বিমান যোগে বিদেশেও পেটে বহন করা হচ্ছে ইয়াবা
অভাবির পেটের ভাড়া ৩০ হাজার টাকা

অভাবের তারণায় মানুষ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। আর এই অভাবকে পুঁজি করে একশ্রেনীর মানুষ পেটের দায়ে পেটভাড়া দিচ্ছেন। আর সেই অভাবির পেট ভাড়া নিয়ে মাদক পাচারকারীচক্র কোটি কোটি টাকার ইয়াবা দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সরবরাহ করছে। এই পেট ভাড়া দিতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। তারপরও এই পেশা থেকে বিরত থাকছে না।
জানা গেছে,গত শুক্রবার সাকালে বগুড়ার চারমাথা এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযোগ চালিয়ে অভিনব কায়দায় পেটের ভিতরে ইয়াবা বহনের সময় এক মাদক কারবারিসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. আলম (৪০), তার বাবার নাম মো. ছামাদ। জয়পুরহাট জেরার কালাই থানার জামুড়া গ্রামে তাদের বাড়ি। তার পেট থেকে ১৩টি প্যাকেট ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ১৩টি প্যাকেটে ১ হাজার ৭০০টি ট্যাবলেট ছিল। আরও ২১টি প্যাকেট মেডিসিল থেরাপির মাধ্যমে পেট থেকে বেড় করার অপেক্ষায় ছিলেন গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আলম তার পেটের ভেতরে ৩৪টি প্যাকেট মোট ১ হাজার ৭০০ পিস ইয়াবা ঢুকিয়ে টেকনাফ থেকে বাস যোগে বগুড়ায় যাওয়ার পথে গ্রেফতার হন। এসময় তার অপর দুই সহযোগিত মো. আপেল (৩৫) ও তার স্ত্রী মোছা. স্মৃতি বেগম (৩০)। তারা দু’জনেই বগুড়ার চকসূত্রাপুর চামড়া গুদাম এলাকার পারভীন আক্তারের বাসায় ভাড়া থাকতেন। গ্রেফতারকৃত আপেলের বাবার নাম মৃত তৈমুর এবং স্মৃতির বাবার নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম। তারা বগুড়া শহরের আটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-১) সকালের সময়কে জানান, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি আমাদেরকে জানিয়েছেলেন যে, তার পেটে ৩৪টি পোটলা প্রতি পোটলায় ৫০ পিস করে ইয়াবা রয়েছে। এরপর চিকিৎসকের সহায়তায় আমার মোট ২৮টি পোটলায় মোট ১৪শ’ ইয়াবা পেয়েছি। এরপর আটককৃদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। শুধু দেশেই নয়, পেটের দায়ে পেট ভাড়া দিয়ে বিদেশেই ইয়াবা পাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা গেছে।
পেটের ভেতর ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ হাজার ৯ পিস ইয়াবাসহ মো. শাহ আলম শেখ (৪১) নামে একজন মাদক পাচারকে গ্রেফতার করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। গত ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিমানবন্দর থানায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সুত্র জানায়, বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অভ্যন্তরীন বিজি-৪৩৪ (ইএ-৪৩৪) ফ্লাইট যোগে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ইয়াবা পাচারের সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহ আলম শেখকে বিমানবন্দর বলাকা ভবনের উত্তর পার্শ্ব এলাকা থেকে আটক করা হয়। এরপর তাকে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ অফিসে নিয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি পাকস্থলীতে সুকৌশলে ইয়াবা পরিবহন করার কথা স্বীকার করেন। পরে এয়ারপোর্টে কর্তব্যরত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে এক্স-রে পরীক্ষায় তার পেটে ডিম্বাকৃতির ৪১টি বস্তুর সন্ধান মেলে।এরপর রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে তার পায়ুপথ দিয়ে প্রাকৃতিক কার্য সম্পাদনের মাধ্যমে কসটেপ মোড়ানো অবস্থায় ৪১ পোটলা ইয়াবা ট্যাবলেট বের করা হয়। পোটলাগুলো খুলে মোট ২ হাজার ৯ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। আটক শাহ আলম শেখ দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত বলে জানা গেছে। এর আগে গত ২০২৪ সালের ৮ নভেম্বর বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের হাতে একই পদ্ধতিতে মাদক পরিবহন করতে গিয়ে ৩ হাজার ৮০ পিস ইয়াবাসহ জুয়েল মিয়া (৩৩) এবং ১৬ ডিসেম্বর ৩ হাজার ৫৮৮ পিস ইয়াবাসহ মো. পলাশ (২৮) নামে আরো দুইজন মাদক কারবারীকে আটক হয়। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা জানান, আগের তুলনায় ইদানিং বিমানবন্দর ব্যবহার করে মাদক পরিবহনের তৎপরতা বেশী লক্ষ করা যাচ্ছে। আমরা বিমানবন্দর ঘিরে সকল অপরাধ কার্যক্রম রোধে সচেষ্ট আছি।
গত ২০২০ সালের ১৭ জানুয়ারি জুলহাস মিয়া নামের এক ব্যক্তি সংসারে খুব অভাবের তারনায় চাকরির খোঁজে নেত্রকোনার কেন্দুয়া থেকে ঢাকায় আসছিলেন। কিন্তু সংসারের অভাব মোচনের আগেই তার জীবনের বাতি নিভে যায়। মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় তার পরিবার জুলহাস মিয়ার মৃত্যুর সংবাদ পায়। খবর পেয়ে তার ছোট ভাই ছুটে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে। হাসপাতালের মর্গে দায়িত্বরত পুলিশের কাছে জানতে চান তার ভাইয়ের কি হয়েছিল। পরে পুলিশ তাকে জানান, গত ২৬ এপ্রিল ভোর সাড়ে ৫টার দিকে মতিঝিলের বিশ্বাস টাওয়ারের মারাত্বক অসুস্থ অবস্থায় তার ভাই জুলহাস পড়েছিলেন। খবর পেয়ে মতিঝিল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান তার ভাইয়ের মাথায় পথচারীরা পানি ঢালছেন। পরে তাকে উদ্ধার করে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ঢামেক মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকের। তার পেট কেটে ইয়াবা ট্যাবলেটভর্তি ১২টি প্যাকেট দেখতে পান। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি গলে যাওয়ার কারণে জুলহাস মারা গেছেন।
এভাবে অভাবের তারণায় পেট ভাড়া দিয়ে ইয়াবা বহনের আত্মঘাতী ঘটনা ক্রমেই বাড়ছে। দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে বিশেষ এ কৌশল নিয়েছে পাচারকারী চক্র। আর অল্প শ্রমে বাড়তি উপার্জনের লোভে এ কাজে জড়িয়ে পড়ছে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা, শিশুসহ দিনমজুররাও।
সূত্র জানায়, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসে বেশ কয়েকজন ইয়াবা পাচারে পেট ভাড়া নেওয়ার কাজ করে থাকেন। অর্থের লোভ দেখিয়ে টোপে ফেলেন হতদরিদ্রদের। এ কাজের জন্য তাদের দেওয়া হয় বিশেষ প্রশিক্ষণ। প্রথমে ৪০ থেকে ৫০টির মতো ইয়াবা স্কচটেপে জড়িয়ে জলপাই বা জামের আকৃতিতে প্যাকেট করা হয়। এগুলো কখনো কলার ভেতরে ঢুকিয়ে মুখ দিয়ে গিলে খাওয়া হয়, আবার কখনো বিশেষ কৌশলে মলদ্বার দিয়ে পেটের ভেতরে ঢোকানো হয়। শুধু তা-ই নয়, চলার পথে যাতে পায়খানার বেগ না হয়, সে জন্য ওষুধও খাওয়ানো হয় তাদের। পরে রাজধানী ঢাকাসহ তাদের নির্দিষ্ট গন্তব্যে আসার পর পুনরায় ওষুধ খাইয়ে মল ত্যাগের মাধ্যমে বের করা হয় এসব ট্যাবলেট। সেই চালান অন্য একটি পক্ষ বুঝে নিয়ে তা সরবরাহ করে বিভিন্ন এলাকায়। চালানভেদে যাতায়াত খরচ ছাড়াও ৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয় বহনকারীদের। বিভিন্ন সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা স্বীকারোক্তিতে জানিয়ে আসছেন, কেউ পেটের দায়ে আবার কেউ অর্থের লোভে ভয়ংকর কৌশলের এ ফাঁদে পা দিয়েছেন। এ কাজ করতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, এত বেশি ইয়াবা পেটের ভেতরে করে আনা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ যে কোনো সময় পলিথিন ফেটে বা লিক হয়ে ইয়াবা পাকস্থলীতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। পেটের ভেতর ইয়াবা-স্বর্ণ ঢোকালে প্রাথমিকভাবে পেটব্যথার উপসর্গ দেখা যেতে পারে। আর ধারাবাহিকভাবে এ কাজ করলে তৈরি হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি।’
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এক সূত্র জানায়, অভিযান ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের পরও ইয়াবা পাচার থামছে না। উল্টো নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে কারবারিরা। সড়ক ও নৌপথে তল্লাশি এড়াতে এবং সময় বাঁচাতে তারা এখন আকাশপথকেই নিরাপদ মনে করছে। এ পথে ইয়াবা পাচারকারীদের বড় একটি অংশই হচ্ছে নারী। পেটের পাশাপাশি তারা নিজেদের যৌনাঙ্গ সহ স্পর্শকাতর অঙ্গও ভাড়ায় খাটায়। এসব অঙ্গে ইয়াবাভর্তি ছোট ছোট প্যাকেট কনডমে ভরে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে গত ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৭ মাসে ৬৮টি ঘটনায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে ১ লাখ ৭৫ হাজার ১৬২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় প্রায় ৮০ জনকে গ্রেফতারও করে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নসহ (এপিবিএন) বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থা। তাদের মধ্যে ১৯ জনই বিশেষ কৌশলে ভাড়া করা পেটের ভেতর করে ইয়াবা নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসেছিলেন। আর এই ১৭ মাসে আকাশপথে ইয়াবা পাচারের ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মামলা হয়েছে ৬৮টি। আর গত ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পেটের ভেতরে করে ৪ হাজার ১৮০ পিস ইয়াবা পাচারকালে শাহজালালের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বহির্গামী রাস্তা থেকে ইয়াসিন মাতবর (৩৭) নামে এক যাত্রীকে আটক করা হয়। ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে উখিয়ার ইউসুফ নামে একজন তাকে এ চালান ঢাকায় পৌঁছানোর জন্য দিয়েছিলেন।
গ্রেফতারকৃত ইয়াসিন ডেমরার তুষারধারার মুসলিমনগরে সপরিবারে থাকলেও কক্সবাজারে ছিল নিয়মিত যাতায়াত।গত ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর শাহজালালের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল থেকে শফিক উল্লাহ নামে আরো এক যাত্রীকে। পরে তার পায়ুপথ থেকে বের করা হয় ৩ হাজার ৮৫৭ পিস ইয়াবা। তিনি ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইয়াবা পাচারে তার পেট ভাড়া দিয়েছিলেন। কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বহনকারী জানান, রফিক নামে এক মাদক ব্যবসায়ী তাকে ইয়াবাগুলো দিয়েছিলেন ঢাকায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য। পেটভাড়া বাবদ তার পাওয়ার কথা ছিল ৩০ হাজার টাকা।
বিমানবন্দরের নির্ভরযোগ সূত্র জানায়, আকাশপথে ইয়াবা পাচারে বিমানবন্দরের একটি চক্রও জড়িত। এর মধ্যে কয়েকজন দীর্ঘ সময় ধরে একই স্থানে কর্মরত। এ কাজে তাদের রয়েছে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদ। ঢিলেঢালা তদন্ত আর সিন্ডিকেটের প্রভাবে হাতেগোনা কয়েকজন বাহক ধরা পড়লেও অধরাই থেকে যাচ্ছে হোতারা। গত ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর আবুল কাশেম নামে এক যাত্রীকে আটক করা হয়। তার পায়ুপথে ছিল ১ হাজার ৯২৫ পিস ইয়াবা। তিনি নভোএয়ারের একটি ফ্লাইটে সেদিন কক্সবাজার থেকে ঢাকায় এসেছিলেন।রাজধানীর ফকিরাপুলের ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কাছে চালানটি পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তার। আর একই বছরের ১১ আগস্ট বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনাল এলাকা থেকে গ্রেফতার হন বিমানযাত্রী আবু সাইদ। পুলিশ তার পেট থেকে বের করে আনে ১ হাজার ৯১৫ পিস ইয়াবা। তার আগে ১২ জুলাই আগমনী কারপার্কিং এলাকা থেকে আটক যাত্রী নজরুল ইসলামের পায়ুপথ থেকে বের করা হয় ৪ হাজার ৭৪৫ পিস ইয়াবা। এ ছাড়াও ২০২২ সালের ৯ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত গিয়াস উদ্দিন, ইশা, আবিদুজ্জামান শিখর, রইস মিয়া, রফিক, ছৈয়াল ও আলামিন নামে সাত যাত্রীর কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ১০ হাজার ৭৫৫ পিস ইয়াবা। এর মধ্যে ইশা ৭২০ পিস ইয়াবা তার গোপনাঙ্গে কনডমের মধ্যে ঢুকিয়ে এনেছিলেন।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা মেট্রো, একজন উপপরিচাল নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হযরত শাহজালাল (র.) বিমানবন্দরে যেসব ইয়াবার চালান ধরা পড়ে, তার বেশিরভাগই কক্সবাজার থেকে আনা হয়। আর নারীরা তাদের পেট, কোমর, শাড়ির ভাঁজে ইয়াবা বহন ছাড়াও শরীরের বিশেষ অঙ্গেও মরণ নেশা লুকিয়ে আনছেন। তবে গ্রেফতারের পর অধিকাংশ পাচারকারী নিজেদেরকে শুধুই মাত্র বাহক হিসেবে দাবি করেন। কিন্তু এই মাদকের চালানের মালিক কে তা তারা জানাতে পারেন না। ছদ্মনামধারী কেউ তাদের ঠিকানা জানিয়ে সেখানে মাদকের চালান পৌঁছানোর কথা বলায়। ফলে অধিকাংশ মাদকের ব্যবসায়ীদের সনাক্ত করা সম্ভব হয়।
এমএসএম / এমএসএম

প্রধান প্রকৌশলীর পিএস মুজিবরের মাসিক অবৈধ আয় লাখ টাকা!

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ সামাদ ভূঁইয়া দম্পতি বিরুদ্ধে

যাদের কথা হয়না বলা

অভাবির পেটের ভাড়া ৩০ হাজার টাকা

ফ্যাসিস্ট সরকারে প্রতাপশালী জেলার মাহবুবের লাপাত্তা

অবৈধ সম্পদের পাহাড় নিয়ে ওসমান গণির রাম রাজত্ব কায়েম

মিরপুরের ত্রাস তানজিব গ্রেফতার, জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য

১৭ বছর পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তা আমিনুল

বিতর্কিত প্রধান শিক্ষিকা নার্গিস আক্তারের বিরুদ্ধে আবারো তদন্ত কমিটি গঠন

প্রিমিয়ার গ্রুপের ইকবাল গেছে পালিয়ে, দুর্নীতির দুর্গ আছে দাঁড়িয়ে

অর্থ শাখায় চাকরি করেই শত কোটি টাকার মালিক মাহবুবুর রহমান

ঈদ সামনে রেখে জাল নোট তৈরির কারিগর ব্যস্ত
