রাজউকের লোক দেখানো অভিযান
ভেঙে দেয়া ইমারত রাজউকের সহয়তায় নির্মাণ

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সিদ্দিকুর রহমান সরকার সম্প্রতি বলেছেন, বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) সংশোধন করা হচ্ছে। ফারের মান বাড়ানো হয়েছে। ড্যাপ রিভিউ কমিটি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ে আছে, আশা করি এক মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হয়ে যাবে। সিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, ভবনের অনুমতি নিতে হলে কমপক্ষে ২০ ফুট রাস্তা থাকতে হবে। এর নিচে হলে ভবনের অনুমোদন দেওয়া হবে না।
আরো কত কী ? বললেন (রাজউক)এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সিদ্দিকুর রহমান সরকার। সম্প্রতি ১৮ ফেব্রুয়ারিতে জোন ৫/৩ এর আওতাধীন এলাকা বংশাল চানখারপুল, নিমতলি, মাজেদ সরদার লেন, রাজউক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বেশ কয়টি নকশা বহির্ভূত অবৈধ ভবন আংশিক ভেঙে অপসারণ করা হয় ও রওশন নবাব টাওয়ার হোল্ডিং ৪১/১ (যার নির্মাতা কোম্পানি ভিভো বিল্ডার্স লি:) নবাব কাটারা নিমতলি বংশাল এই ভবন সামনের একটি কলম ভেঙে ফেলা হয়।
১৮ তারিখ এ উচ্ছেদ পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন অথরাইজড অফিসার মেহেদী হাসান খান, সহকারি অথরাইজড অফিসার ইসমাইল হোসেন, প্রধান ইমারত পরিদর্শক সুজন আহমেদ, ইমারত পরিদর্শক তৌফিক উজ্জামান, ইমারত পরিদর্শক আব্দুল আলিম তালুকদার, ইমারত পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া, ইমারত পরিদর্শক শাহিন আরিফুল ইসলাম, ইমারত পরিদর্শক বিধান চন্দ্র কর্মকার। কিন্তু ঠিক ৬ দিন এর মধ্যে সেই উচ্ছেদকৃত ভবনের কলম পুনরায় স্থাপন করেন ভবন মালিক তাও আবার রাজউক এর সহায়তায়, এটা বিষয়ে ‘ভিভো বিল্ডার্স লি:’ কর্তৃপক্ষ বলেন, রাজউককে ম্যানেজ করে করেছি, ওই এলাকায় জনসাধারণ জানান যে এই হচ্ছে রাজউক এর লোক দেখানো উচ্ছেদ, আবার দুইদিন পর থেকেই রাজউককে সহয়তায় নির্মাণ।
এই দৃশ্যটি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সিদ্দিকুর রহমান সরকারকে ডেকে দেখিয়ে দেয়া দরকার। তাহলে রাজউক অর্থবহ হত ও ভবন মালিক ভয় পেতো তারা আর অনিয়মভাবে ভবন নির্মাণ করতেন না, আর অবৈধ ভবন মানেই বাসিন্দাদের জীবন ঝুকিতে ফেলা।
আর যেগুলো ভবন নির্মাণে আংশিক অনিয়ম ঘটিয়েছে সেগুলো বিধানের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সিদ্দিকুর রহমান সরকার স্বীকার করে সেদিন বলেন, ঢাকা অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। মেজর জেনারেল (অব:) সিদ্দিকুর রহমান সরকার তথ্য দেন, রাজউক এলাকায় ৯৬ শতাংশ ভবন নিয়ম বহির্ভূতভাবে নির্মাণ হয়েছে। এরমধ্যে অধিকাংশ ভবনই পুরোনো। এছাড়াও কিছু ভবন নিয়ম বহির্ভূতভাবে হয়েছে। তবে যেগুলো বেশি আইন ভঙ্গ করেছে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাজউকের অবস্থান জিরো টলারেন্স।
ইতিমধ্যে একজন পরিচালকসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। তবে বর্তমানে (রাজউক)এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব:) সিদ্দিকুর রহমান সরকার বিভিন্ন ইতিবাচক কথা বললেও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) এখনো বহুল আলোচিত সমালোচিত বরং ক্রমাগত দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত হচ্ছে। জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকার একটি বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে রাজউকের পিছনে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে বেশীরভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী এখন ধনদৌলতের মালিক হয়েছেন। সংস্থাটি আওতাধীন মালিকরা নকশা অনুমোদনের আবেদন করেন ঠিকই কিন্তু অনুমোদন পাওয়ার পরে নিয়ম ভেঙ্গে চলেছেন প্রায় সকল মালিক।
আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে রাজউক জোন ৫/৩ এর কর্মকর্তা হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের টাকা। ভবন মালিকের নিকট হতে মোটা অংকের ঘুষ নেওয়ার কারণে তাদেরকে দিতে হয় অবৈধভাবে ভবন নির্মানের সুযোগ। ১ম তলা থেকে ১০ম তলা পর্যন্ত নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করা হলেও রাজউকের নজর পড়েনা। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় নির্মাণাধীন ভবন হতে পড়ে শ্রমিক আহত, নিহত হলেও রাজউক কোনো দায় নেয় না। সাংবাদিকরা নিয়মবহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করার পর ভবন মালিককে রাজউক দায়সারা নোটিশ দিয়ে ডেকে এনে চলে মোটা অংকের ঘুষবাজি।
মোবাইল কোর্টের নামে আতংক সৃষ্টি করে হুইল এক্সেডেটরের তেল চুরি থেকে শুরু করে ভবন মালিকের থেকে নেওয়া হয় মোটা অংকের টাকা। দুই একটি ভবন ভাঙ্গার নজির, আংশিক ভেঙে ফেলা এবং ব্যত্যয়কৃত অংশ ভবন মালিককে নিজ দায়িত্বে অপসারনের অঙ্গীকার নামক প্রক্রিয়া সবটাতেই ঘুষ নির্ভর, জনগণের ভ্যাট-ট্যাক্সের টাকায় চলে রাজউকের এই সব ঘুষ খোর ও দুর্নীতিবাজরা।
রাজউকের কয়েকটি জোনের ইমারত পরিদর্শক ও অথরাইজড অফিসার মিলে পুরো রাজউককে দুর্নীতির আখড়ায় পরিনত করেছে। রাজউক ৫/৩ জোনের কিছু কর্মকর্তা ও ইমারত পরিদর্শক বিরুদ্ধে অবৈধভাবে নির্মিত ভবন মালিকদের নিকট থেকে নোটিশ বাণিজ্য করে লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে, পুরনো ঢাকা নয়াবাজার মিটফোর্ড আরমানিটোলা, বংশাল নাজিরাবাজার চকবাজার নাজিমুদ্দিন রোড, হাজারীবাগ, লালাবাগ আজিমপুর, ধানমন্ডি, চানখাপুলসহ বিভিন্ন এলাকায় অনুসন্ধান করে দেখা যায় যে বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন ঠায় দাঁড়িয়ে আছে মাথা উচু করে কিন্তু রাজউক তা দেখেয়েও নিশ্চুপ থাকেন বরং ঝুঁকিপূর্ণ বহুতল ভবন মালিকদের পক্ষেই মানসিকভাবে সমস্ত কাজ করতে চান।
কিছু ভবনে বাণিজ্যিকভাবে ভাড়াও চলে বেস্টমেন্টের পরিবর্তে দেওয়া হয় অবৈধ কারখানা এই ভবনগুলোতে কোন প্রকার দুর্ঘটনা বা অগ্নিকাণ্ড ঘটলে আদৌ কি দায়ভার নেবেন রাজউক কর্তৃপক্ষ। এমনিতেই বাংলাদেশ অতিমাত্রার ভূকম্পন প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এমন অবস্থায় রাজউকের অনুমোদন ব্যতিরেকে ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ স্থাপনা তৈরী করার মানে হলো, বাসিন্দাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা। কারণ এটি নির্মাণ করা হচ্ছে শুধুমাত্র ভাড়া দেয়ার জন্য।
জামিল আহমেদ / এমএসএম

গণপূর্তের ইএম কারখানা বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইউসুফের দুর্নীতির রাজত্ব

দুর্নীতিতে পিছিয়ে নেই এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলীগন

‘এনবিআর’এ স্বৈরাচার সরকারের পালিয়ে থাকা চক্রের চক্রান্ত

প্রাণ ধ্বংসকারী কোম্পানি প্রাণ

বিসিএসআইআরের ৬ কোটি টাকার যন্ত্রপাতি কেনায় ভাগ বাটোয়ারা

কোতোয়ালীতে অপহৃত ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

রেজিস্ট্রি অফিসের প্রভাবশালী নকলনবিশের কাণ্ডঃ মন্ত্রীদের প্রভাবে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

বিসিক এর নীরিক্ষা কর্মকর্তা সাবধান আলী হতে সাবধান!

কেরানীগঞ্জ উপজেলার রাজাবাড়ী রোডে অবৈধ এলপিজি বটলিং প্লান্ট এর সন্ধান

গডফাদার মুরাদ জং-এর বোন পরিচয়ে দলিল দাতা-গ্রহীতাদের জিম্মি করার অভিযোগ

গাজীপুরের কাশিমপুরে সরকারি খাস জমি ভূমিদস্যুদের দখলে

বগুড়ায় সাবেক অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে 'ফ্যাসিস্ট সিন্ডিকেটের' মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
