তানোরে বিএনপির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা, ভোটের আগে প্রত্যাহারের দাবি

রাজশাহীর তানোরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হত্যাসহ বিএনপির বিরুদ্ধে বিএনপির একাধিক মামলায় জর্জরিত নেতাকর্মীরা। এসব মামলা আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রত্যাহারের জোর দাবি তুলেছেন সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে মামলার আসামী ও তৃনমূলের নেতাকর্মীরা। তা না হলে জাতীয় নির্বাচনে বিরুপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে মামলা প্রত্যাহার করে দলে ঐক্য ফিরিয়ে আনতে কেন্দ্রীয় ও জেলা এবং মনোনয়ন প্রত্যাশীদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, গত রমজান মাসে উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিলের প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল (অব) শরিফ উদ্দিন কে বরণ করা নিয়ে ইউপি বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মজিবুর রহমান ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুল হক মমিন গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রামেক হাসপাতালে মমিনের ভাই বিএনপি কর্মী গানিউল মারা যান। এঘটনায় মমিন বাদী হয়ে ইউপি সভাপতি প্রভাষক মজিবুর রহমান ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজানকে প্রধান করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও নিম্ন আদালতে মিজান ছাড়া সবাই কে কারা বরণ করতে হয়। অথচ ওই ইফতার মাহফিলে মিজান অতিথি হিসেবে ছিলেন। অনেক অতিথি থাকলেও মিজানকে আসামী করা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনা হয়।
এছাড়াও রমজান মাসের শেষের দিকে চান্দুড়িয়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিনের আয়োজনে দেওতলা স্কুলে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ইফতার মাহফিল শেষে রাতৈল গ্রামে গভীর নলকূপের দখল, সেচ সংক্রান্ত ঘটনা ও চাঁদা বাজিকে কেন্দ্র করে মফিজ এবং ইউপি সভাপতি আজাদ গ্রুপের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে নেকচার নামের একজন নিহত হন। মফিজ গ্রুপের লোকজন নেকচারকে কৃষক দলের কর্মী দাবি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামীরা জেলও খাটেন। তবে আজাদ গ্রুপের নেতাকর্মী দের দাবি নেকচার চান্দুড়িয়া ইউপির ৭ নম্বর ওয়ার্ড আ”লীগের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন এবং তাকে সরকারি বাড়ি দেয়া হয়েছিল। নেকচারের মা দাবি করেন নেকচারের জায়গার উপর সরকারি বাড়ি থাকলেও সেটি আমাদের নামে। তবে তাদের নামে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। মারপিটের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়াও কামারগাঁ ইউনিয়ন ইউপির ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি নেতা সাইফুল কে বিএনপির আরেক অংশের লোকজন বেধড়ক পিটিয়ে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এঘটনায় তিন টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় সব আসামীরা জামিনে থাকলেও কোর্টে নিয়োমিত হাজিরা দিতে হচ্ছে।
তৃনমূলর ভাষ্য, নিজ দলের আধিপত্য বিস্তার বা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারপিট ও হত্যার মত ঘটনা কল্পনাতীত। হত্যার পর অনেকে মামলা বানিজ্য শুরু করেছেন। নিজ দলের কর্মীর হাতে নিজ দলের কর্মীরা নিরাপদ হয়নি। তবে হত্যার পর উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে মিমাংসা করতে পারত সিনিয়র নেতারা। সেটা না করে মামলা বানিজ্যে জড়িয়ে পড়ে। এক পক্ষ আরেক পক্ষ কে ঘায়েল করতে মরিয়া হয়ে পড়ে। এসব কারনে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে শুরু করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চরম বিভক্ত। এঅবস্থায় আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে মামলা প্রত্যাহারসহ দল কে সুসংগঠিত করতে না পারলে মহা বিপদে পড়বে। কারন অন্য দল চরমভাবে এগিয়ে চলেছে। নির্বাচন কে সামনে রেখে যাবতীয় সব কাজ করছে। আর বিএনপি মামলা হাজিরা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখনই সময় সবকিছু ভূলে ঐক্য ফিরিয়ে আনা।
একাধিক সিনিয়র নেতারা জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলকে ঐক্যবদ্ধ করতে হলে সকল মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করতে হবে। তানাহলে ভোটে চরম প্রভাব পড়বে। বিএনপি বৃহত্তর দল লবিংগ্রুপিং থাকবেই। কিন্তু হত্যার মত ঘটনা লজ্জা জনক। যেহেতু নিজেদের মধ্যেই হত্যা মামলা হয়েছে। সুতরাং নিজেরাই বসে মিমাংসা করে মামলা, বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে ভোটের আগেই এক কাতারে আসার জন্য জেলা বা সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতাদের জরুরি ভাবে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এমএসএম / এমএসএম

ভোলায় বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু, আহত-৩

বড়লেখায় সীমান্ত থেকে একনলা বন্দুক উদ্ধার

খালিয়াজুরীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দূর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

সন্দ্বীপে প্রান্তীক জেলেদের মানববন্ধন

মুজিবনগর সামাজিক উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি উদ্বোধন

চট্টগ্রাম শ্রম দপ্তর:আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ পরিচালকের বিরুদ্ধে

চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ফোরামের ভিডিও এডিটিং কর্মশালা সম্পূর্ণ

টেকনাফে বজ্রপাতে নিখোঁজ জেলের লাশ উদ্ধার

রাজশাহীতে আজকের দর্পণ'র প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নানা সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশে চাকরি

বাউফলে ব্র্যাক জলবায়ু পরিবর্তন স্বাস্থ্য প্রকল্পের ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত

বিপাকে আগাম সবজি চাষীরা কুড়িগ্রামে সার ও বীজ সংকট
