মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের
অবৈধ এডহক কমিটি বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়েছে

রাজধানীর মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। প্রায় ৩৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি চললেও ব্যাপক অনিয়ম এবং দুর্নীতির কারণে ডুবতে বসছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। এ বিষয ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্কুলটির অভিভাবক ও শিক্ষকরা। এছাড়া এই কমিটি নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক, জনপ্রশাসন সচিব সহ বিভিন্ন জনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমিটিতে এই সভাপতি ইকবাল হোসেনের ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক কোন অনুমোদন নেই, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক জানান এই কমিটি ভূয়া এর কোন অনুমোদন নেই এবং শিক্ষামন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনের আলোকে নতুন করে কমিটি করতে হবে কিন্তু বোর্ড থেকে কমিটি গঠনের জন্য বলা হলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধান এর সাথে মোবাইল ফোনে রিং হলেও রিসিভ না করার কারণে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
অভিভাবকরা বলছেন, এডহক কমিটির প্রধান কাজ নিয়মিত গভর্নিং/ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া। কিন্তু মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের বর্তমান এডহক কমিটির নিয়মিত গভর্নিং/ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কোন উদ্যোগ নেই। তারা ব্যস্ত রয়েছেন নিয়োগ, পদোন্নতি, পদচ্যুতি, চাকরিচূত করা, বেতন কমানো এবং অর্থ আত্মসাতের নামে অপ্রয়োজনীয় নির্মান কাজে।
স্কুলটির অভিভাবকরা বলছেন, এডহক কমিটি এখণ অপ্রয়োজনীয় সংস্কার কাজে ব্যস্ত রয়েছে। মোজাইক ভেঙে টাইলস্ করা হচ্ছে। প্রয়োজন না থাকলেও দরজা ভেঙে নতুন দরজা লাগানো হচ্ছে। প্রয়োজন না থাকলে বাইরের দেয়ালে রং করানো হচ্ছে। আর এসব কাজের ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে কোন দরপত্র আহবান করা হয়নি। নিজেদের পছন্দের কিছু লোকদের দিয়ে এসব কাজ করানো হচ্ছে। এতে স্কুলের কয়েককোটি টাকা অপচয় হচ্ছে।
অভিভাবকরা বলছেন, অর্থ লোপাটের লক্ষেই এমনটি করছে অবৈধ এডহক কমিটির সভাপতি মো.ইকবাল হোসেন, স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসক অফিস।
এডহক কমিটির সর্বশেষ বিধিমালায় বলা হয়েছে, অ্যাডহক কমিটি গঠনের ৬ (ছয়) মাসের মধ্যে এই সংশ্লিষ্ট বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের, ক্ষেত্রমত, গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করিবে। অ্যাডহক কমিটি কোনোক্রমেই অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, সুপারিনটেনডেন্ট, সহকারী সুপারিটেন্ডেন্ট, গ্রন্থাগারিক, সহকারী গ্রন্থাগারিক বা কোনো কর্মচারী বাছাই এবং নিয়োগ করিতে পারিবে না: আরও শর্ত থাকে যে, কোনো শিক্ষক বা কর্মচারীর উপর দণ্ড আরোপের প্রয়োজন হইলে, শিক্ষা বোর্ডের অনুমতি গ্রহণপূর্বক দন্ড আরোপ করিতে পারিবে।
বিধি অনুযায়ী, এডহক কমিটির কাউকে চাকরিচূত করা বা নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার নেই। কিন্তু স্কুলটির বিভিন্ন শাখার শাখা প্রধান নিয়োগে নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছে এডহক কমিটির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন, উপপিরচালক স্থানীয় সরকার । অথচ এভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া বা নিয়োগ দেয়ার এখতিয়ার নেই কমিটির। এছাড়াও এখতিয়ারবহির্ভূত ভাবে প্রায় ১০০ এর উপরে শিক্ষকদের বিনা কারণে বেতন কর্তন করেছেন এই সভাপতি ।
জানা গেছে, এতে করে প্রত্যেক শিক্ষক মাসে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা বেতন কম পান। বেতন বন্ধ না করা এবং কোন রকম হয়রানি না করার জন্য শিক্ষামন্ত্রনায় গত ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ নিদের্শনা দিলেও সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন তা মানছে না এবং অনেক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করে রাখছেন। এক ভুক্তভোগী শিক্ষক মাওলানা জসীম উদ্দিন জানান বিনা কারণে তার বেতন বন্ধ করলে তিনি প্রধান শিক্ষক এর সাথে দেখা করতে গেলে উল্টো তাকে মারধর করে বের করে দেন যা জাতির জন্য দু:খ জনক। এরপর আরেক কর্মচারী জানান তার বেতন বন্ধ করলে তার পক্ষে বিভাগীয় কমিশনার বেতন দেওয়ার জন্য সভাপতিকে চিঠি দিলেও মো. ইকবাল হোসেন তা আমলে নিচ্ছেন না উল্টো ঐ কর্মচারীকে প্রানাশের হুমকি দেন।
৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারমুক্ত হয় বাংলাদেশ। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য স্কুলটিতে অবৈধভাবে একজন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিল। এছাড়া কয়েকশ কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছিল। এসব আর্থিক লুটপাটে যারা জড়িত ছিল তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে বিধিবহির্ভূত অবৈধ প্রধান শিক্ষক আখলাক আহম্মদকে স্বপদে বহাল রাখছেন অর্থ লুটপাটের ঢাল হিসেবে। মনিপুর মূল ক্যাম্পাসহ ৬ কাম্পাসে ১০ জন সহকারী প্রধানকে বিধিবহির্ভূত ভাবে সরিয়ে দিয়ে বিধিবহির্ভূত নাটকীয় পরিক্ষার মাধমে কমিটির আজ্ঞাবহ সভাপতি মো.ইকবাল হোসেন প্রত্যেকের কাছ থেকে বিপুল পরিমান অর্থের বিনিময়ে নতুন ১০ জন শাখা প্রধান নিয়োগ দিয়েছেন এতে করে সাধারণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
অভিভাবকরা বলেন সকল অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে মহামান্য হাইকোর্টের নিকট পেশ করলে মনিপুর স্কুলে সেনা কর্মকর্তা নিয়োগের আদেশ দেন যা ঐ সময়ে কামাল মজুমদার শিক্ষামন্ত্রীকে ম্যানেজ করে কার্যক্রম স্থাগিত করে রাখেন। তিনি আরও বলেন বর্তমানে যারা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তারা অভিভাবদের কোনো কথা শোনেন না তারা মজুমদারের থেকেও বেশী অনিয়ম করছেন। নিয়োগ বানিজ্য, ভর্তি বানিজ্য এবং উন্নয়নের নামে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ করছেন। এ ছাড়াও বর্তমান সভাপতি তিনি জুলাই/২৪ গণঅভ্যুত্থান বিশ্বাস করেন না কারণ, যে সকল শিক্ষার্থী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজের হোস্টেল থেকে অংশগ্রহণ করেছেন তাদেরকে রাতের অন্ধকারে গত ১৬ জুলাই অমানবিকভাবে বের করে দেন কিন্তু সভাপতির নিকট লিখিত অভিযোগ করলেও তিনি তা আমলে না নিয়ে বরং আখলাকের মাধ্যমে ঐ সকল শিক্ষার্থীদের হয়রানি করেছেন। অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা দ্রুত প্রতিষ্ঠানের সার্থে প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনার জন্য একজন সেনা শিক্ষা কোরের দক্ষ ও অভিজ্ঞ সেনা কর্মকর্তা অধ্যক্ষ হিসেবে দেখতে চান। কারণ প্রতিষ্ঠানের ফলাফল দিন দিন তলানীতে যাচ্ছে কোন সুশৃংঙ্খলা না থাকার কারনে।
এ বিষয় এডহক কমিটির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ৫ আগষ্টের পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এলোমেল ছিলো। আমি এসে স্কুলটিতে নিয়ম শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করছিলাম এরই মধ্যে আমাকে বদলি করা হয়েছে। অবৈধ এডহক কমিটির ব্যাপারটি তিনি জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যান। স্কুলে কাজের বিষয় তিনি বলেন, যে কাজ না করালেই না সেই কাজগুলো আমি করিয়েছি। স্কুলে মেয়েদের বার্থ রুম যা না করালেই না,এমন কাজ।
এমএসএম / এমএসএম

ছাত্রদলের সমাবেশে পরিপূর্ণ শাহবাগ

৩৭তম বিসিএস পুলিশ ব্যাচের নতুন কমিটি গঠিত

মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ে র্যাবের সেমিনার অনুষ্ঠিত

পিআইবি’র গণমাধ্যম ও সাংবাদিকতা বিষয়ে মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

উত্তরার বিদ্যাপিট নওয়াব হাবিবুল্লাহ এর এসএসসি উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

শুধু নির্বাচনের জন্য জুলাই অভ্যুত্থান- ছাত্রনেতা মাইদুল হাসান সিয়াম

সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে

রাজধানীর গুলিস্তানে সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন

স্টেডিয়াম এলাকায় সেনাবাহিনীর মাদকবিরোধী অভিযান

তুরাগে রাজউকের খালি প্লট দখলের অভিযোগ সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে

ই-কমার্স খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বাফেসাপ আইকনিক অ্যাওয়ার্ড পেল ই-ক্রয় ডটকম

পুষ্টি ও নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় নারীর অংশগ্রহণ শীর্ষক আলোচনা সভা
