ঢাকা রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

মৎস্য অভয়াশ্রমে দেশীয় মাছের প্রাচুর্য সুফল ভোগ করছে এ অঞ্চলের মানুষ


গোলাম রব্বানী , গোপালগঞ্জ  photo গোলাম রব্বানী , গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: ২১-৯-২০২৫ দুপুর ২:৫৬

গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মৎস্য অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার ফলে এ অঞ্চলের মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন। স্থানীয় সুফলভোগী ও অভয়াশ্রম রক্ষার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সরকার যদি আরও অভয়াশ্রম স্থাপন করত, তাহলে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রাচুর্য আগের তুলনায় আরও বাড়ত। বর্তমানে অভয়াশ্রমের কারণে দেশীয় প্রজাতির মাছ উল্লেখযোগ্য পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে, ফলে বাজারে এর দামও কমে এসেছে।

স্থানীয় জেলেদার ধলাচাঁদ বিশ্বাস বলেন, “আগে নদীতে মাছ খুব কম ছিল। এখন অভয়াশ্রম থাকায় মাছ বেড়েছে। পরিবারের ভরণপোষণ এখন সহজে হচ্ছে।”

গৃহিণী রুলী বিশ্বাস জানান, “এবার মাছ সহজলভ্য হওয়ায় বাজারে দাম কমেছে। পরিবারের চাহিদা পূরণ হচ্ছে, আলাদা কষ্ট করতে হচ্ছে না।”

কিশোর মৎস্যজীবী অনির্বাণ বিশ্বাস বলেন, “অভয়াশ্রমে নিয়ম মেনে চলার ফলে মাছের প্রজাতি ও পরিবেশ সম্পর্কে আমরা অনেক কিছু শিখছি। এটা আমাদের জীবনের জন্য শিক্ষণীয়।”

অভয়াশ্রম পরিচালনা কমিটির সভাপতি বরেন্দ্রনাথ বিশ্বাসের মতে, “দেশীয় মাছ একসময় প্রায় বিলুপ্তির পথে ছিল। এখন আবার সেগুলো ধরা পড়ছে। এতে মৎস্যজীবীরা উপকৃত হচ্ছেন, স্থানীয় অর্থনীতিও চাঙা হচ্ছে।”

সাধারণ সম্পাদক স্বপন বিশ্বাস বলেন, “প্রজনন মৌসুমে জেলেদের সচেতন করা হয়েছে। মাছ না ধরায় মৌসুম শেষে বিপুল পরিমাণ মাছ বৃদ্ধি পেয়েছে। অভয়াশ্রম এখন এলাকার উন্নয়নের প্রতীক।”

সুফলভোগী সুশান্ত কুমার হালদার বলেন, “আগে মাছ ধরতে কষ্ট হতো, এখন খুব সহজে ধরা পড়ে। আয় বেড়েছে, পরিবারের চাহিদাও মিটছে।”

নিরাপত্তা প্রহরী মোঃ টিটু বলেন, “আমরা অভয়াশ্রম পাহারা দিই দিন-রাত। ফলে মাছের প্রজনন ব্যাহত হয় না। সরকারের এ উদ্যোগ সফল করতে সবাই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছে।”

গোপালগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজন কুমার নন্দী বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ সংরক্ষণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি এবং লজজ জীববৈচিত্র রক্ষার জন্য সবচেয়ে মৎস্য অভয়াশ্রম স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর উপায় হিসেবে স্বীকৃত। “অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য দেশীয় মাছ রক্ষা ও উৎপাদন বৃদ্ধি। নিয়মিত তদারকি ও জেলেদের সচেতনতার কারণে এর সুফল জনগণের ঘরে পৌঁছে গেছে।”

“দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প”-এর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মোঃ খালিদুজ্জামান বলেন, “সরকার দেশীয় মাছ রক্ষায় সর্বাত্মক পদক্ষেপ নিয়েছে। এ অঞ্চলে অভয়াশ্রম স্থাপন সেই পরিকল্পনার সফল বাস্তবায়নের দৃষ্টান্ত। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন সম্ভব হবে।”

সরজমিনে স্থানীয় মানুষের অভিজ্ঞতা ও দায়িত্বশীলদের মতামত থেকে স্পষ্ট—অভয়াশ্রম এ অঞ্চলে শুধু মাছের প্রজাতি সংরক্ষণেই নয়, বরং জীবিকা, পুষ্টি ও গ্রামীণ অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

এমএসএম / এমএসএম

সাভারে ক্লুলেস রিমন হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন

পঞ্চগড়ে সাংবাদিককে সন্ত্রাসী বললেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট

কাশিয়ানীতে বাস চাপায় প্রাণ গেল ভ্যান চালকের

মায়ানমার থেকে পণ্যের বিনিময়ে মাদক পাচারকালকে ৩ জন আটক

পূর্বধলায় জাতীয়তাবাদী তরুণ দলের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

গোদাগাড়ীতে ৩০০ গ্রাম হেরোইনসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ

ভূরুঙ্গামারীতে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ডাক্তার মোঃ ইউনুস আলী

চিতলমারীতে শুরু হলো ৫২তম গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

মুরাদনগরে শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত

দূর্গাপূজা সফল করতে বাঁশখালীতে পূজা কমিটির সাথে বিএনপির মতবিনিময় সভা

বকশীগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে সমাবেশ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

বাউফলে গলায় কলা আটকে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু

অপপ্রচার রোধে সরকারি কর্মকর্তাদের আইসিটি প্রশিক্ষণ