বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক সাইফুলের টাকার উৎস কি?

বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে। জানা যায়, তিনি বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখায় প্রায় ৩ বছর দায়িত্বে ছিলেন। দীর্ঘদিন একই স্নানে থাকার সুবাদে গড়েছিলেন দুর্নীতির বিশাল এক অন্ধকার স্বর্গরাজ্য। তার অধীনে সারাদেশের ৫৩ জন উপ-পরিচালক ও সহকারী পরিচালক কাজ করেছে। এরমধ্যে শুধু ঢাকা সদরঘাট বন্দরের কিছু তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় আশুলিয়া, বুড়িগঙ্গা নদীর হাসনাবাদসহ, নারায়ণগঞ্জের কিছু অংশে নদীর পাড় দিয়ে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের একটি সীমানা পিলার দেয়া আছে। তাই সীমানা পিলার থাকার সুবাদে,যে সকল কোম্পানি কাজের জন্য নদীবন্দর এর সীমানা পিলার অতিক্রম করেছে তাদের নিকট থেকে ফুট বাই ফুট অনুযায়ী মাসোয়ারা আদায় করে সদরঘাটের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম পরিচালকের লোক।
যারা নদীর তীরে শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে ওই সকল প্রতিষ্ঠান বিআইডব্লিউটিএ'র নিকট হতে তীরভূমি লাইসেন্স গ্রহণ পূর্বক সেখানে জেটি, কনভেয়ার বেল্ট ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে মালামাল লোড আনলোড করে। এরূপ লোড- আনলোড বাবদ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত রেট চার্ট অনুযায়ী বিআইডব্লিউটিএ-কে বাৎসরিক টন প্রতি ৩০/- ত্রিশ টাকা হারে শুল্ক পরিশোধ করার নিয়ম রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা জায়, গাবতলি ল্যান্ডিং স্টেশন শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং পয়েন্ট ( ওয়াটার বাস টার্মিনাল ও ক্যান্টিনসহ) ইজারাদার মোঃ মনোয়ার হোসেন। এক বছর মেয়াদের জন্য ৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার এবং প্রতি টন পণ্য লোড- আনলোড বাবদ সকল ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে টন প্রতি নেওয়ার কথা ৩০ টাকা। অথচ গাবতলী সহ অধিকাংশ পয়েন্ট থেকেই লোড আনলোড বাবদ ৬৫ টাকা ইজারা আদায় করছেন উক্ত এলাকার ইজারাদারগন কয়েকজন কয়লা ও অন্যান্য ব্যবসায়ীর সাথে মুঠোফোনে কথা বলে জানা যায়, এমনকি তারা বলেন মুঠোফোনে এত কথা বলা যাবে না সামনে এসে কথা বলেন। আরো কয়েকজন ব্যবসায়ী দৈনিক সকালের সময়'কে বলেন, ছদ্মনাম (সম্রাট) কে মাসে ১৫ হাজার টাকা দিতে হয়,ছদ্মনাম(রাজাকে) মাসে ২০ হাজার টাকা দিতে হয়। সেই সুবাদে ফায়দা নিচ্ছেন বিআইডব্লিউটিএ এর কিছু অসাধু কর্মকর্তাও কর্মচারীরা, অপরদিকে রাজস্য হারাচ্ছেন সরকার। তাছাড়াও সিন্নিরটেক ও আমিনবাজার এলাকায় নদী দখল করে গড়ে তুলেছেন একাধিক খাবার হোটেল এবং গাড়ি পার্কিং এর জায়গা।গাবতলী এলাকায় মির সিমেন্ট কোম্পানি বিআইডব্লিউটিএ'র সীমানা পিলার অতিক্রম করে ১০ থেকে ১২ গজ নদীর ভিতরের দিকে যাচ্ছে। ঠিক এরকম শতাধিক প্রতিষ্ঠান নদীবন্দর এর নির্দিষ্ট সীমানা পিলার অতিক্রম করে তাদের প্রতিষ্ঠান চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও অনেকেই বিআইডব্লিউটিএ'র জমি বা ফোরশোর ব্যবহারের আবেদন করেই জায়গা ভরাট করছে। এখন জনমনে প্রশ্ন আসতেই পারে নদীবন্দর কর্তৃপক্ষই কি ভূমি দস্যদের ভূমি দখলে সহযোগিতা করে থাকেন? নাকি কালো চশমার অন্তরালে জনগণের টাকা খেয়ে সরকারের চেয়ারে বসে খোঁত সরকারের চোখে ধূলো দিয়ে সরকারকেই ঠকাচ্ছেন? এদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না বন্দর শাখার সকল বৈধ ও অবৈধ স্থাপনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পথচারী ও একাধিক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানায়, প্রতিমাসেই বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাট থেকে লোক এসে প্রত্যেকটা ব্যবসায়ীর নিকট থেকে টাকা নিয়ে যায়। তারা আরও জানায় নদীর সীমানা পিলার এবং ছোট-ছোট সেতু ঘেঁষে বালু,কয়লা, সিমেন্ট ও পাথর রাখায় অতিরিক্ত চাপে ঐ সকল সীমানা পিলার ও সেতু ভেঙে যাচ্ছে। যে কারনে ভূমি দস্যুরা নদী দখল করতে সুযোগ ও সাহস পায়। তাছাড়া ও নিজেদের ইচ্ছেমত যেখানে - সেখানে পণ্য লোড- আনলোডের ঘাট বানিয়ে নেওয়ার ফলে নদী হারাচ্ছে তার নাব্যতা ও সৌন্দর্য।
বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক সাইফুলের অর্জিত অবৈধ সম্পদের সামান্য কিছু অংশ যার মৌজা পাইকপাড়া ১৬ মোহাম্মদপুর জমির পরিমাণ ৭৮.১০, মৌজা সেনপাড়া মোহাম্মদপুর ০০৩৪, মৌজা সেনপাড়া মোহাম্মদপুর ০০৪৭,শ্যামলাপুর সাভার ঢাকা ২০ শতক , এছাড়াও লালমনিরহাট সদর নিজ এলাকার কুরুল,দুড়াকুটি,তালুকখোঁটামারা ও খোচাবাড়ী মৌজাই ২০০ শতক জমি কিনেছেন।
বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে মন্তব্য জানতে বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক মোঃ সাইফুলের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি দৈনিক সকালের সময়'কে বলেন, আমি প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা বেতনের টাকা দিয়েই এ সকল সম্পদ অর্জন করেছি।
এমএসএম / এমএসএম

বিসিক মুদ্রণ শিল্পনগরী প্রকল্পের মাটি ভরাটের প্রিলেভেল সার্ভে কাজে প্রকল্প পরিচালকের অনিয়ম-দুর্নীতি

মাদারীপুরের আলোচিত মিথ্যা মুক্তিযোদ্ধার কোটায় একই পরিবারের চারজন করছেন সরকারি চাকরি

নিষিদ্ধ হলেও হিযবুত তাহরীরের প্রকাশ্যে কর্মসূচী ঘোষণা

মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের ট্রেনিং কমপ্লেক্সের অফিসার তৌহিদুলের শাস্তি দাবি

বিসিকের প্রকল্প পরিচালক মোঃ রাকিবুল হাসানের ঘুস-দুর্নীতি সমাচার

জমি ক্রয়ের নামে ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রবাসি স্বামীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখার সাবেক পরিচালক সাইফুলের টাকার উৎস কি?

নার্গিসকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া হোক

গাজীপুর গণপূর্তের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ

গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী আতিকের ঢাকায় ১৯ বছরের লুটপাটের রাজত্ব

মসজিদের নামে জমি দখলের চেষ্টা করছে মল্লিক বিল্ডার্স

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ডিজি আবু সুফিয়ান এর বিরুদ্ধে অবৈধভাবে টেন্ডার বাতিল এর অভিযোগ
