কুষ্টিয়া - ৪
জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

নদীর ভাঙ্গা গড়ার মত যেখানে রাজনৈতিক স্রোত বহমান সবুজ প্রান্তরের মধ্যেই যেখানে মিশে আছে সম্ভাবনা আর সংস্কৃতির গল্প সেই কুষ্টিয়ার কথায় বলছি। আর এই কুষ্টিয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতি এলাকা কুমারখালী ও খোকসা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া - ৪ সংসদীয় আসন। ঐতিহাসিক ভাবে বিএনপি'র শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল কুষ্টিয়া - ৪ আসন এখানে বিএনপি যে কয় বার নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করেছে সে কয়বার আসনটিতে বিএনপি'র প্রার্থী জয়ী হয়েছে। এবং আগামী নির্বাচন আর বেশি দিন দেরি নেই। সারা দেশের মতো ক্ষমতায় যাওয়ার লড়াইয়ের সরগরম হয়ে উঠছে কুষ্টিয়া - ৪ আসন। এখানে কার হাতে উঠবে ধানের শীষের মার্কা।
কুষ্টিয়ার - ৪ আসনে বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে সব থেকে আলোচিত নাম শেখ সাদী। শিল্পপতি শেখ সাদী বর্তমান কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র যুগ্ন আহবায়ক হিসেবে আছে এবং কুষ্টিয়া জেলা সমিতির সভাপতি তিনি। শেখ সাদী ছাত্রদলের রাজনীতি থেকে তার উত্থান শুরু এবং পরবর্তীতে বিএনপি'র দুঃসময়ে দলের নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং তৃণমূলের বিভিন্ন মামলার শিকার হওয়া কর্মীদের জামিনের ব্যবস্থা এবং আহতকর্মীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে তিনি।। বিএনপি'র ফান্ডিং ক্ষাতে তার অতীতেও ছিল ব্যাপক ভূমিকা ও বর্তমানেও রয়েছে।
শেখ সাদী বাংলাদেশের বিজনেস সেক্টরে এক পরিচিত মুখ তিনি বাংলাদেশের স্বনামধন্য গ্রুপ অফ কোম্পানি "এশিউর গুপ " এর চেয়ারম্যান এবং তার কোম্পানি এশিউর গুপ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা ও কোম্পানির সার্ভিস বেস্ট হাওয়ায় বেশ কয়েকবার জাতীয় পুরস্কার সহ একাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। শুধু ব্যবসায়িক সেক্টরেই না রাজনীতিতেও তিনি তার নেতৃত্বে কুষ্টিয়ার - ৪ আসনের সাধারণ মানুষের মন জয় করে নিয়েছে। তিনি ২০২৪ এ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে রাজপথে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। ছাত্র জনতার খাবার,পানি ও আহতদের নিজ অর্থায়নে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। শুধু বিএনপি'র রাজনীতি করায় ডিবি পুলিশের হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে তিনি এবং তার কোম্পানিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে একাধিকবার এন এস আই সহ সরকারি গোয়েন্দা সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযানের নামে বিভিন্ন নাটক করেছিল কিন্তু পরবর্তীতে সফল হতে পারেনি।
কুষ্টিয়া জেলা রাজনীতিতে তার একটি শক্তিশালী অবস্থান ও জনপ্রিয়তা আছে এবং বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সহ কেন্দ্রের হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠতা। আর এ সমস্ত প্রভাবের কারণে মনোনয়ন দৌড়ে তিনি অনেকটাই এগিয়ে আছে বলে মনে করছে কুষ্টিয়ার প্রবীণ রাজনৈতিক নেতারা।
শেখ সাদী'র পরেই যার নাম জোড়ালো ভাবে শোনা যাচ্ছে তিনি হলেন কুষ্টিয়ার - ৪ আসনের সাবেক এমপি ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি বর্তমান বিএনপি'র চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। সংসদীয় এলাকায় তার আলাদাভাবে একটি পরিচিতি রয়েছে বিশেষ করে কুষ্টিয়া জেলায় তিনি বর্ষিয়ান প্রবীণ রাজনীতিবিদ। মনোনয়ন দৌড়ে তিনি শেখ সাদী'র একজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে দলের হাই কমান্ডের গ্রিন সিগন্যালের আভাসে জেলা বিএনপি'র প্রবীন ও দায়িত্বে থাকা নেতাদের মতে, কুষ্টিয়া - ৪ আসনে মনোনয়ন লড়াইয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও মনোনয়ন শেষ পর্যন্ত শেখ সাদী পাবে কারণ তার জনপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের ধারের কাছেও কেউ নেই। ছাত্র রাজনীতির অভিজ্ঞতা, বাংলাদেশের বিজনেস সেক্টরে সুপরিচিত ব্যক্তি আর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে চলছে এবং সব মিলিয়ে তার পরিচিতি ও ব্যক্তিত্ব মনোনয়ন লড়াইয়ে তাকে প্রায় অপ্রতিদ্বন্দী করে তুলেছে।
কুষ্টিয়া - ৪ আসনে পরপর দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনটি থেকে বিএনপি'র মনোনীত প্রার্থী ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয় সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে পুনরায় দলের মনোনীত প্রার্থী হয়। কিন্তু সে নির্বাচন নিয়ে সারা বাংলাদেশে প্রশ্নবিদ্ধ ছিল এবং অভিযোগ ওঠে দিনের ভোট রাতে হয়েছিল অর্থাৎ ভোট কাটচুপি। তবে বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছিল তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সেলিম আলতাব জজের কাছে পরাজয় হয়। কিন্তু এবার শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ও বয়স বাড়ায় মনোনয়ন লড়াইয়ে কতটুকু এগোতে পারবে তা সময় বলে দেবে।
তবে কুষ্টিয়া - ৪ আসনে এবার বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী'র প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। তারা বিভিন্ন সভা সেমিনার সহ রাজনৈতিক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে কুষ্টিয়া - ৪ সংসদীয় এলাকা খোকসা উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি প্রবীন রাজনৈতিক নেতা আলাউদ্দিন খান বলেন, কুষ্টিয়া - ৪ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংসদীয় আসন। আর এই আসনটি বিএনপি'র ঘাঁটি হিসেবেই পরিচিত কিন্তু দীর্ঘ ১৬ বছর স্বৈরাচারের কারণে মানুষ ভোট দিতে পারেনি এবং আমাদেরকে ভোটে আসতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু এই ১৬ বছর পর মানুষ জালেমের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছে সাধারণ মানুষ এবার বিএনপি'কে ক্ষমতায় দেখতে চায়। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু পরিবর্তন হতে থাকে তারই ধারাবাহিকতায় কুমারখালী-খোকসা দুই উপজেলার গণ মানুষের নেতা হিসাবে আস্থা অর্জন করেছে আমাদের নেতা শেখ সাদী। আমরা চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি কুষ্টিয়া - ৪ সংসদীয় আসনে বিএনপি'র মনোনীত প্রার্থী যদি শেখ সাদী'কে করা হয় তাহলে এ আসনে যত প্রার্থী'ই থাক না কেন জনগণের ভোটে শেখ সাদী'র বিজয় হবে এবং এ আসনটি আবার বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে ভূমিকা রাখবে। শেখ সাদী'র নেতৃত্বে আমাদের সমস্ত নেতাকর্মীরা একজোট হয়েছে এবার তারা এ আসনে শেখ সাদী'কেই বিএনপি'র মনোনীত প্রার্থী করার জোর দাবি জানাচ্ছে।
আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসবে কিনা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের স্পষ্ট কোন বক্তব্য না পাওয়া গেলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসার সম্ভাবনা নেই বা সুযোগ নেই। এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী ও বিএনপি'র মনোনয়ন প্রতিদ্বন্দ্বীদের থেকেও শেখ সাদী'র জনপ্রিয়তা শীর্ষে এমনটি বলছে জেলার শীর্ষ বিএনপি নেতারা।
তাহলে আগামী নির্বাচনের মাঠে নেই আওয়ামী লীগ আর কুষ্টিয়া - ৪ আসনে শেখ সাদী বিএনপি'র মনোনয়ন পাওয়া মানেই অনেকটা সুনিশ্চিত জয়। আর সেই জয়ের ঘ্রাণ এখনই কিছুটা পেতে পারেন শেখ সাদী।
এমএসএম / এমএসএম

লোহাগড়া বাজারে সরকারি সড়ক গিলে খাচ্ছে তিনতলা ভবন

জয়ের ঘ্রাণ পাচ্ছেন শেখ সাদী ?

যমুনা ব্যাংকের ঢাকা উত্তর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের ম্যানেজারস’ মিটিং অনুষ্ঠিত

মিরসরাইয়ে মহাসড়ক সংলগ্ন অবৈধ বাউন্ডারি ওয়াল গুঁড়িয়ে দিল উপজেলা প্রশাসন

চিলমারীতে যৌথ অভিযানে, অনলাইন জুয়ার সরঞ্জামসহ দুই যুবক আটক

পারিবারিক দ্বন্দ্বে আহত হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’ গেজেটে নাম পেলেন বাঘার জাহিদ

মহেশখালীতে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড

কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত

তাড়াশে আগুনে বসত ঘর পুড়ে ছাই, ১০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

সুবর্ণচরে বিশিষ্ট সমাজসেবক আকবর হোসেনকে সংবর্ধনা

কোটালীপাড়ায় পুকুরে ডুবে প্রতিবন্ধী যুবকের মৃত্যু

ধামরাইয়ে পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
