বারহাট্টায় জমে উঠেছে ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলা

বারহাট্টার কংশ নদের তীর্থস্নান ঘাটে সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় আচার বারুণী স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারুণী স্নান উপলক্ষে আসমা বাজারে দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বারুণী মেলার আয়োজন করা হয়েছে। দিনব্যাপী এ মেলাতে বিপুল সংখ্যাক মানুষের সমাগমে উৎসব আমেজ বিরাজ করছে।
ভোর থেকে 'মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদ্বশী' তিথি নক্ষত্র যোগে কংশ নদের তীর্থস্নান ঘাটে দূর-দূরান্ত থেকে পুণ্যার্থীদের আগমন ঘটে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভক্ত-পুন্যার্থীদের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঘাট এলাকা।
হিন্দু ধর্মালম্বীদের পুণ্য স্নানানের মধ্য দিয়ে (২৭ মার্চ) বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে দিনব্যাপী বারুণী মেলা। প্রতি বছরের মতো এবারও চৈত্র মাসের মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগে শুরু হয়েছে বারুণী পূণ্যস্নান ও মেলা।
সরেজমিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে, মেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের পন্য সাজিয়ে বসে আছেন দূর-দূরান্ত থেকে আসা বিক্রেতারা। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী ক্রয় করছেন মেলায় ঘুরতে আসা লোকজন। মেলায় মাটির তৈরি গরু, হাতি-পাতিল, ঘোড়া, উট, বক, পুতুল ইত্যাদি খেলনার পসরা সাজিয়ে বসে আছে বিক্রেতারা। এছাড়াও মেলায় উঠেছে বিভিনধরনের প্লাস্টিকের খেলনা ও গৃহস্থলি সামগ্রীসহ অনেক জিনিস। রয়েছে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন মুখরোচক খাবার দোকান। ক্রেতারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন সামগ্রী কিনে নিচ্ছেন।
বারুণী মেলায় ঘুরতে আসা উপজেলা সদরের গড়মা এলাকার বাসিন্দা সমীন্দ্র দত্ত বলেন, আমরা ছোট বেলা থেকে এ মেলা দেখে আসছি। আগে আমরা আমাদের বাবা-দাদা’দের সঙ্গে এ মেলায় আসতাম। তবে কালের আর্বতে ও আধুনিক জীবন যাপনের কারণে বর্তমানে লোকজ সংঙ্কৃতির এই ঐতিহ্যবাহী মেলাগুলোর উৎকর্ষতা আগের মত নেই। আগে বারুণী মেলার আনন্দই ছিল আলাদা।
বারহাট্টা সদরে মেলায় পণ্য সামগ্রী কিনতে আসা রিনা সরকার বলেন, বারহাট্টায় বিয়ে হয়ে এসেছি প্রায় ৩৫ বছর হলো। বারুণীর মেলার আনন্দটাই অন্য রকম। এখানে আমাদের ছোট বেলার নানা মুখরোচক খাবারের সমাহার রয়েছে। যা আমাদের শৈশব কৈশোরের স্মৃতিতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা আক্কাস আলী ও এসএম রতন জানান, এটি সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও স্নান ও মেলার নিরাপত্ত্বায় এলাকার সকল ধর্ম-মতের মানুষ সমবেত হন। এটি আমাদের পুরনো দিনের একটি দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।
পুরোহিত রুপক চক্রবর্তী বলেন, স্কন্দ পুরাণ অনুযায়ী চৈত্র মাসের কৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে শতভিষা নক্ষত্র যোগ হলে সেই তিথি বারুণী নামে পরিচিত। এই তিথিতে স্নান করলে বহুশত সূর্যগ্রহনের জন্য গঙ্গাস্নানের যে ফল সেই ফল লাভ করা যায়। হিমালয় কন্যা গঙ্গার অপরনাম বারুণী। বারুণী স্নান এখানে গঙ্গা স্নানেরই প্রতিরুপ।বাঙলা সনের প্রতি চৈত্র মাসের শতভিষা নক্ষত্রযুক্ত মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে এই স্নান অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরও বলেন, সনাতন ধর্ম মতে, পাপ মোচনের আশায় মন্ত্রপাঠ করে নদীতে স্নান করতে সমবেত হন পুণ্যার্থীরা। পরে ঘাটে বসে থাকা সাধু-বৈষ্ণবদের অর্থ ও খাদ্য দান করা হয়।
দিনব্যাপী আয়োজিত এ মেলায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ সদস্যারা সার্বক্ষণিক মেলার চারদিক নজরদারি রাখছেন বলে জানিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসন।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
