নড়াগাতীতে শতবর্ষী ঈদগাহ ও কবরস্থান নদী গর্ভে বিলীনের আশঙ্কা! পাউবো'র নিরব ভূমিকায় উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার সরসপুর ও পহরডাঙ্গা এই দুই প্রাচীন জনপদের শত বছরের পুরনো ঈদগাহ মাঠ ও কবরস্থান আজ মধুমতি নদীর ভয়াবহ ভাঙনের মুখে। দুই গ্রামের মুসল্লিরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এখানেই ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন, এখনও ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার জামাত এখানে হয়; কিন্তু ভাঙনে জমি সঙ্কুচিত হয়ে পড়ায় বড় জামাত আয়োজন ক্রমেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে পূর্বপুরুষদের কবর জিয়ারত করতেও মানুষকে ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে, অনেক পুরনো কবর ইতোমধ্যে নদীগর্ভে হারিয়ে গেছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টি বহুদিন ধরে আলোচিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবি) এখনো কার্যকর প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে জনমনে ক্ষোভ ও উদ্বেগ বাড়ছে।
ঈদগাহ ও কবরস্থান দুটি মধুমতির উত্তর পাড়ে অবস্থিত এবং দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে গেছে চাপাইল-কালিয়া প্রধান সড়ক। নদীভাঙনের তীব্রতায় ঈদগাহ মাঠের একাংশ বিলীন হয়ে গেছে; কবরস্থানও মারাত্মক ঝুঁকিতে। স্থানীয়রা বলেন, সরসপুর ও পহরডাঙ্গার মানুষ একসঙ্গেই ঈদের জামাতে অংশ নেন- ঐতিহ্য ধরে রাখতে এখনো চেষ্টা চলছে, কিন্তু ভাঙনের ফলে জায়গা প্রতিনিয়ত কমছে।
ঈদগাহ ও কবরস্থান পরিচালনা কমিটির সভাপতি সিকদার আহসান আলী (লাবু) বলেন, “আমরা নিজেরা গাছ লাগিয়ে, বাঁশ-খুঁটি দিয়ে কিছুটা তীররক্ষা করার চেষ্টা করেছি। সাময়িক কাজে এলেও বড় ভাঙন থামানো যাচ্ছে না। আমাদের ঈদের মাঠ, পূর্বপুরুষদের কবর- সবই ঝুঁকিতে।”
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মল্লিক মাহমুদুল ইসলাম বলেন, “নদীভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। খুব দ্রুতই পানি উন্নয়ন বোর্ড নড়াইল কার্যালয়ে লিখিত আবেদন করা হবে। প্রয়োজনে এলাকাবাসীকে নিয়ে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি দেওয়া হবে যাতে বিষয়টি মন্ত্রণালয়ের নজরে যায়।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড বহু বছর ধরেই এ অংশে ভাঙনের বিষয়ে অবগত; তবু কোনো টেকসই প্রকল্প নেয়নি। ধর্মীয়, সামাজিক ও ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই স্থানের অস্তিত্ব বিপন্ন হলেও মাঠপর্যায়ে কার্যকর ব্যবস্থা দৃশ্যমান নয়।
এলাকাবাসীর দাবি, অবিলম্বে মধুমতির ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ও ব্লক বসিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে, ঈদগাহ ও কবরস্থান রক্ষায় বিশেষ সরকারি বরাদ্দ দিতে হবে এবং স্থানটিকে ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্বসম্পন্ন ধর্মীয় স্থাপনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। তারা বলেন, প্রয়োজনে মানববন্ধন, স্মারকলিপি ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচির মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে। এ ছাড়া প্রাচীন এই ঈদগাহ ও কবরস্থানের ক্ষয় শুধু ধর্মীয় স্থাপনার ক্ষতি নয় এটি এক প্রজন্মের স্মৃতি, ইতিহাস ও পরিচয়ের অংশ হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এখনই কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই এই জনপদের মানুষ তাদের ঈদের ময়দান ও পূর্বপুরুষদের কবর কেবল মানচিত্রে বা স্মৃতিচারণে খুঁজে ফিরবে।
এ বিষয়ে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিৎ কুমার সাহা বলেন, ওই এলাকাটি তিনি পরিদর্শন করেছেন এবং সংরক্ষণের জন্য বরাদ্দ চেয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা পাঠিয়েছেন। বরাদ্দ আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম
মুরাদনগরে সাইম-পারভেজের অবৈধ ড্রেজার বানিজ্য ডিসিখাল ভরাট
জুড়ীতে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ
নন্দীগ্রামে স্কুল ভবন উদ্বোধন এবং ফুটবল টূর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
ধামইরহাটে ফতেপুর বাজারে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত
চৌদ্দগ্রামে মহাসড়কে ডিবি পরিচয়ে গরু বোঝাই ট্রাক ছিনতাই, থানায় মামলা
বেনাপোলে সেই শিশুকে দত্তক নিলেন ব্যবসায়ী দম্পতি
রাতের আঁধারে মাদ্রাসার গাছ কাটা নিয়ে ইউএনওর কাছে সাবেক সভাপতির অভিযোগ
কোটালীপাড়ায় পারিবারিক পুষ্টিবাগানে কৃষকের হাসি
পাবনা'য় আমনের বাম্পার ফলন: কৃষকের মুখে হাঁসি
সন্দ্বীপে ধানের শীষের প্রচারনায় বিশাল গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত
বিএনপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন
পাঁচবিবিতে মাঠ থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার