ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

তানোরে ইউএনও অফিসের মুকুল ও মুকলেসের কাছে জিম্মি সেবা প্রত্যাশীরা


সোহানুল হক পারভেজ, তানোর photo সোহানুল হক পারভেজ, তানোর
প্রকাশিত: ১৫-৪-২০২৫ দুপুর ১১:১৯

রাজশাহীর তানোরে ইউএনও অফিসের মুকুল ও মুকলেসের কাছে জিম্মি সেবা প্রত্যাশীরা। মূলত এরা দু’জন কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে চাকুরি করার কারণে বেপরোয়া তারা। সম্প্রতি গেলো ২৫ মার্চ রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবর এমন লিখিত অভিযোগ করেন তানোর পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব আলম। তার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ এপ্রিল তদন্ত করা হয়েছে। কিন্তু তদন্তের ৭ দিনেও কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযোগ ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, তানোর ইউএনও অফিসের সিএ (উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা) মো. মুকুল হোসেন গত ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে যোগদান করেন। এরআগেও ২০২১ সালে বছর খানেক এখানে ছিলেন তিনি। ওই সময় ব্যাপক অনিয়ম-দূর্নীতির কারণে তাকে নাটকীয় ভাবে অন্যত্র বদলি করা হয়। পরে উপর মহলে তদবির করে আবারও ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে যোগদান করেন তিনি। সেই সময়ে তার দূর্নীতি খাত চেনা থাকায় সহজে তিনি ইউএনও অফিসের প্রসেস সার্ভার (জারীকারক) মো. মুকলেস আলীর মাধ্যমে বিভিন্ন খাত হতে বিপুল পরিমান অবৈধ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন। কোন ব্যক্তি পুকুর সংস্কার বা ভরাটের বিষয়ে আবেদন করলে সিএ মুকুল হোসেন মোটা অঙ্কের টাকা চুক্তি করে ওই আবেদন ইউএনওর কাছে তার নিকটস্থ ব্যক্তির নামে তদন্তের সুপারিশ করে নেয়া হয়। পরে ওই আবেদনপত্রে মাটিবহন ব্যাতিত সংস্থার অনুমতি দেয়া হল বলে লিখে দেন ইউএনও। এমন অর্ডারে মুকুল ও মুকলেসের শুরু হয় দেনদরবার অর্থ বাণিজ্য। সম্প্রতি এরা যোগসাজস করে অবৈধ পুকুর খনন ও ভরাটে প্রতিনিয়ত মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তবে, যারা চাহিদা মতো টাকা দেয় না তাদের বিরুদ্ধে ইউএনওকে ভুল ভাল বুঝিয়ে পুকুর খননের ভেকু মেশিন জব্দ করে রাখছেন তারা। তাদের এসব অনিয়ম-দূর্নীতি ও হয়রানির বিষয়ে একটি অভিযোগ তানোর পৌর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহাবুব আলম ডিসি বরাবর দাখিল করেছেন। কিন্তু অভিযোগের ব্যাপারে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা প্রশাসনের একাধিক কর্মকর্তা জানান, সিএ মুকুল হোসেন ও জারীকারক মুকলেস আলীর বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে চাকরি করাটাই কঠিন হয়ে যাবে। তাই কিছু বলতে সাহস পায় না কেউ। আর মুকলেস আলী স্থানীয় হবার দাপটে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরকে ভীতস্থের মধ্যে থাকতে হয়। এছাড়াও ইউএনও অফিসের চিঠিপত্র কোন ইউপি চেয়ারম্যান বা কোন দপ্তরে নিয়ে গেলে বহন খরচ বাবদ ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা বকশিস হিসেবে দিতে হয়। অন্যথায় বিভিন্ন কৌশলে আদায় করে নেয় মুকলেস। তবে, এমন অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন সিএ মুকুল হোসেন ও জারীকারক মুকলেস আলী। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লিয়াকত সালমানের মোবাইলে ফোন দেয়া হলে প্রোগ্রামে ব্যস্ত আছি বলে সংযোগ বিছিন্ন করেন তিনি। এব্যাপারে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, এসংক্রান্ত ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অফিসার তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ডিসি।

এমএসএম / এমএসএম

পটুয়াখালী-১ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শহিদুল ইসলামের পক্ষে শহীদ পরিবারের মনোনয়ন সংগ্রহ

দেবিদ্বারে এনসিপি প্রার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে শহীদ পরিবারের অংশগ্রহণ, ছড়িয়ে পড়ল আবেগঘন বার্তা

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান নেতাকর্মীদের

মোরেলগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতা মনিরসহ ৬ প্রার্থীর দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

মহেশখালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারকে ২ মাসের কারাদণ্ড

রাজশাহীতে মাধ্যমিক স্তরের বই স্কুল পর্যায়ে পৌঁছানো শুরু

কালিয়ায় অবৈধভাবে টপ সয়েল কাটায় দুইজনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

নারায়ণগঞ্জে আমান সিমেন্ট এর ব্র্যান্ড প্রমোশনাল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে চলাচলের রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ইউএনও বরাবর আবেদন

হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অভিযানঃ দুই ড্রেজার জব্দ, ছয়জনের কারাদণ্ড ও ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা

‎কক্সবাজার-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন আলহাজ্ব আলমগীর মোহাম্মদ মাহাফুজউল্লাহ ফরিদ

কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

মধুখালীতে মোটর বাইক চোরচক্রের সদস্য গ্রেফতার