শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে ঘুস নেয়ার অভিযোগ
রাজধানীর শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক আওয়ামীলীগের দোসর ডা. মো. শফিউর রহমানের বিরুদ্ধে আউট সোসিং এ কর্মী নিয়োগ দিয়ে প্রত্যেকের কাজ থেকে এক থেকে দুই লাখ টাকা ঘুস নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠছে। বুশরা সিকিউরিটি সার্ভিস প্রাঃ লিঃ নামে একটি আউটসোসিং কোম্পনিকে ২৬০জন পরিছন্ন কর্মী নিয়োগ দেয়ার কাজ দেয়া হয়। ওই হাসপাতালে যারা আগে কাজ করতো তাদের কাজ থেকে ১লাখ এবং যাদেরকে নতুন ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের কাজ থেকে ২লাখ করে টাকা নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন ভুক্তভোগীদের।
তারা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেছেন, হাসপাতের পরিচালকের পিএস নাঈম পরিচালক স্যারের কথা বলে প্রায় প্রত্যেকের কাজ থেকে টাকা নিয়েছেন। আমরা ১বছরের চুক্তিতে নিয়োগ পেয়েছি। আমাদের প্রতি মাসের বেতন ১৫ হাজার টাকা। তার মধ্যে প্রায় ৫ থেকে ৬মাসের বেতন বাকী থাকে। তাহলে আমরা ১বছরে কত টাকা বেতন পাবো। তার মধ্যে কতগুলো টাকা আমাদের কাজ থেকে ঘুস নেয়া হলো।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. শফিউর রহমান পতিত সরকারের সময় যোগদান করেন। তার নামে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ রয়েছে। তিনি যোগদানের পর কাজ বাদ দিয়ে সরকারের গুণগানে ব্যস্ত ছিলেন। তার অধিনস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারিরাও স্বায় দিতেন তাকে। কথায় কথায় বলতেন আওয়ামিলীগ সরকার না থাকলে আমার চেয়ারটা থাকবেনা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে সরকারকে টিকিয়ে রাখতে কয়েক কোটি টাকাও খরচ করেন বলে গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। জুলাই আগষ্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদের লাশ গুম করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওই সময় তিনি বিনা টিকিটে চিকিৎসা করিয়েছেন যাতে রেকার্ড না থাকে।
তিনি এখন নতুন করে বোল পাল্টিয়ে বিএনপি সাজতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। । সরকার পরিবর্তন হয়েছে ৬ মাস কিন্তু তিনি রয়েছেন বহালতবিয়তে । কাজের চেয়ে বেশী কথা বলা শফিউর কিভাবে পরিচালক পদে থাকা যাবে তা নিয়ে তদবিরে ব্যস্ত আছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েক জন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় কোনো সাংবাদিকদের তিনি ইমারজেন্সিতে ছবি তুলতে অনুমতি দেননি। তিনি বলতেন সরকারের নিষেধ কোনো আহত নিহত লোকদের তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক আহত নিহত লোকদের তথ্য তিনি গোপন করেছেন। ৫ই আগষ্টের আগে তিনি সব সময় আওয়ামীলীগের মিছিল মিটিং অংশ গ্রহন করতেন তার ছবি অনেকের কাছেই আছে। এছাড়া তিনি নিজেই বলছেন যে তিনি আওয়ামীলীগ করছেন এবং আওয়ামীগের শান্তি মিছিলে অংশগ্রহণ করছেন।
এ বিষয় শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালের পরিচালক ডা.সফিকুর রহমান বলেন, এসব অভিযোগ মিথ্যা। শান্তি মিছিলে অংগ্রহণ করছেন তার ছবি রয়েছে একথা বললে তিনি জানান সরকারের নির্দেশনা ছিলো। এই বলে তিনি তরিগরি করে রুম থেকে চলে যান
শহীদ সোহ্ওয়ার্দী হাসপাতালের ভিতরেও রয়েছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম আর দুর্নীতি। রক্ত পরীক্ষা ও সিটি স্ক্যান বিভাগে সরকারি টাকা জমা না দিয়ে ব্যাক্তি পর্যায় টাকা নিয়ে পরীক্ষা করে দেয় হয়।ওই টাকার ভাগ হাসপাতাল পরিচালককে দেয়া হয় ।
হাসপাতালের বাইরে রয়েছে বিভিন্ন দোকান ও হোটেলে দলীয় ক্যাডারবাহিনী দিয়ে চাঁদাবাজী। ৫ই আগর্ষ্টে আগে আওয়ামীলীগের নেতৃতে¦ চাদাবাজী করা হত্ব । তারা পালিয়ে যাওয়ার পর এখন চাঁদাবাজী করা হচ্ছে বিভিন্ন অঙ্গ ও সংগঠনের নামে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ২৭ নং ওয়ার্ডের সেচ্ছা সেবক দলের মেহেদী মাঠ পর্যায়র সোহ্রাওয়াদী হাসপাতালের বিভিন্ন রকমের চাঁদাবাজীর সাথে তিনি জড়িত। তার নেতৃত্বেই হাসপাতালের বাইরে চাঁদাবাজী হচ্ছে। তার সাথে আরো জড়িত রয়েছে কৃষক দলের আলীম, রাসেল , পাপ্পু লিমন।
শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালের বাইরে প্রায় ২‘শর মত দোকান রয়েছে এ সব দোকান থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজী করা হয় এ টাকার ভাগ হাসপাতালের পরিচালক পেয়ে থাকেন বলে একটি সূত্র বলছে।
এ বিষয় সেচ্ছসেবক দলের আহবায়ক মেহেদি বলেন, আমি কোন চাঁদাবাজীর সাথে জড়িত নই। তবে এম্বুলেন্স ব্যবসার সাথে জড়িত। এ ছাড়া আমার কিছু কর্মীর সোহ্রাওয়ার্দী হাসপাতালের আশেপাশে দোকান রয়েছে। আপনার এম্বুলেন্স আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেনার চেষ্ট করছি।
এমএসএম / এমএসএম