আজ অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা শহীদ নাজমুল আহসানের মৃত্যুবার্ষিকী
৬ জুলাই, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আক্রমণে শহীদ হওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরন্নবী মোহাম্মদ নাজমুল আহসানের ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের বরুয়াজানী গ্রামে ১৯৪৯ সালের ২০ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন এই বীর সন্তান। তার বাবা সেকান্দর আলী তালুকদার ছিলেন পেশায় শিক্ষক এবং মা নুরজাহান বেগম তালুকদার ছিলেন গৃহিণী। বাবা-মায়ের ছয় সন্তানের মধ্যে নাজমুল আহসান ছিলেন সবার বড় এবং অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র।
নাজমুল আহসান ১৯৬৫ সালে তারাগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং পরবর্তীতে ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদে ভর্তি হন। ছাত্রাবস্থায় তিনি সাহিত্যকর্ম, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও ক্রীড়াঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবা চ্যাম্পিয়ন ছিলেন এবং বেশ কিছু ছোটগল্প ও কবিতা লিখেছিলেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। দেশমাতৃকার টানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে তিনি ৮ মে ভারতের তুরার রংনাবাক গারো পাহাড়ে এক মাসের গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন। এরপর ১১ নং সেক্টরের অধীনে ১নং কোম্পানির ১৩৯ জন প্রশিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধার দল নিয়ে মাচাংপানিতে ক্যাম্প স্থাপন করেন। তার কমান্ডে থাকা দলটি ‘নাজমুল কোম্পানি’ নামে পরিচিতি লাভ করে এবং বেশ কয়েকটি সফল অপারেশন পরিচালনা করে।
৫ জুলাই রাতে তাঁর নেতৃত্বে নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী, শ্রীবর্দী ও বকশীগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় অগ্রসরমান পাক-বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ কাটাখালী ব্রিজ ধ্বংস করা হয়। সফল অভিযান শেষে ৬ জুলাই ভোরে স্থানীয় এক রাজাকারের সংবাদের ভিত্তিতে পাকিস্তানি বাহিনী রাঙ্গামাটি গ্রামের কৃষক নঈমুদ্দিনের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলে। এ সময় নাজমুল আহসান তার সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধাদের বিল সাঁতরে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন এবং নিজে শত্রুর মোকাবিলা করতে ব্রাশ ফায়ার শুরু করেন। শত্রুর ত্রিমুখী আক্রমণের মুখে সম্মুখযুদ্ধে মাত্র ২২ বছর বয়সে এই সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত বরণ করেন। তাকে রক্ষা করতে এসে শহীদ হন তার চাচাত ভাই মোফাজ্জল হোসেন ও ভাতিজা আলী হোসেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীরোচিত অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০১৭ সালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা নুরন্নবী মোহাম্মদ নাজমুল আহসানকে মরণোত্তর ‘স্বাধীনতা পদক’ প্রদান করা হয়। কবি শামসুর রহমান, কবি শামসুল আলম মোহন সহ খ্যাতিমান লেখকেরা শহীদ নাজমুল আহসানের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, এবং সুকুমার বড়ুয়া তাকে নিয়ে লিখেছেন ‘যোদ্ধা নাজমুল’ শিরোনামে।
এমএসএম / এমএসএম
সাতগাঁও হাইওয়ে থানা বাৎসরিক পরিদর্শন করেন সিলেট রিজিয়ন পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম
পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভুয়া চিকিৎসক আটক
কুমিল্লায় তিন বাস টার্মিনালে কর্মবিরতি ৪০ সড়কে যাত্রীদের ভোগান্তি
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন মাগুরা-২ আসনের সাবেক এমপির কাজী সালিমুল হক কামাল
তানোরে বাড়তি দামে সার বিক্রির দায়ে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা
আত্রাইয়ে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস উদযাপন
রাণীশংকৈলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত
পবিপ্রবিতে নিয়োগ-বিধি ও প্রমোশন দ্বন্দ্ব, বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের বিজয় দিবস বর্জন
বড়লেখায় বিএনপির প্রকাশ্যে গ্রুপিং, কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ ছাড়া ঐক্যের পথ দেখছেন না নেতাকর্মীরা
মেহেরপুরে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ডেইরি খামারিদের মাঝে ঘাস ও খড় কাটার মেশিন বিতরণ
রাজশাহী-৬ আসনে এমপি পদপ্রার্থী আবু সাইদ চাঁদের মনোনয়ন ফরম উত্তোলন
তানোরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নারী দগ্ধ, গবাদিপশুর প্রাণহানি