ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

তানোরে ফসলী জমি হ্রাস খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা


সোহানুল হক পারভেজ, তানোর photo সোহানুল হক পারভেজ, তানোর
প্রকাশিত: ১১-৫-২০২৫ দুপুর ১২:৫৫

রাজশাহীর তানোরের অর্থনীতি প্রায় সম্পুর্ণ কৃষি নির্ভর। তবে নির্বিচারে ফসলি জমি নষ্টের কারণে খাদ্য উদ্বৃত্ত উপজেলায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। রাজনৈতিক পরিচয়ের প্রভাবশালী ভুমিগ্রাসী চক্রের কৌশলের কাছে পরাস্থ হয়ে কৃষি জমির মালিকেরা অনেকটা বাধ্য হয়ে তাদের আবাদি জমিতে পুকুর খনন করতে দিচ্ছে।এছাড়াও কল-কারখানা ও বাড়িঘর নির্মানে নস্ট হচ্ছে একেরর পর একর তিন ফসলী জমি। প্রভাবশালীরা প্রথমে বিস্তীর্ণ ফসলি জমির মধ্যে অল্প জমি বাছাই করে সেখানে কৌশলে পুকুর করা শুরু করে। এর পর ওই পুকুরের কারণে আশপাশের জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। তখন ওই সব জরি মালিকেরা ফসল উৎপাদনে লোকশানে পড়ে।এতে তারা তাদের আবাদি জমি প্রভাবশালী ওই পুকুর খননকারীকে লীজ দিয়ে দিতে বাধ্য হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুকুর খননকারী বলেন, প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকসহ সকলকে ম্যানেজ করতে বিঘাপ্রতি ৩০ হাজার টাকা খরচ করলেই অনায়াসে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করা যায়।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হালনাগাদ তথ্যে জানা গেছে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে রাজশাহীতে আবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ছিল এক লাখ ৯১ হাজার ৭৮০ হেক্টর। ২০২৪ সালে আবাদযোগ্য জমি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৫৫ হাজার ৭৫৮ হেক্টর। অর্থাৎ ১৭ বছরে রাজশাহী জেলায় আবাদযোগ্য জমি কমেছে ৩৬ হাজার ২২ হেক্টর। ২০২৫ সালে এসে সেটি ৪০ হাজার হেক্টর হয়েছে। তবে এটি খাতা কলমে বাস্তবে এর দ্বিগুন পরিমাণ কৃষি জমি কমেছে।

স্থানীয়রা জানান,তানোরে বিগত ১০ বছরে কমেছে প্রায় ৬ হাজার বিঘা কৃষি জমিতে পুকুর খনন হয়েছে এবং কলকারখানা, হিমাগার ও আবাসিক ভবনের কারণে আরো বিপুল পরিমাণ কৃষি জমি নষ্ট হয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের ভাষ্য, শিল্পায়ন হোক সেটা তারাও চাই, তবে ভাতের থালায় লাথি মেরে নয়। অর্থাৎ ফসলি জমি নস্ট করে নয়, পতিত বা এক ফসলি জমিতে করা হোক। সরকার প্রধানের নির্দেশ ফসলী জমি নষ্ট করে কোনো কিছুই করা যাবে না। কিন্ত্ত তানোরে প্রশাসনের রহস্যজনক ভুমিকায় ফসলি জমি নষ্টের হিড়িক পড়েছে।

স্থানীয় ভূমি অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, উপজেলায় বিগত ১০-১৫ বছরে কমপক্ষে এক হাজার হেক্টর কৃষি জমিতে পুকুর খনন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু জমির শ্রেণী পরিবর্তন না হওয়ায় কৃষি জমির খাজনা নিতে হচ্ছে। এতে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ কৃষি জমি প্রতি শতকে খাজনা মাত্র ২ টাকা এবং পুকুরের প্রতি শতকে খাজনা ৬০ টাকা। তিনি বলেন, প্রশাসন ও মিডিয়া ম্যানেজ করেই কৃষি জমিতে এসব অবৈধ পুকুর খনন করা হচ্ছে।

এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, কৃষি জমিতে পুকুর প্রতিরোধ করা উপজেলা প্রশাসনের কাজ। এবিষয়ে তানোর ভূমি অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) জানান, জমির শ্রেণী পরিবর্তন না হলে কিছুই করনীয় নাই। কৃষি জমিতে পুকুর হলেও শ্রেণী পরিবর্তন না হওয়ায় কৃষি জমির খাজনা নিতে হয়। এক শতকে ৫৮ টাকা গচ্ছা। তবে কর্তৃপক্ষ কে এসব বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে, নতুন ভাবে রেকর্ড না হওয়া পর্যন্ত এনিয়মেই খাজনা আদায় হবে বলে মনে হচ্ছে।

এমএসএম / এমএসএম

পটুয়াখালী-১ আসনে গণঅধিকার পরিষদের প্রার্থী শহিদুল ইসলামের পক্ষে শহীদ পরিবারের মনোনয়ন সংগ্রহ

দেবিদ্বারে এনসিপি প্রার্থী হাসনাত আব্দুল্লাহর মনোনয়ন ফরম সংগ্রহে শহীদ পরিবারের অংশগ্রহণ, ছড়িয়ে পড়ল আবেগঘন বার্তা

কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ ছেড়ে বিএনপিতে যোগদান নেতাকর্মীদের

মোরেলগঞ্জে কেন্দ্রীয় নেতা মনিরসহ ৬ প্রার্থীর দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

মহেশখালীতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারকে ২ মাসের কারাদণ্ড

রাজশাহীতে মাধ্যমিক স্তরের বই স্কুল পর্যায়ে পৌঁছানো শুরু

কালিয়ায় অবৈধভাবে টপ সয়েল কাটায় দুইজনকে ৭০ হাজার টাকা জরিমানা

নারায়ণগঞ্জে আমান সিমেন্ট এর ব্র্যান্ড প্রমোশনাল বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আত্রাইয়ে চলাচলের রাস্তা সংস্কারের দাবিতে ইউএনও বরাবর আবেদন

হালদার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অভিযানঃ দুই ড্রেজার জব্দ, ছয়জনের কারাদণ্ড ও ৬ লক্ষ টাকা জরিমানা

‎কক্সবাজার-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন আলহাজ্ব আলমগীর মোহাম্মদ মাহাফুজউল্লাহ ফরিদ

কাপ্তাই ১০ আর ই ব্যাটালিয়নের অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

মধুখালীতে মোটর বাইক চোরচক্রের সদস্য গ্রেফতার