ঢাকা মঙ্গলবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৫

পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়ার হাটে চাঁই কেনা-বেচার ধুম


পাবনা প্রতিনিধি  photo পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪-৬-২০২১ দুপুর ২:১২

মৎস্য অঞ্চল হিসেবে খ্যাত পাবনার বেড়াঘেঁষা পদ্মা-যমুনা ও হুরাসাগরে বর্ষার প্রারম্ভে গত কয়েক দিন যাবৎ নদীতে আকস্মিক পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। বেড়া অঞ্চলে রয়েছে নদী-নালা, খাল-বিল এবং ছাট-বড় ৮টি নদী। মাছের জন্য বিখ্যাত এ অঞ্চলে বর্ষার আগমনে মাছ শিকারিরা মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে থাকেন। তাই মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ তৈরিতে ধুম পড়ে যায় এ অঞ্চলে। বিশেষ করে বাড়ির পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এসব চাঁই (দুয়ারি) তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঐতিহ্যগতভাবে আষাঢ় মাস শুরুর দিকে উপজেলার বেড়া উপজেলার পুরান বাজার ও চতুর হাটে চাঁই (দুয়ারি) চাড়ো, পলো, বৃত্তি, বুছনা ইত্যাদি বিক্রির ধুম পড়ে যায়। 

মাছ ধরার উপকরণ বিক্রির প্রধান হাট উপজেলার বেড়া বাজার সংলগ্ন পাটপট্টি। সপ্তাহের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার এসব উপকরণ বিশেষ করে চাঁই(দুয়ারি) বিক্রি হয়ে থাকে। বিগত ৫-৬ যুগ ধরে মাছ ধরার চাঁই (দুয়ারি) কেনাবেচার জন্য বিখ্যাত এই পাটপট্টি হাট। দেশের দূর-দূরান্ত  থেকে মৎস্য শিকারিরা ভিড় করেন ‍এই হাটে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে অবিরামভাবে বেচাকেনা। 

চাঁই তৈরির কারিগররা জানান, একেকটা চাঁই তৈরিতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। তবে জিনিসের মান বুঝে সেগুলো সাড়ে ৩০০ থেকে সাড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। বড় আকারের চাঁই তৈরিতে খরচ হয় দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। বিক্রি হয় আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত।

পাটপট্টি চাঁইয়ের হাটে গিয়ে জানা যায়, বেড়ায় মূলত নাগডেমড়া, ফরিদপুর, আটিয়াপাড়া, ক্ষিদিরপুর থেকে চাঁই ( দুয়ারি) বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা। চাঁই তৈরির সাথে জড়িয়ে রয়েছে বিপ‍ুলসংখ্যক পরিবারের জীবন-জীবিকা। চাঁই তৈরির কারিগররা বিভিন্ন এনজিও বা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আবার কেউ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বাঁশ কিনে চাঁই তৈরি করেন বলে জানান তারা। 

চাঁইয়ের হাটে বিক্রি করতে আসা বেড়া উপজেলার চরাঞ্চলের চরসারাশি গ্রামের আক্তার আলী জানান, ‘প্রতিটি চাঁই বানাতি ( তৈরিতে) যা খরচ হয়, তা থেকে বিক্রিতে ভালোই লাভ হয়। একজন কারিগর সারাদিনে ছোট আকারের দুইহান দোয়ারি বানাবের পারে। গেল বছরের থেইক্কা এ বছর আগেই বেচা-কেনা হচ্ছে, দামও একটু বেশি পাচ্ছি।’

চাঁইয়ের হাটে ক্রয় করতে আসা সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর বান্তিয়ার চরের মোতালেব মিয়া জানান, চাঁই পাতলে চিংড়ি, বোয়াল, বাইনসহ নানান ধরনের দেশি মাছ ধরা পড়ে। তাছাড়া বাজারে চাঁইয়ে ধরা মাছের চাহিদাও থাকে বেশি। কারণ চাঁইয়ে পড়া মাছগুলো তাজা থাকে। আষাঢ় মাসের শুরু থেকে মাছ ধরা ও বিক্রি চলে পুরো তিন মাসের অধিক। 

বিক্রেতারা জানান, সরকারি সহযোগিতা পেলে মাছ ধরার বিভিন্ন উপকরণ বেশি বেশি তৈরি করতে উৎসাহ পাবেন। সেই সাথে এ শিল্পের সাথে জড়িত বাঁশশিল্পও টিকে থাকবে, স্বাবলম্বী হবে কারিগর পরিবারগুলো। 

এমএসএম / জামান

বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরায় দুর্নীতি ও অনিয়র অভিযোগে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালীতে দক্ষিণ বাংলা সমাজকল্যাণ সংস্থার চারা বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত,

বিলাসপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে জাল দলিল ও প্রতারণার অভিযোগে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১২২৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত

মানিকগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে লুটের ঘটনায় মূলহোতা দোকানের মালিকসহ গ্রেফতার ৩

জীবননগর হাসপাতালে শয্যা ও চিকিৎসক সংকট, ভোগান্তিতে সাধারণ রোগী

গোপালগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ছয় ইউনিট

পঞ্চগড়ে ইন্টার্নশিপ বিদ্যালয়ে সহকারি দুই শিক্ষক অনুপস্থিত, একজন হাজতে, ব্যবস্থা নেয়নি কেউ

কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

টেকনাফের বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান

লাকসামে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ কাউন্সিল’২৫ অনুষ্ঠিত