ডিআইজিকে তদন্তের নির্দেশ
হত্যা মামলার এজাহার বদলাল টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ

কক্সবাজারের টেকনাফের একটি হত্যা মামলার এজাহার পুলিশের তিন কর্মকর্তা মিলে বদলে দেওয়ার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে মামলার বাদি। আর আদালত এটি আমলে নিয়ে ডিআইজিকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
হত্যা মামলার বাদী শামসুল আলম বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলাটি দাখিল করো হয় বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি পক্ষের আইনজীবী মো. আবদুল মান্নান।
তিনি জানান, আদালতের বিচারক আসাদ উদ্দিন মো. আশিক অভিযোগটি আমলে নিয়ে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজিকে তদন্তের আদেশ দেন।
তিনি জানান, গত ১৮ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে টেকনাফ পৌরসভার চৌধুরী পাড়ায় এমদাদ হোছেনকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় ২০ সেপ্টেম্বর টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দায়ের করেন নিহতের ছোট ভাই শামসুল আলম (৩৮)।
সেদিনই এজাহারে ভুল আছে তা সংশোধন করতে হবে জানিয়ে বাদীকে থানায় ডেকে নেন টেকনাফ থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর ও ওসি (তদন্ত) হিমেল রায়। তাদের উপস্থিতিতেই স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বাদীকে প্রলুব্দ করার চেষ্টা করে এবং র্যাব পুলিশ দিয়ে বিভিন্ন মামলায় জড়ানোর ভয় দেখায়।
এক পর্যায়ে প্রভাবশালীরা থানা ত্যাগ করলে নিরক্ষর বাদীর কাছ থেকে নতুন এজাহারে স্বাক্ষর নেন পুলিশ। পরে এজাহারটি আদালতে আসার পর দেখা যায় ছুরতহাল প্রতিবেদনের সাথে পুলিশের দাখিলকৃত নতুন এজাহারের মিল নেই।
মামলার বাদী শামসুল আলম বলেন, পুলিশের তৈরি সুরতহাল প্রতিবেদনে থাকা তথ্য অনুযায়ী আমার ভাইয়ের কণ্ঠনালী থেকে কান পর্যন্ত কেটে দেওয়া এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত থাকার কথা উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেছিলাম। কিন্তু আদালতে পাঠানো পুলিশের এজাহারে এই তথ্যটি নাই। অথচ পুলিশ আমার কাছ থেকে যে এজাহারে স্বাক্ষর নেন সেটি লিখেছেন নিহতের সুরতাহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী টেকনাফ থানার এসআই মোহাম্মদ সেকান্দর সাঈম।
তিনি আরো বলেন, এজাহার পরিবর্তনের বিষয়টি এলাকাবাসীর মুখে শুনি। সেখান থেকেই জানতে পারি মামলার আসামীদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এজাহারটি পরিবর্তন করেছে পুলিশ। এমন সংবাদ শুনে আদালত থেকে এজাহার তুলে এলাকায় প্রচার হওয়া তথ্যের সত্যতা পাই। এছাড়া আমার দেওয়া এজাহারে ঘটনার প্রধান হোতা কামাল হোছনের ছেলে আবদুর রহমান (৩৫) এর বিরুদ্ধে সুনিদির্ষ্ট অভিযোগ থাকলেও পুলিশের পরিবর্তিত এজাহারে নেই। তাই আমি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।
এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ সেকান্দর সাঈম বলেন, বাদীর আদালতে অভিযোগ দেওয়ার বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে সত্য হচ্ছে বাদীর দায়ের করা এজাহারের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নাই। বাদী এজাহার যেমন দিয়েছে তেমনই রয়েছে। তাকে ডেকে আনার বিষয়টি সত্য নন। আমি জানি না তিনি কেন আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ বাদীকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করছে। ইতিমধ্যেই আমরা ওই মামলার দুইজন আসামী মৃত আব্দুস সালামের দুই ছেলে কামাল হোছন (৫৫) ও নুরুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছি। বাকিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করছে।
টেকনাফ থানার ওসি তদন্ত মামলার রেকডিং কর্মকর্তা হিমেল রায় বলেন, ঘটনাটি আমার মনে পড়ছে না। আমি বর্তমানে চট্টগ্রামের ডিআইজি অফিসে রয়েছি। পরে বিস্তারিত বলতে পারবো।
টেকনাফ থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, আদালতে কে কি অভিযোগ করেছে আমার জানা নেই। তাই এবিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে পারছি না।
এমএসএম / এমএসএম

গলাচিপায় জামায়াতে ইসলামি'র পাঁচ দফার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

দাউদকান্দিতে ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ

রায়গঞ্জে নদীতে ফুট ব্রিজ নির্মাণের নিমিত্ততে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মির্জাগঞ্জে পিআরসহ ৫ দফা দাবীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সীমান্ত এলাকায় ৫৫ মণ্ডপের নিরাপত্তায় বিজিবি নিয়োজিত থাকবে-লে. কর্ণেল মোহাম্মদ আরিফুল হক

বেনাপোল সীমান্তের খালেক হত্যাকান্ডে রেজা ও জিয়ার নামে মামলা

শান্তিগঞ্জে ট্রাক-সিএনজি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ নিহত ৩

ঘোড়াঘাটে প্রকাশ্যে বাজারে গাঁজা বিক্রি আটক বিক্রেতা

টাঙ্গাইলে জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে নদী ভাঙন থেকে রক্ষা পেলো ৫০০ পরিবার

সন্দ্বীপে দূর্গা পূজা উপলক্ষে ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রার্থী আমজাদ হোসাইনের মন্দির পরিদর্শন

হত্যা মামলার এজাহার বদলাল টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ

পুজোর মৌসুমী পদ্মফুলের চাহিদা বেড়েছে গ্রামে
