থানায় যেতে পারেন না সাধারণ মানুষ, ওসির প্রত্যাহার চান জনগণ
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আসমাউল হকের বিরুদ্ধে মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় নানা অভিযোগ করা হয়েছে। এক পর্যায়ে ওসির ওপর অনাস্থা এনে তাকে প্রত্যাহারের দাবিও জানান সভায় উপস্থিত সদস্যরা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
আইন শৃঙ্খলা সভার নারী প্রতিনিধি অঞ্জলী আফছারী ওসির সাথে দেখা করতে না পারার আক্ষেপ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘নারীদের নানা সমস্যা নিয়ে কাজ করেন তিনি। সম্প্রতি ভুক্তভোগি এক নারীকে নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন। থানার মূল ফটক পেরোলেও ওসির সঙ্গে দেখা করতে দেননি দায়িত্বেরত পুলিশ সদস্যরা। বাধ্য হয়ে একই সমস্যা নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে যেতে হয়েছে। তিনি বলেন, থানায় এমন বিব্রতকর পরিস্থি সৃষ্টি করা হয়েছে যে, সাধারণ মানুষ ওসির সঙ্গে দেখা করতে পারেন না। সমস্যার কথা খুলে বলতে পারেন না। বাধ্য হয়ে এসব মানুষ ইউএনও’র কাছে যাচ্ছেন।
সভায় সংবাদকর্মীদের মধ্যে দিল মোহাম্মদ, আলী আক্কাছ, রাশিদুল ইসলাম, মিজানুর রহমান ও আব্দুস সালাম আইনশৃঙ্খলা পরিস্থির অবনতির কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, সংবাদ সংক্রান্ত বিষয় নিয়েও ওসি ফোন ধরেন না। বাধ্য হয়ে পুলিশ সুপারের কাছ থেকে বক্তব্য বা তথ্য সংগ্রহ করতে হয়।
এ সময় গণমাধ্যমকর্মী রাশিদুল ইসলাম বলেন, গত এক মাসে একই এলাকায় ১৯টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। এতে অন্তত ১ হাজার বিঘার সেচ ব্যহত হচ্ছে। কৃষকরা অভিযোগ দেওয়ার পরও ট্রান্সফরমার উদ্ধার হয়নি। পুলিশ চোরচক্রকেও শনাক্ত করতে পারেনি। এছাড়া দিনমজুরদের অটোভ্যান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চুরি এবং মাদকের বিস্তার বেড়েই চলেছে। এভাবে মানুষ নিঃস্ব হলেও পুলিশ এসব অন্যায় রোধে কার্যত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আইনশৃঙ্খলার এমন অবনতির ফলে তিনি ওসির প্রত্যাহার দাবি করেন।
সভার সদস্য উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল খালেক বলেন, ‘ওসি আসমাউল হক শক্ত খুটির জোর দেখিয়ে রাজনৈতিক ব্যক্তি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। পুলিশ তো জনগণের সেবক, সেটা মনে করেই ওসি সাহেবকে চাকরি করতে হবে। ৫ আগস্টে অনেক কিছু বদলেছে। ওসি সাহেব নিজেকে বদলান অথবা বদলি নিয়ে অন্যত্র চলে যান।’
সাংবাদিক দিল মোহাম্মদ ও আলী আক্কাছ বলেন, তথ্য চাওয়ায় আগের স্টেশন সিংড়ার এক সাংবাদিককে ডেভিল হান্টে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলে পাঠিয়েছিলেন এই ওসি। সাংবাদিকদের আন্দোলনে মুখে ওসিকে বদলি করে গুরুদাসপুরে দেওয়া হয়েছে। গুরুদাসপুরে এসেও ওসি অসৌজন্যমূলক আচরণ শুরু করেছেন। তিনি ওসির প্রত্যাহার দাবি করেন।
আইনশৃঙ্খলা সভার সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা আফরোজ দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ওসি আসমাউলের অসৌজন্যমূলক আচরণের শিকার তিনিও হচ্ছেন। মোবাইল কোর্টের জন্য সময় মতো পুলিশ চেয়েও পাচ্ছেন না। সচিব এবং জেলা প্রশাসক আসলে প্রটোকল দিচ্ছে না পুলিশ। ৮ মাসে তিনি পুলিশ নিয়ে কোনো সফল অভিযান করতে পারেননি। ১২ সেপ্টেম্বর প্রায় দেড় লাখ মানুষের সমাগমে নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সচিব, ডিআইজি, ডিসি উপস্থিত থাকলেও আইনশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব ওসির কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী সহায়তা পাননি তিনি। এতে করে থানা ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে দুরত্ব তৈরি হচ্ছে। বিষয়টি তিনি উচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সভার সদস্য সচিব ওসি আসমাউল হক বলেন, পুলিশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতেই তিনি কঠোর হতে বাধ্য হয়েছেন। তাকে ভুল বোঝা হচ্ছে। নাটোরের পুলিশ সুপার ফোন না ধারায় এ ব্যপারে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এমএসএম / এমএসএম
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে জিয়া পরিবারের অবদান অপরিসীম : এ্যাড. আজিজ মোল্লা
ভোলাহাটে বাগান নষ্ট ও হুমকির ঘটনা: প্রশাসন তদন্তে, উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী
জিয়া পরিবারের কষ্টের তুলনায় আমাদের কষ্ট কিছুই না - আবুল কালাম
যমুনা নদীতে চাঁদাবাজির দায়ে গ্রেপ্তার ১০
নবীনগরে চার গ্রামের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে বিএনপির মতবিনিময় সভা
কবিরহাটে ফখরুল ইসলাম: ধানের শীষে বিজয় হলে বন্ধ হবে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি
কোনো অপশক্তি নির্বাচন বানচাল করতে পারবে নাঃ আইজিপি
নাচোলে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের সংবাদ সম্মেলন
বাঘা-চারঘাট জামায়াতের এমপি প্রার্থী মোটরসাইকেল রেলি অনুষ্ঠিত
দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন
কাপাসিয়ায় সালাহউদ্দিন আইউবী‘র দাঁড়িপাল্লার সমর্থনে বিশাল মিছিল
গজারিয়ায় অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ