ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৫

আতঙ্কের জনপদ দৌলতপুর ফিলিপনগরে সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য


চাঁদ আলী, কুষ্টিয়া photo চাঁদ আলী, কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ২-২-২০২৫ বিকাল ৬:৯

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নে বর্তমান প্রয়াত সন্ত্রাসী লালচাঁদ বাহিনীর দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। ফিলিপনগর ইউনিয়নের বিষয়ে কেউ বলছেন সন্ত্রাসের জনপদ, কেউবা বলে থাকেন প্রয়াত লালচাঁদ বাহিনীদের অভয়ারণ্য। এই জনপদের মানুষ এখন নির্বিঘ্নে, নিরাপদে, শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না।সন্ধ্যা নামলেই সন্ত্রাসী লালচাঁদ বাহিনীর ক্যাডারদের আতংকে চেপে ধরে মনে। ভয় হয়,নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারবে তো? আবার ঘরে ফিরলেও ঘুমানোর আগে আরেক দুশ্চিন্তা পেয়ে বসে রাতটা ভালোয়-ভালোয় কাটবে তো? সব মিলিয়ে এই হচ্ছে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের অবস্থা। বিশেষ করে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুলিশ কিছুটা নিষ্ক্রিয় থাকার সুযোগে ও দৌলতপুর উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা,তাঁর ভাই শামীম মোল্লা ও বাচ্চু মোল্লার ছেলে শিশির মোল্লার কারনে এ এলাকায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ফিলিপনগর ইউনিয়নের প্রয়াত সন্ত্রাসী লালচাঁদ বাহিনীর ক্যাডাররা ও ফিলিপনগর ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুর হত্যাকারী সন্ত্রাসী বাহিনীরা।

উঠতি বয়সের সন্ত্রাসীরা,যারা কিশোর গ্যাং নামে পরিচিত যার নেপথ্যে আমিরুল, মুলহোতা ও খুনি তরিকুল ইসলাম টুকু। কিশোর গাং এর অন্যান্য সদস্যরা হলো সোহাগ গিট্টু, ইরাক, রেন্টু গিট্টু, শামীম, সাঈদ, ছোটন(বিড়ি ব্যাবসায়ী), আল আমীন, লিটন ড্রাইভার, রওশন, রাসেল, ইরাক, লালন, হাসিনুর, হাবিবুর, আক্তারুল, হিমেল মেকার সহ আরো অনেকেই।এই সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাং দিয়েই স্থানীয় উপজেলা বিএনপি শীর্ষ নেতাদের ইশারায় গত ৩০/০৯/২০২৪ ইং তারিখ ফিলিপনগর ইউনিয়নের পরপর ৩ বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুকে হত্যা করা হয়।

কয়েকদিন সরেজমিন অনুসন্ধান চালানোর মধ্য দিয়ে বেরিয়ে আসে নিরাপত্তা নিয়ে এই এলাকার মানুষের অতিমাত্রায় উদ্বেগের বিষয়টি।এই খুনের নেপথ্যে রয়েছে ফিলিপনগর ইউনিয়নে আমিরুল ও টুকু গ্যাংদের আধিপত্য বিস্তার, টুকুর ও আমিরুলের অস্র ও মাদক কারবার নিয়ন্ত্রণ ও বাজার দখল,ফিলিপনগরের সাধারন অসহায় কৃষকদের ফসলি জমি সহ চর দখল।প্রকাশ্যে স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়া,গোলাগুলি এই এলাকায় যেন নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি শীর্ষ দুই নেতার (আপন ভাই) সাথে টুকুর মামা ভাগিনার সম্পর্ক ও টুকু-আমিরুল গ্যাংদের বিরুদ্ধে ফিলিপনগর ইউনিয়নের সদ্য প্রয়াত চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টু বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্যই নিজ কার্যালয়ে খুন হয় সেন্টু চেয়ারম্যান। 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দৌলতপুর থানার একজন উপপরিদর্শক জানান,এই এলাকায় যত অপরাধ ঘটছে তার বেশিরভাগই ঘটাচ্ছে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি নেতা,সাবেক এমপি বাচ্চু মোল্লা,তার ভাই শামীম মোল্লা ও শিশির মোল্লা গংরা এবং সাথে আছে প্রয়াত এই লালচাঁদ বাহিনীর অপরাধীরা।দৌলতপুর উপজেলার রাজনৈতিক মোল্লা পরিবার এবং ফিলিপনগর ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের কতিপয় নেতাদের ছত্রছায়া বা নিয়ন্ত্রণে থেকেই লালচাঁদ বাহিনী ও টুকু-আমিরুল গ্যাংরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হলেও তারা এমন একটি অবস্থানে আছে যে,তাদের বিপক্ষে ব্যব্স্থা নিলে থানায়ো দূরে থাক, পুলিশ বিভাগেই কাজ করা সম্ভব হচ্ছেনা দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির মোল্লা পরিবারের জন্য।তিনি আরও বলেন,একসময় দেখতাম ভাসমান ও নিম্ন আয়ের কিংবা শহরে থাকা পরিবারের সন্তানরা কিশোর গ্যাংয়ে জড়িত হতো।এখন দেখা যাচ্ছে,উচ্চ মধ্যবিত্ত,এমনকি ধনীদের সন্তানরাও এই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য হচ্ছে,তবে দৌলতপুর উপজেলা ফিলিপনগর ইউনিয়নের সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যার সাথে অস্র ব্যাবসায়ী টুকু-আমিরুল ও লালচাঁদ বাহিনীর সকলের রুপরেখা ভিন্নরুপে।

সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যা ছিলো আলোচিত ঘটনা জানা যায়,গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখ “বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের প্রয়াত চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেন্টুর ইউনিয়ন কার্যালয় রুমের পেছনের জানালা দিয়ে চার পাঁচ রাউন্ড গুলি করে টুকু-আমিরুল গ্যাংরা হত্যা করে সেন্টুকে।এদিকে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি নেতা শামীম মোল্লার আস্থাভাজন অস্ত্র ব্যাবসায়ী ও লালচাঁদ বাহিনীর পৃষ্ঠপোষক আমিরুল এর মাষ্টার প্লান মোতাবেক নঈম উদ্দিন সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী ও সেন্টুর ভাতিজা জাহাঙ্গীরকে ৩১/০১/২০২৫ ইং তারিখ রাত ৮:১০ ঘটিকার সময় দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর ইউনিয়নের খাদেম দারোগার মোড় নামক স্থানে জাহাঙ্গীরকে হত্যার উদ্দেশ্য গুরুতর যখম করে টুকু-আমিরুল ও লালচাঁদ বাহিনীর সন্ত্রাসীরা।এখান থেকে ৬ টি মোটরসাইকেল যোগে ৩ জন করে একটি গ্রুপ অস্র সজ্জিত ও সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যার আসামী টুকুর বাড়ির সামনে নদীর দিক থেকে মুখ বাধা অবস্থায় আরেকটি গ্রুপ অস্র সজ্জিত অবস্থায় ফিলিপনগর হাইস্কুল বাজারে উপস্থিত হয়।এলাকাতে সৃস্টি করে আতংক।এদিকে সন্ত্রাসী লালচাঁদ বাহিনীর প্রধান আমিরুল"লালচাঁদ সন্ত্রাসী বাহিনীর সকল সদস্য ও সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যার আসামীদের মুল পৃষ্ঠপোষকের ভূমিকাতে আছে অস্র ব্যাবসায়ী ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণকারী আমিরুলের নেতৃত্বেই নদীভাংন এলাকা ফিলিপনগর ইউনিয়নের চরান্চলের নিরীহ কৃষকদের জমি দখল,কৃষকদের ফসল দখল সহ চরের জমি জবরদখল সহ নানান অপকর্ম করছে এই লালচাঁদ বাহিনীর সদস্যরা।বর্তমানে এই এলাকায় সক্রিয় সন্ত্রাসীরা হলো  সুকচান-(৫৮) পিতা:-মৃত:-ইবাদ মন্ডল,গ্রাম:-তিতোলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পাড়া, ইউনিয়ন:- ফিলিপনগর, থানা:-দৌলতপুর জেলা:-কুষ্টিয়া।নাহারুল(৫৫),পিতা:-মৃত:-জানা মৃধা, গ্রাম:-ইসলামপুর জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পার্শ্বে, ইউনিয়ন:-ফিলিপনগর 
থানা:-দৌলতপুর, জেলা:-কুষ্টিয়া।নিজাম(৪৮), পিতা:-মো:-হিচাব,গ্রাম:- ফিলিপনগর মালিথা পাড়া, ইউনিয়ন:- ফিলিপনগর, থানা:-দৌলতপুর, জেলা:-কুষ্টিয়া।সিদ্দিক(৫১), পিতা:-মৃত:-আবুল সরদার, গ্রাম:-ফিলিপনগর হাইস্কুলপাড়া, ইউনিয়ন:- ফিলিপনগর ,থানা:-দৌলতপুর, জেলা:-কুষ্টিয়া।গিট্টু সোহাগ(২২),পিতা:-সিদ্দিক, গ্রাম:-ফিলিপনগর হাইস্কুলপাড়া
ইউনিয়ন:- ফিলিপনগর, থানা:-দৌলতপুর,জেলা:-কুষ্টিয়া।  রুশমান(৩৪), পিতা:- খেড়ু,গ্রাম:- ফিলিপনগর মালিথা পাড়া, ইউনিয়ন:- ফিলিপনগর, থানা:-দৌলতপুর,জেলা:-কুষ্টিয়া, বিপ্লব(২৯), পিতা:-সুকচান, গ্রাম:-তিতোলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পাড়া, ইউনিয়ন:- ফিলিপনগর, থানা:-দৌলতপুর, জেলা:-কুষ্টিয়া, মামুন(২৫), পিতা:-নাহারুল, গ্রাম:-ইসলামপুর জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পার্শ্বে,ইউনিয়ন:- ফিলিপনগর , থানা:-দৌলতপুর, জেলা:-কুষ্টিয়া।আক্তারুল(৩৫),পিতা:-মো:-গোফুর, গ্রাম:-ফিলিপনগর কলেজপাড়া।ইউনিয়ন:-ফিলিপনগর, থানা:-দৌলতপুর, জেলা:-কুষ্টিয়া, আমিরুল(৪২), পিতা:-মৃত:-খালেক বিড়িয়ালা,গ্রাম:-ফিলিপনগর রাজারমোড়, ইউনিয়ন:-ফিলিপনগর ,থানা:-দৌলতপুর, জেলা:-কুষ্টিয়া।মো:-সালাম (৫৫)(মিলিটারি-সাবেক), পিতা:-মৃত:-মসলেম মোল্লা,গ্রাম:-ফিলিপনগর মালিথাপাড়া, ইউনিয়ন:- ফিলিপনগর, থানা:-দৌলতপুর, জেলা:-কুষ্টিয়া।এর মধ্যে গিট্টু সোহাগ(সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যার এজাহারভুক্ত  আসামী),নাহারুল(৩০ বছর সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি)।দৌলতপুর উপজেলার ফিলিপনগর এলাকার স্থানীয় আরও কয়েকজন বাসিন্দা জানান,অপরাধপ্রবণ এলাকা বা সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে ফিলিপনগরের লালচাঁদ বাহিনীর পরিচয় অনেক আগে থেকেই। 
ফিলিপনগরের একাধিক সূত্র থেকে জানা যায়,লালচাঁদ বাহিনীর তৎকালীন সময়ের সকল অপকর্মের বিষয় যেমন অফিস আদালত- থানার দালালী এবং লাইনম্যানগিরি করতো আমিরুল আর অস্র যোগানদিতো সেন্টু চেয়ারম্যান হত্যা মামলার ১ নং আসামী তরিকুল ইসলাম টুকু।বর্তমান লালচাঁদ বাহিনীর সুকচান,নাহারুল,গিট্টু সোহাগ,বিপ্লব,মামুন,সালাম মিলিটারী সাবেক, রুবেল, রুশমান,সিদ্দিক, রাসেল, নিজাম, আক্তারুল সহ আরো অনেকেই এরা বর্তমানে গা ঢাকা দিয়ে ফিলিপনগর চরে ও চরের উপরের বাইরে থাকলেও ফিলিপনগর এলাকার অপরাধ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণের চাবি এখনও এদের সহ আমিরুলের হাতেই। 
এখন মূলত এদের হাতেই জিম্মি ফিলিপনগরের স্থানীয় বাসিন্দারা।এদের নেপথ্যে রয়েছে দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির মোল্লা পরিবার ও এলাকার প্রভাবশালীরা।
উল্লেখিত বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,দৌলতপুরের লালচাঁদ বাহিনীদের বর্তমান আইনবিরোধী কার্যক্রম বিষয়ে আমরা খোজ খবর নিচ্ছি,বিষয়টি নিয়ে আমার কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সকল ইউনিট কাজ করছে।

এমএসএম / এমএসএম

পিরোজপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ উদযাপন

বিএনপি সরকার গঠন করলে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় ডিজিটাল মন্দির নির্মাণ করা হবে — খন্দকার নাসিরুল ইসলাম

বকশীগঞ্জে গাছ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু

বাকেরগঞ্জে জাতীয় কন্যা শিশু দিবসে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চাঁদপুরে ৪৫ হাজার জেলেকে খাদ্য সহায়তা প্রদান

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ জনের পরিবার পেল ২৫ লাখ টাকা

ঈশ্বরদীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

সাটুরিয়ায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

মেহেরপুরে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত

পটুয়াখালীতে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে গোয়ালঘরের তালা ভেঙে ৫ টি গরু চুরি

কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও ডিজিটাল লার্নিং সেন্টার উদ্বোধন

কাপাসিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কন্যা শিশু দিবস পালিত