টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তৃতীয় দফায় বন্যা, ১০ হাজার পরিবার পানিবন্দি
টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফুলেফেঁপে উঠেছে তিস্তা নদী। বুধবার (১৩ আগস্ট) বিকেল ৩ টায় হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি সমতল রেকর্ড করা হয় ৫২.১৯ মিটার, যা বিপদসীমার উপরে। এরআগে মঙ্গলবার দুপুরে পানি ছিল বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর, রাতের ভারী বৃষ্টিতে কয়েক ঘণ্টায় বেড়ে যায় নদীর পানি।
তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের পাঁচ উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১০ হাজার পরিবার। বন্যায় ডুবে গেছে গ্রাম-ফসল-সড়ক। নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জেলার সদর, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও পাটগ্রাম উপজেলার তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর মধ্যে হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, দোয়ানী, ছয়আনী, সানিয়াজান, সিঙ্গামারী, সিন্দুর্না, হলদিবাড়ী, ডাউয়াবাড়ী; কালীগঞ্জের ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী; আদিতমারীর মহিষখোচা, গোবর্ধন, বাহাদুরপাড়া, পলাশী এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, কুলাঘাট, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে মানুষজনের দূর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি গ্রামের মর্জিনা বেগমের বাড়িতে ঢুকে পড়েছে পানি, ডুবে গেছে চুলা ও সংসারের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। বাধ্য হয়ে তিনি আশ্রয় নিয়েছেন কালমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায়। ষাটোর্ধ্ব বুলবুলি বেগমও একই দুর্দশায়। চুলায় রান্না করা যাচ্ছে না, সব জিনিস ভিজে গেছে। স্কুলের বারান্দায় দিন কাটাচ্ছি,” বলেন মর্জিনা বেগম।
জেলার হাতিবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের নদী পাড়ের বাসিন্দা অটোচালক সেলিম ইসলাম জানান, পশুপাখি, শিশু, বৃদ্ধ আর প্রতিবন্ধীদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি। আমাদের বাড়িতেও পানি ঢুকছে, কিন্তু কেউ খোঁজ নিচ্ছে না।
তৃতীয় দফায় এই বন্যায় আমন ধান, পাটসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফসল তলিয়ে গেছে। অনেক কৃষকের জমির ফসল ভেসে গেছে পানির স্রোতে। পানির চাপের কারণে বহু বাঁধ ও রাস্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। বিশেষ করে কালীগঞ্জের দক্ষিণ ভোটমারীতে ইস্ট্রাকো সোলার প্যানেল এলাকার কাছে তিস্তার মূল স্রোত লোকালয়ের দিকে ঢুকে পড়ছে, যা ভাঙনের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সোলার প্যানেল স্থাপন করায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করছে পানি, যা বাঁধ ও বসতভিটার জন্য হুমকি।
স্থানীয় বাসিন্দা সামসুল আলম বলেন, সোলার প্যানেলের কারণে পানির চাপ পড়ছে লোকালয়ের রাস্তা ও বাঁধে। এগুলো রক্ষা না করা হলে হাজার হাজার বসতভিটা আর ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড লালমনিরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় আগামী দু’দিন পানি বিপদসীমার ওপর দিয়েই প্রবাহিত হতে পারে। পরিস্থিতি ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে দ্রুত ত্রাণ ও সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে।
এমএসএম / এমএসএম
মহম্মদপুরে জমি নিয়ে বিরোধে ছোট ভাইয়ের হামলায় বড় ভাই গুরুতর আহত
বার্ষিক পরীক্ষার সময় কুড়িগ্রামে বিসিক উদ্যোক্তা মেলার নামে চলছে বাণিজ্য মেলা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ৩৪তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৭তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালিত
কাপ্তাই লেক থেকে অবৈধভাবে মাছ নিধনের সরঞ্জাম ও নৌকা জব্দ
ছাতকে মৎস্য ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন শেড ঘর উদ্বোধন
গাজীপুরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গণদোয়া
বাগেরহাটের বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় জমায়েতে দোয়া মাহফিল
আজ কুমিল্লায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহ আন্তর্জাতিক ক্বিরাত সম্মেলন ---আসবেন ৫ দেশের কারি
আদমদীঘিতে বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা কামনায় মুক্তিযোদ্ধাদের দোয়া মাহফিল
লালমনিরহাটে বাস–অটো সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৩
বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় সুনামগঞ্জে খতমে কোরআন ও দোয়া-মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত
বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে ব্যবসায়ীর মৃত্যু