মেঘনায় সওজ‘র জায়গায় বানিজ্য একই অবস্থানে শুধু দখলদার পরিবর্তন

বিগত আওয়ামী সরকার আমলে দীর্ঘদিন নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার মেঘনা শিল্পাঞ্চলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ‘র জায়গা দখল করে বিপুল পরিমান অর্থ বানিজ্যে লিপ্ত ছিলেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা। গত বছরের ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর দখল বানিজ্যের অবস্থানে একই চিত্র পরিলক্ষিত হলেও শুধু দখলদার পরিবর্তন। সওজ‘র জায়গায় অবস্থানরত ভাড়ায় চালিত কয়েকজন দোকানদার ও স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকার আসে সরকার যায় শুধু মালিকানা পরিবর্তন হয়, কিন্তু আমাদের মুক্তি নেই, মাসোয়ারা দিতেই হয়। আওয়ামী সরকার আমলে যে দোকানের মাসিক ভাড়া ছিল দুই হাজার টাকা, বর্তমান সরকার আমলে সেই একই দোকানের ভাড়া দ্বিগুন হারে আমাদেরকে দিতে হচ্ছে মাসে চার হাজার টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন দোকানী জানান, আওয়ামী সরকারের পতনের পর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনাঘাট এলাকায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ সওজ‘র জায়গা দখলে নেয় স্থানীয় বিএনপিপন্থী নেতাকর্মী। বর্তমানে সওজ এর জায়গা দখল নিয়ে অর্থ বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছেন আব্দুল হান্নান, জুয়েল মিয়া, আলীনুর, মোঃ হৃদয়, আরিফ হোসেন, কামাল হোসেনসহ প্রতাপেরচর ও ঝাউচর এলাকার বিএনপিপন্থী একটি প্রভাবশালী মহল। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ব পাশে মেঘনা এলাকায় বেপারী বাজার থেকে শুরু করে পুরাতন ফেরিঘাট পর্যন্ত সরকারী জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা ও দোকানপাট নির্মাণ করে অর্থ বানিজ্যে লিপ্ত রয়েছেন বিএনপি দলীয় নেতাকর্মীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের কর্তাব্যক্তিরা মাঝে মধ্যে লোক দেখানো অভিযান চালিয়ে মহাসড়কের পাশে গড়ে ওঠা সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও গুড়িয়ে দেয়। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় এসব অবৈধ স্থাপনাসহ দোকানপাট নির্মাণ করেন এলাকা ভিত্তিক প্রভাবশালী নেতাকর্মীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি ও দোকান মালিকরা জানিয়েছেন, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী নেতাকর্মী অল্পকিছু টাকা খরচ করে সওজর জায়গায় অবৈধ এসব স্থাপনা গড়ে তুলে প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) কর্তৃপক্ষের কোন নজরদারি না থাকায়, একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারী জায়গা দখল করে মেঘনাঘাট এলাকায় মুদিদোকান, হোটেল রেস্তোরা, ফলের দোকান, মিষ্টির দোকান, চায়ের দোকান, ভাঙ্গারি দোকান ও সেলুনঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে প্রতিমাসে ভাড়া আদায় করছে। ইউছুফ আলী নামে একজন চা দোকানী বলেন, মেঘনা এলাকায় যে কোন স্থানে সওজর জায়গায় দোকান দিতে হলে প্রথমে স্থানীয় নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করতে হয়। মেঘনা এলাকায় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি ও দলীয় নেতাকর্মীদের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা মিলে সওজর জায়গা ভাগ ভাগ করে এক একজন পৃথক ভাবে ৫/৭ টি করে দোকান বসিয়ে প্রতিমাসে ভাড়া আদায় করছে। আমি একজন ক্ষুদ্র চা দোকানি সরকারী জায়গায় দোকান বসাতে নেতাদেরকে অগ্রিম টাকা দিয়েছি। আওয়ামী সরকার আমলে প্রতি মাসে ভাড়া বাবৎ দুই হাজার টাকা দিয়েছি, বর্তমানে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ বিলসহ পাঁচ হাজার টাকা দিতে হয়। আমার মত অন্যান্য যে কোন দোকান মালিককে প্রতি মাসে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। নতুবা মেঘনা ঘাট এলাকায় ব্যবসা করা যাবেনা। বাধ্য হয়েই নেতাকর্মীদের দোকান ভাড়া দিতে হচ্ছে।
নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, কোন প্রভাবশালী ব্যক্তি সওজর জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ভাড়া আদায় করার কোন সুযোগ নেই। সম্প্রতি মহাসড়কের পাশে অবৈধ ভাবে নির্মিত স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। অচিরই মেঘনাঘাট এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
এমএসএম / এমএসএম

টেকনাফে মহাসড়ক দখল করে রমরমা মাছের ব্যবসা

হরিপুরে ইয়াবা নিয়ে খাদ্য বান্ধব ডিলার সহ আটক দুই

কালীগঞ্জে ১শ ৩০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

ধামইরহাটে মহিলা ডিগ্রি কলেজের পূর্নাঙ্গ কমিটির পরিচিতি সভা

চিতলমারী প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে অসহায়দের মাঝে বস্ত্র বিতরণ

আখতার হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে আনোয়ারায় এনসিপির বিক্ষোভ

জুলাই'য়ে আহত অপূর্ব'র করা ১৩৫ আসামির বিরুদ্ধে মামলা এনসিপি'র নয়

শালিখায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

ডামুড্যা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

ভেড়ামারার মূলধারার সাংবাদিক ছাড়াই ডিসি'র মতবিনিময়

সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি, জনমনে স্বস্তি

কোনাবাড়িতে মুহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস উচ্চ বিদ্যালয়ে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত
