবে না। কারণ ডিলারদের সাব কথা বাহির থেকে বাড়তি দামে কিনে এনেছি। সুতরাং বাড়তি দাম ছাড়া বিক্রি করা যাবেনা। আলুর চাষাবাদে সময় মত সার না দিলে ফলন ভালো হবে না।এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না শর্তে জানান, সরকারের গুদামেই তো ডিএপি সার নেই। তাহলে কিভাবে দিবে। এজন্য চাষাবাদ রক্ষা করতে কৃষি দপ্তরের অনুমতিক্রমে বাহির থেকে বিভিন্ন ভাবে চোরাই পথে সার নিয়ে আসছেন। একারণে সার ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে কীটনাশক ব্যবসায়ীরাও পাইকারি ভাবে সার এনে ইচ্ছে মত দাম নিচ্ছে। আর বাহির থেকে আমদানি করা সারের মান কেমন বা আসল নাকি ভেজাল বোঝার উপায় নেই। কিন্তু কৃষি অফিসার নিজের খেয়াল খুশিমত এবং তার পছন্দের ডিলারদের সুযোগ করে দিয়েছেন।শনিবার এক আলু চাষী নাম প্রকাশ না করে জানান, গোল্লাপাড়া বাজার থেকে ১ হাজার ২৫০ টাকা দরে প্রতি বস্তা ডিএপি নিয়েছি। কোন মেমো দেয়নি। দোকানের নাম জানতে চাইলে তিনি জানান, নাম বলতে নিষেধ করেছে, নাম বললে আমাকে আর সার দিবে না।উপজেলার তালন্দ ইউপির বিসিআইসির ডিলার সুমন তো দোকান খুলেনা, তার নিজস্ব গুদাম নেই। বরাদ্দের প্রায় সার মোকামেই বিক্রি করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। তিনি কৃষকদের সার না দিয়ে পৌর এলাকার তালন্দ বাজারের কিছু ব্যবসায়ীকে দিয়ে থাকেন। উপজেলার বাধাইড় ইউপির বিসিআইসির ডিলার বাবু জানান, আমি সরকারি মূল্যে বিক্রি করেছি। অবশ্য ওই এলাকায় আলুর চাষ কম হয়। তিনি আরো জানান, ডিএপি সারের সংকট হওয়ার কথা নয়। কারণ প্রতি ডিলারকে ৫ টন করে বরাদ্দ দিয়েছে। পাঁচন্দর ইউপির ডিলার প্রণব সাহা জানান, অল্প কয়েক দিনের মধ্যে সংকট কেটে যাবে। আরেক ডিলার জানান, বেশির ভাগ ডিলাররা সার না তুলে মোকামেই বিক্রি করে দেন। পুরো বরাদ্দের সার তুললে কোনভাবেই সংকট হবে না।আজ সারের তথ্য নিতে উপজেলা কৃষি অফিসে যাওয়া হলে অফিসার ছিলেন না। সারের দায়িত্বে থাকা আমিনুলের কাছে তথ্য চাইলে তিনি জানান, স্যারের অনুমতি ছাড়া তথ্য দেওয়া যাবে না। অফিস থেকেই কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদকে ফোনে তথ্য চাইলে তিনি জানান আমি বলে দিচ্ছি। পুনরায় আমিনুলের কাছে গেলে তিনি বলেন, স্যার তথ্য দিতে নিষেধ করেছেন, আমার দেয়ার ক্ষমতা নাই। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খায়রুল ইসলামকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করা হলে তিনি জানান, আমি কৃষি অফিসারের সাথে কথা বলে দেখছি।উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে আলুর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৭০ হেক্টর বেশি জমিতে আলু চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ২৮ হাজার ৩২০ মেট্রিকটন।এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ সার সংকটের বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, কোন ডিলার সার না দিলে বা বাড়তি দাম নিলে কৃষক যদি অভিযোগ করে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে আছে। মাঠে সার্বক্ষণিক কাজ করা হচ্ছে। আসা করা যায় উৎপাদনের চেয়ে বেশি ফলন হবে বলে আশা করেন তিনি।

এমএসএম / এমএসএম

সরকারী মুকসুদপুর সাবের জসিমুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ফলাফল প্রকাশ ও পুরস্কার বিতরণ

সন্দ্বীপের শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবালয় আখড়া মন্দিরে তিন দিনব্যাপী মহানাম সংকীর্তন ও মহোৎসব ভোরে সমাপ্ত

সকালের সময়'র খবর প্রকাশ:গরলা খালের সেই সেচ প্রকল্পের অনুমোদন বাতিল

আবারও পদত্যাগ টুঙ্গিপাড়া পৌর আওয়ামী লীগে, দল ছাড়লেন আরও দুই শীর্ষ নেতা

সাংবাদিক নির্যাতন ও গণমাধ্যমে হামলার প্রতিবাদে মানিকগঞ্জে মানববন্ধন

মুকসুদপুরে খ্রিস্টান ধর্মের বড়দিন শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপন উপলক্ষে প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন

বড়দিন উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

দৈনিক সংগ্রামের বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি হাফেজ মো: খলিলুর রহমান আর নেই

কুলাউড়ায় পিকআপের ধাক্কায় সড়কেই দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

চউকে স্বজনপ্রীতির নিয়োগ বাণিজ্য, আদালতের আদেশ উপেক্ষিত

অষ্টগ্রামে ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল

নড়াইল ২ আসনে গণ অধিকার পরিষদের প্রার্থী লায়ন নুর ইসলামের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে দলীয় নেতাকর্মীরা

তিন বছর আগে দুর্ঘটনা, আজও পঙ্গু:মনপুরার চালকের বেদনাদায়ক জীবন