ঢাকা রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

রাজপথের নির্ভীক সৈনিক আব্বাস আলী: জয়পুরহাট-২ এ পরিবর্তনের প্রত্যাশা


এইচ এম মাহমুদ হাসান photo এইচ এম মাহমুদ হাসান
প্রকাশিত: ২৭-৯-২০২৫ রাত ১১:৫৬
দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে রাজপথে গণতন্ত্রের লড়াইয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করে অবিচল থেকে যিনি আজও সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, তিনি মোঃ আব্বাস আলী (৪২)। 
 
ছাত্রজীবন থেকে জাতীয়তাবাদী আদর্শ লালনকারী এই আপসহীন নেতা বর্তমানে জয়পুরহাট-২ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী। তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা, সাংগঠনিক দক্ষতা, ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং মানবিক কর্মকাণ্ড তাঁকে স্থানীয় জনগণের নিকট একজন নির্ভরযোগ্য নেতার মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করেছে।
 
শিক্ষাজীবন ও সাংগঠনিক ভিত্তি:
আব্বাস আলী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ (অনার্স) এবং সরকারি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে ফাজিল (ডিগ্রি সমমান) সম্পন্ন করেন। তাঁর রাজনৈতিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৯৭ সালে নিজ এলাকা মামুদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল থেকে। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও মাস্টারদা সূর্যসেন হল ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
 
নির্যাতন ও সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস
রাজপথের আন্দোলনে বারবার হামলা, মামলা ও মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। উল্লেখযোগ্য ঘটনা সমূহ হলো—
২০০৯ সালে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাঁকে এস এম হল থেকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে মৃত ভেবে বস্তাবন্দী অবস্থায় ফুলার রোডে ফেলে যায়। আইসিইউতে এক মাস মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেন তিনি।
২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করলে তাঁকে পিটিয়ে মৃত ভেবে তাঁর উপর নাচতে থাকে দুর্বৃত্তরা—ঘটনাটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পায়।
 
২০১৮ সালে নয়াপল্টন বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের গুলির মুখে বুক পেতে দাঁড়িয়ে আলোচনায় আসেন; পরবর্তীতে গুম ও কারাবন্দি হন।
২৮ অক্টোবর ২০২৩ নয়াপল্টনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন; লাইফ সাপোর্টে নিতে হয় তাঁকে।
২৯ জুলাই ২০২৩ ঢাকার গাবতলীতে আমানুল্লাহ আমান গ্রেফতার হওয়ার পর রাজপথ ছেড়ে না যাওয়ায় পুনরায় হামলার শিকার হন।
 
মিথ্যা মামলা ও খালাস
গণতন্ত্রের আন্দোলনে অংশ নেওয়ার অপরাধে তাঁর বিরুদ্ধে পল্টন, শাহবাগ, মিরপুর, লালবাগ, বিমানবন্দর ও ক্ষেতলাল থানায় মোট ১৬টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। অধিকাংশ মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
 
মানবিক ও সামাজিক ভূমিকা
রাজনৈতিক লড়াইয়ের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষের পাশে থেকেছেন তিনি। অসহায় মানুষের সাহায্য, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা, খেলাধুলা আয়োজনসহ সামাজিক উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা প্রশংসিত। তিনি জাতীয় পর্যায়ে অ্যাথলেটিক্সে সেরা খেলোয়াড় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রানার্সআপ হিসেবেও পরিচিত।
 
জনগণের প্রত্যাশা
আব্বাস আলী দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, “দলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমাকে যদি জয়পুরহাট-২ আসনে ধানের শীষের মনোনয়ন দেওয়া হয়, তবে আমি সততা ও ঈমানদারির সাথে জীবন উৎসর্গ করে জনগণের পাশে থাকতে চাই।”
জয়পুরহাট-২ আসনের সাধারণ ভোটাররা তাঁকে একজন ত্যাগী ও নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে দেখছেন। দিনমজুর, কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের মুখে একটাই দাবি— “দলের হাই কমান্ড যেন আব্বাস আলীর উপর আস্থা রাখেন।”
 
মোঃ আব্বাস আলী শুধু একজন নেতা নন, তিনি সংগ্রামী গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রেরণার প্রতীক।

এমএসএম / এমএসএম

ঝিনাইদহ অফিসার্স ফোরামের নতুন কমিটি গঠন

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

বিনামূল্যে ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ শিখাচ্ছে পাথওয়ে

উত্তরায় SEDA ফাউন্ডেশনের ১৭তম মেধা যাচাইয়ে প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউক চেয়ারম্যান, ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনায় নকশা দাখিল ও অপসারণের নির্দেশ

হাতপাখা নির্বাচিত হলে ঢাকা-১৮ কে একটি মডেল সিটি হিসেবে গড়ে তুলা হবেঃ আলহাজ্ব আনোয়ার

ডেমরায় সাংবাদিকদের সাথে জামায়াতে ইসলামী প্রার্থীর মত মতবিনিময় সভা

গণধোলাইয়ে মারা গেলো চোর, হত্যা মামলায় ফাঁসলো নারী সাংবাদিক

আত্মনিবেদিত রাজনীতিবিদ শেখ ফজলে বারী মাসউদ

যুবদের আত্মরক্ষামূলক মৌলিক প্রশিক্ষণের প্রথম ব্যাচের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত

গেমপ্লিফাই সফলভাবে আয়োজন করল অনসাইট স্পোর্টস কুইজ প্রতিযোগিতা

মাদক সন্ত্রাস প্রতিরোধে ঐক্যের ডাক, পরিবর্তনের অঙ্গীকার কামাল হোসেনের

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শনে রাজউকের জরুরি তৎপরতা