জরার্জীণ মহেশখালী আদালত ভবন,ভাড়া কক্ষে চলছে বিচারকার্য

সরকার সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার সহজলভ্য করতে মহেশখালী উপজেলার কেন্দ্রস্থলে যে আদালত ভবন নির্মাণ করেছিলেন, তা দীর্ঘদিন ধরেই পরিত্যক্ত। একসময় এই ভবনে ফৌজদারি ও দেওয়ানি উভয় ধরনের মামলার কার্যক্রম চলত। কিন্তু ২০১৫ সালে ভবনটি জরাজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত হওয়ার পর থেকে আদালতের কার্যক্রম আর এখানে বসছে না। সেই সময় থেকে আজ অবধি নতুন ভবন নির্মাণের উদ্যোগ শুরু না হওয়ায় বাধ্য হয়ে ভাড়া করা ডাক বাংলোর চারটি ছোট কক্ষে চলছে বিচার কার্যক্রম।
বর্তমানে শুধুমাত্র ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু জায়গার সংকট এতটাই প্রকট যে এজলাস কক্ষে একসাথে দশজন মানুষ বসা বা দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। চারপাশে ঠাসাঠাসি নথিপত্রে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা হিমশিম খাচ্ছেন প্রতিদিন। বিচারপ্রার্থীদের জন্য কোনো শৌচাগার নেই, বসার সুযোগ নেই মুক্ত কোনো স্থানে। এভাবে সংকটাপন্ন অবস্থার মধ্যেই চলছে প্রান্তিক জনগণের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিচার প্রাপ্তির পথ।
আদালতের এডভোকেট ক্লার্ক নিলয় রফিক জানান, বিপুলসংখ্যক মামলার কারণে আদালতে প্রতিদিন ভিড় থাকে। দূরদূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা মানুষজন ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হন। বৃষ্টি হলে পড়তে হয় আরও ভয়াবহ দুর্ভোগে। স্থানীয় সেবাপ্রার্থী আলী হোসেন অভিযোগ করেন, আদালতের যে কয়েকটি ওয়াশরুম আছে, সেগুলো সবসময় তালাবদ্ধ থাকে। ফলে বিচারপ্রার্থীরা ভীষণ ভোগান্তিতে পড়ে ঘুরে বেড়ান ছন্নছাড়া হয়ে।
অভিযোগ রয়েছে, পুরাতন আদালত ভবন ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সরকার বরাদ্দ দিলেও প্রকৃতপক্ষে কাজ শুরু হয়নি। প্রশাসনের শিথিল নজরদারি, কন্ট্রাক্টরের নিষ্ক্রিয়তা এবং দৃঢ় হস্তক্ষেপের অভাবই এ পরিস্থিতির মূল কারণ বলে স্থানীয়রা মনে করেন। নতুন ভবনের কাজ না শুরু হওয়ায় দ্বীপাঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ আদালত কার্যত পরিচালিত হচ্ছে অচল পরিবেশের মধ্যে। এ অবস্থা বিচারিক কার্যক্রমকে প্রতিনিয়ত জটিল ও ভঙ্গুর করে তুলছে।
আইনজীবীদের মতে, আদালতের অবকাঠামো উন্নয়ন এবং অর্থ বরাদ্দের দায়িত্ব মূলত নির্বাহী বিভাগের হাতে। কিন্তু কাজের ধীরগতি ও অগ্রগতি পুরোপুরি নির্ভর করছে তাদের ইচ্ছা ও মনোযোগের উপর। এর ফলে নানা প্রশাসনিক জটিলতার কারণে নিত্যদিন ব্যাহত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। স্থানীয় আইনজীবীরা বলছেন, আদালতের অবকাঠামোগত ঘাটতি যত দ্রুত সম্ভব কাটিয়ে উঠতে না পারলে ন্যায়বিচারের পরিবেশ আরও ভঙ্গুর হয়ে পড়বে।
সাবেক বিচারক শাহজাহান সাজু জানান, সুপ্রিম কোর্ট বা সচিবালয়ের মতো সংস্থার অধীনে থাকলে এ ধরনের কাজ দ্রুত শেষ হতো। কিন্তু বাস্তবে আইন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগ নিতে গেলেও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয়ের প্রয়োজন হয়। বাজেটের নানা জটিলতার অজুহাতে বছর বছর কাজের অগ্রগতি স্থবির হয়ে থাকে। ফলে স্থানীয় আদালতের পরিবেশ আর উন্নত হয় না। তিনি মনে করেন, উচ্চপর্যায়ের মনিটরিং ছাড়া এই অবস্থা কাটানো সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ওমর ফারুক জানান, আমাদের বড় দুর্ভাগ্য হলো বিচার বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেট মাত্র দুই শতাংশ। অথচ বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবন নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় সাতচল্লিশ শতাংশ। এ বৈষম্য দীর্ঘদিনের পুরোনো সমস্যা হিসেবেই রয়ে গেছে। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে মহেশখালী আদালত ভবনের কাজ শুরু না হলে দ্বীপাঞ্চলের প্রান্তিক মানুষের বিচার প্রাপ্তির পথ আরও কষ্টকর হয়ে উঠবে।
এমএসএম / এমএসএম

মধুখালীতে প্রতারণার ফাঁদে পড়ে অসহায় পঙ্গু চালকের ইজিবাইক চুরি

সিলেট জেলা তাঁতীদলের কমিটি গঠন

শালিখায় সিটি ব্যাংকের অর্থায়নে গাছের চারা বিতরণ

নড়াইল-১ আসনের তৃণমূলে কাজ করে জনপ্রিয়তা পাচ্ছেন জিয়া পরিষদ নেতা অধ্যাপক বি.এম. নাগিব হোসেন

ভূরুঙ্গামারীতে জব্দকৃত ৮৫ বস্তা টিএসপি সার ধ্বংস করলো প্রসাশন

সিলেট-৬ আসনে বিএনপিতে নয়-জামায়াতে এক, প্রচারণায় আছেন অন্য দলের প্রার্থীরা

পাঁচ হাজার ইয়াবাসহ শীর্ষ মাদক ব্যাবসায়ী র্যাবের হাতে আটক

কুমিল্লায় ৮৭ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ

কুড়িগ্রামে এনসিপির বিক্ষোভ

আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন আর সুদকে হারাম করেছেনঃ কর্ণেল অলি

যশোর-২ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হতে মাঠ প্রস্তুত করেছেন জহুরুল

হাতিয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ বিষয়ক বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
