থামছেই না কান্না নাঙ্গলকোটের জুলাইযোদ্ধা মিলনের পরিবারের

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জুলাইযোদ্ধা সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক মিলনের (৩৪) পরিবারের কান্না যেন থামছেই না। গত এক বছর থেকে মা-বাবা এবং ভাই ও বোনদের ছেলে ও ভাই হারানোর শোক বয়ে বেড়াতে হচ্ছে
মিলন গত বছরের ৫ আগস্ট নাঙ্গলকোট পৌরসভায় আন্দোলন চলাকালীন রেলস্টেশন এলাকায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে মাথায় এবং মুখে প্রচণ্ড আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে নিহত হন।
নিহত মিলন নাঙ্গলকোট পৌরসভার খান্নাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। মিলনের স্ত্রী ও ৭ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। মিলন হত্যার ঘটনায় তারা বাবা নুরুল ইসলাম আজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মিলনের বাবা নুরুল ইসলাম ও বোন আকলিমা আক্তার বলেন, মিলন নাঙ্গলকোট পৌরসভা বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। বিভিন্ন সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলন-সংগ্রামে অংশগ্রহণ করতেন। একসময় ঋণ করে জীবিকার সন্ধানে দুইবার প্রবাসে পাড়ি জমান। কিন্তু প্রবাসে ভালো করতে না পেরে গ্রামের বাড়ি এসে সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালাতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের শেষ দিন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সাথে পৌরসভা বিএনপির কর্মী মিলন নাঙ্গলকোট পৌরসদরে আন্দোলনে যোগ দেন।
আন্দোলন নাঙ্গলকোট রেলস্টেশন থেকে শুরু করে পৌরসদরের বটতলায় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের একপর্যায়ে মিলন ঢাকা-চট্রগ্রাম রেলপথের নাঙ্গলকোট রেলস্টেশনের পূর্বপাশে পাথরের আঘাতে মাথার ডানপাশে এবং মুখের চোয়ালে প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন। এ সময় তার মুখের কথা বন্ধ হয়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গ্রামের বাড়ি নিয়ে আসেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। পরে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে তাকে কুমিল্লার বেসরকারি হাসপাতাল ট্রমা হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে ভর্তি থাকা অবস্থায় মিলন ৬ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারা যান। পরে ৭ আগস্ট বাড়ি নিয়ে এসে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
মিলনের মা নুরুন্নেছা আক্তার বিলাপ করতে-করতে বলেন, পুত্রশোক কোনোভাবে ভুলতে পারছি না। গত এক বছর থেকে ছেলের শোকে পাগল হয়ে আছি। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। একইভাবে মিলনের বাবা নুরুল ইসলামসহ তার ভাই ও বোনেরা মিলনের হত্যাকারীদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে ৫ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ছেলের দুইবার প্রবাসে যাওয়ায় ৭ লাখ টাকা ঋণ হয়। এর মধ্যে ৫ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করা হয়। এনজিও ব্র্যাক শ্রীহাস্য আটঘরা শাখা থেকে মিলনের নামে ঋণ সুদসহ ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা হয়। এর মধ্যে এক লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়। পরে এনজিও ব্র্যাক অবশিষ্ট ৭০ হাজার টাকার জন্য আমার নামে কুমিল্লার কোর্টে মামলা করে। মামলায় আমার নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হলে পুলিশ আমাকে ধরতে বাড়িতে আসে। পরে শহীদ মিলনের মা জেনে পুলিশ আমাকে গ্রেফতার না করে চলে যায়।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আব্দুল গফুর ভূঁইয়া গত রোজার ঈদে মিলনের পরিবারকে ঈদ সামগ্রী উপহার প্রদান করেন।
এমএসএম / এমএসএম

টিসিবি'র কার্ডের কথা বলে নারী-পুরুষদের মানববন্ধনে দাঁড় করালেন প্যানেল চেয়ারম্যান, ক্ষিপ্ত এলাকাবাসী

শিবির কর্মী থেকে বিএনপি নেতা, কে এই জাকির হোসেন সরকার

রৌমারীতে বিয়ের প্রলোভনে তরুনীকে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা

মান্দায় ছয় মাস ধরে এসিল্যান্ড শূন্য

পঞ্চগড়ে বিএনপির বিজয় র্যালি

প্রশাসনিক অনুমতিতে মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেনের দাফন সম্পন্ন

সড়ক দুর্ঘটনায় সুবিপ্রবি শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শোক

পটুয়াখালীতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে জেলা বিএনপির বিজয় র্যালি ও সমাবেশ

গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে ঠাকুরগাঁওয়ে বিজয় র্যালী

ঝিনাইদহে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতন ও ছাত্র-জনতার বিজয়ের বর্ষপূর্তিতে আনন্দ শোভাযাত্রা

ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তিতে ফটিকছড়িতে বিজয় মিছিল-আলোচনা সভা

আর কোন স্বৈরাচারের জন্ম হতে দিবেনা বিএনপি
