ফেনীর ফুলগাজীতে ফের বাঁধভেঙে ১০ গ্রাম প্লাবিত

ফেনীর ফুলগাজীতে বাঁধ ভেঙে আবারো বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। গতকাল রাত থেকে একটানা বৃষ্টি হলে নদীতে পানি আরো ফুলে ফুঁসে উঠে বিপদসীমার ঊর্ধ্বে প্রবাহিত হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে মুহুরী নদীতে পানি বিপদসীমার ১৪২ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে ফেনী পাউবোর সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়। রাতে নতুন করে ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের জয়পুরে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের আরো একটি অংশে ভাঙন দেখা দেয়। আজ সকাল ১০টার দিকে পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামে কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের একটি অংশ ভেঙে যায়। বর্তমানে দুই নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি ভাঙন স্থান দিয়ে তীব্রবেগে পানি ঢুকছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে একের পর এক বিস্তীর্ণ এলাকা।
এ পর্যন্ত বন্যায় ১০ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে। পরশুরাম-ফুলগাজীর আঞ্চলিক সড়ক ডুবে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে মানুষের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, মসজিদ, মক্তব, ফল-ফসলি জমি, বাগান, ক্ষেত-খামার ও পুকুরে চাষের মাছ। পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন কিসমত ঘনিয়ামোড়া, পূর্ব ঘনিয়ামোড়া,পশ্চিম ঘনিয়ামোড়া, জয়পুর, উত্তর দৌলতপুর, সাহা পাড়া, দুর্গাপুর, রতনপুর ও সাতকুচিয়াসহ ১০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। বন্যাকবলিত মানুষজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। ঘরবাড়িতে পানি উঠে যাওয়ায় অনেক পরিবারের মানুষজনকে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিতে দেখা যায়। বন্যাদুর্গত এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোনো খাদ্য সহায়তা পৌঁছেনি বলে জানা গেছে। ওই সব এলাকায় বন্যার পানিতে টিউবওয়েল ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
দুর্গত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, বন্যায় ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় গত দুদিন যাবৎ রান্না করে খেতে পারেননি। ফুলগাজী বাজার থেকে কলা, মুড়ি ও চিঁড়া এনে খেয়েছেন অনেকে, কেউ এখনো পর্যন্ত খবর রাখেনি। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে তাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। অনেক দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে হয়। তারা শান্তিতে বসবাস করতে চান। তারা সেনাবাহিনীর মাধ্যমে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়াসহ এই তিন নদীর পুনরায় টেকসই বাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
এদিকে জয়পুরের পশ্চিমে মিঝিবাড়িসংলগ্ন মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধটি ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে নতুন এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সরেজমিন দেখা যায়, নদীর বাঁধের প্রায় ১২০ মিটারেরও বেশি অংশ ভেঙে গেছে। সেখানে মিঝিবাড়ি, বদিবাড়ি, মন্দারবাড়ি, অহিদুর রহমানের বাড়ি ও ফকিরবাড়ির প্রায় ৭০০ পরিবারের মানুষ চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন।
সেখানে বসবাসরত মো. মোস্তফা, এয়াকুব ও মো. রুস্তম বলেন, বিগত এক বছর যাবৎ সেখানে নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে এ বিষয়ে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ভাঙন রোধে কেউ এগিয়ে আসেননি। স্থানীয় এলাকাবাসী মিলে গত ৩-৪ দিন আগ থেকে চাঁদা তুলে ভাঙন স্থানে ৪০০ মাটিভর্তি ব্যাগ, গাছের খুঁটি ও রশি দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এখনো পর্যন্ত ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙন মেরামতে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাননি তারা।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সার্ভে) আরিফুল ইসলাম জানান, গতকাল থেকে মুহুরী ও কহুয়া নদীর বেড়িবাঁধের ৩টি স্থানে ভেঙে যায় এবং ৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি না হলে নদীর পানি কমে যাবে। তবে নদীতে পানি এখনো বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে তিনি জানান।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম বলেন, মুহুরী নদীর ভাঙনে ৮-৯টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যাদুর্গতের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে।
জামান / জামান

কেশবপুরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা তবিবুর এক সন্তানের জননী নিপা দাসকে নিয়ে চম্পট

মহেশখালীতে রাতে অপহরণের পর সকালে মিলল যুবকের লাশ

আবার রোহিঙ্গা ঢলের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

তানোরে চাষাবাদে গরুর বদলে বাড়ছে ঘোড়া দিয়ে মই চাষ

উল্লাপাড়ায় কষ্টি পাথরের মূর্তি পাচারকারী দুই জন গ্রেফতার

বরগুনায় তিন সংসদীয় আসন পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন

রাজশাহী-১ আসনে শরিফ উদ্দিনের বিরোধিতা না বিএনপির বিরোধিতা

টেকনাফে মুক্তিপণে ফিরেছে অপহৃত ব্যবসায়ী

কোচিং-এর গোলকধাঁধায়, শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে গুরুত্ব নেই

হাসিনা বাংলাদেশকে গুম-খুন আর লুটের রাজ্যে পরিণত করেছিল: আব্দুল খালেক

দাউদকান্দির ধারিবন গ্রামে একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ, পানিবন্দি কয়েকটি পরিবার

ভূরুঙ্গামারীতে ব্র্যাকের স্বপ্ন সারথি দলের জীবন দক্ষতা বিষয়ক ২৫তম সেশন অনুষ্ঠিত
