ফুটবল মাথায় সাইকেলে চালিয়ে ৪র্থবার গিনেস বুকে শালিখার হালিম

মাথার উপরে ফুটবল, দুই হাত হ্যান্ডেলে। এভাবে টানা ২০ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লিখিয়েছেন মাগুরার শালিখার আবদুল হালিম (৪৯)। ২২ ফেব্রুয়ারি মাগুরা ইনডোর স্টেডিয়ামে এ কৃতিত্ব অর্জন করেন তিনি। যাচাই–বাছাই শেষে গত শনিবার এ রেকর্ডের স্বীকৃতি দেয় গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ। চতুর্থবারের মতো গিনেস বুকে নাম লেখানো আবদুল হালিমের বাড়ি মাগুরার শালিখা উপজেলার শতখালী ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামে। মাথার ওপর ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটা, বাইসাইকেল চালানো বা স্কেটিং করা তাঁর কাছে নতুন কোনো ঘটনা নয়। ফুটবল নিয়ে তিনি অর্ধশতাধিক আকর্ষণীয় খেলা দেখাতে পারে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুযায়ী, ‘দ্য গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ট্রাভেল্ড অন এ বাইসাইকেল ব্যালান্সিং এ ফুটবল অন দ্য হেড’ বা মাথায় ফুটবল রেখে সাইকেল চালিয়ে সবচেয়ে বেশি দূর যাওয়ার রেকর্ডের মালিক এখন আবদুল হালিম। এ রেকর্ড গড়তে নিজের রেকর্ডই ভেঙেছেন আবদুল হালিম। ২০১৭ সালের ৮ জুন ঢাকায় ১ ঘণ্টা ১৯ মিনিটে মাথায় বল নিয়ে ১৩ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সাইকেল চালিয়ে গিনেস বুকে রেকর্ড গড়েন তিনি। সাত বছরের বেশি সময় রেকর্ডটি তাঁর দখলেই ছিল। গিনেস বুকে তাঁর নাম প্রথমবার ওঠে ২০১১ সালে। ঐ বছরের ২২ অক্টোবর ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামে বল মাথায় নিয়ে ১৫ দশমিক ২ কিলোমিটার পথ হেঁটে রেকর্ড গড়েন। সেই রেকর্ড অবশ্য এখন হাতছাড়া হয়েছে।দ্বিতীয় দফায় ২০১৫ সালে গিনেস বুকে নাম ওঠে তাঁর। আবদুল হালিম বলেন, ‘ছোটবেলায় এক গোলকিপারের বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ দেখে এতে আগ্রহী হই। প্রায় ৩৩ বছর ফুটবল নিয়ে নানা খেলা শিখেছি, ও নিয়মিত চর্চা করি। এটাই আমার পেশা। এটা করতে গিয়ে অন্য কোনো কাজ আর শেখা হয়নি। ৯০ দশকের শুরুতে ফুটবলের কসরত শেখার নেশা তৈরি হয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ালেখা করা আবদুল হালিমের। এর পর থেকে এটাই তাঁর পেশা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ফুটবলের কসরত দেখিয়ে যে সম্মানী পান, তা দিয়ে কোনোমতে চলে সংসার। আগে যে তিনবার রেকর্ড করেছিলেন, তখন স্পনসর (পৃষ্ঠপোষক) ছিল।নতুন রেকর্ডের স্বীকৃতির পর আবদুল হালিম বলেন, ‘গিনেস রেকর্ড করে দেশের সুনাম বাড়িয়েছি। কিন্তু এর বিনিময়ে তেমন কিছুই পাইনি। একটা রেকর্ড করতে অনেক সময়, শ্রম ও অর্থ ব্যয় হয়। পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া আমার মতো মানুষ এটা কীভাবে করবে? আবদুল হালিম যে কসরত ও কৌশল রপ্ত করেছেন, সেগুলো নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে চান। তিনি বলেন, ‘আমি তো চাই, স্কুল–কলেজের শিক্ষার্থীরা এসব কৌশল শিখুক। আরও নতুন নতুন রেকর্ড হোক।কিন্তু এ জন্য সরকারি–বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা দরকার।মাগুরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক (জেলা প্রশাসক) মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, আবদুল হালিমের অর্জনে তাঁরা আনন্দিত। জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া সংস্থা তাঁর অগ্রযাত্রায় পাশে আছে।
এমএসএম / এমএসএম

ফুলছড়িতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

এতিম খানায় দুপুরের খাবার ও দোয়ার আয়োজন করলো মানবিক করিম টিম

১৬ বছর পর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি'র সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের পুনর্জাগরণ

খাগড়াছড়িতে দুর্গাপূজাকে ঘিরে জন নিরাপত্তায় র্যাবের টহল

নির্বাচনে খুনী, চাঁদাবাজ ও মাস্তানদের সাথে নতুন ভোটারদের লড়াই হবে -মিয়া গোলাম পরওয়ার

কালীগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

আলীপুর মুমিন পাড়া সড়কটি যুগের পর যুগ উন্নয়ন ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত

ঝিনাইদহে ৫ দফা দাবীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

অসহায় মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসানের বিশেষ উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে নিরাপদ সড়ক চাই এর নব গঠিত কমিটির অভিষেক

সন্ত্রাস চাঁদাবাজদের স্থান বরগুনায় হবে না -নজরুল ইসলাম
