মনপুরায় অবৈধ স-মিল দিয়ে চলছে রমরমা ব্যবসা,ধ্বংস করা হচ্ছে বনাঞ্চল
ভোলার মনপুরা উপজেলায় সরকারী অনুমোদন ছাড়াই যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ স-মিল। কোন নিয়মনীতি না মেনে এসব অবৈধ করাত কল চলছে আর প্রতিদিন কাটা হচ্ছে বনজ, ফলদসহ নানা প্রজাতির গাছ। রাতে দিনে সব সময় সচল থাকে এসব স-মিল। স-মিলের আশপাশের বাড়িতে বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে ভূক্তভোগীদের। কোনভাবেই লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হচ্ছে না এসব অবৈধ স-মিলের মালিকদের। বড় ধরনের পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। তাই দ্রুত অবৈধ স-মিল অপসারণ ও আইনের আওতায় আনার দাবিও তাদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৫ টি ইউনিয়ন এ প্রায় ৫০ টির ও বেশি স-মিল রয়েছে। লাইসেন্স ছাড়াই যুগের পর যুগ এসব স-মিলের মালিকরা রমরমা ব্যবসা করে আসছে। স-মিল চালানোর ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ম নীতি থাকলেও উপজেলা জুড়ে এ চিত্র ভিন্ন। প্রশাসনের নাকের ডগায় এই সকল অবৈধ স-মিল চললেও প্রশাসন যেন দেখেও না দেখার ভান করে চলছে । অধিকাংশ স-মিল সড়কের পাশে অবস্থিত আর সড়কের দু'পাশে ফেলে রেখেছে হাজার হাজার গাছের গুঁড়ি। ফলে লোকজন মূল সড়কের উপর দিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। যার কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকির অভাবে রাস্তার পাশ,স্কুল , বাজার এলাকায় স্থাপিত হয়েছে এসব স-মিল।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৩৭৩ বর্গ কিলোমিটারের মনপুরা দ্বীপ এই মনপুরা দ্বীপ উপজেলা জুড়ে সর্বত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে এসব স-মিল। স্থানীয় বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণে এসব অবৈধ স-মিল ব্যবসা করে আসছে।
মনপুরা উপজেলার ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের বাংলাবাজারে অবস্থিত শরিফ পাটোয়ারী স-মিলের মালিক শরিফ পাটোয়ারী বলেন, আমার স-মিলের ট্রেড লাইসেন্স আছে। আমরা কোন অবৈধ গাছ কাটিনা।
মনপুরা উপজেলায় প্রায় ৫০টির বেশী স’মিল রয়েছে, এরমধ্যে ২ নং হাজীরহাট ইউনিয়ন এ হাজীরহাট বাজার সংলগ্ন এলাকায় দুইটি স- মিল রয়েছে। এবং বাংলাবাজার সংলগ্ন সড়কের পাশে দুই টি স- মিল রয়েছে এছাড়াও রামনেওয়াজ, চৌধুরী বাজার, চৌমুহনী, ফকিরহাট, ভূইয়ার হাট, আনন্দ বাজার, মাষ্টার হাট, সিরাজগঞ্জ বাজার, কোড়ালিয়া বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার,স্কুল, মাদ্রাসা সংলগ্ন ও লোকালয়ে এসব অবৈধ সমিল রয়েছে।
যদিও স-মিল স্থাপন বিধিতে বলা হয়েছে, সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানের ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানার ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স-মিল স্থাপন করা যাবে না। এ ছাড়া সকাল ৬টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে স-মিল চালানো যাবে না। সেইসাথে স-মিল চালানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত ফি প্রদান সাপেক্ষে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তার পরেও সরকারি সব বিধিনিষেধ উপেক্ষিত হচ্ছে এসব স-মিলে'র রমরমা ব্যবসা।
লাইসেন্স না থাকার ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স-মিল মালিক জানান, তারা লাইসেন্স ছাড়াই চলতে পারছেন। তাই লাইসেন্স করার দরকার কী। লাইসেন্স পেতেও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয় তাই এভাবেই চলছেন তারা।
এমএসএম / এমএসএম
পিরোজপুরে জাতীয়তাবাদী ১২ দলীয় জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দারের পক্ষে গণসংযোগ
নওগাঁয় তথ্য অধিকার আইন অবজ্ঞার অভিযোগে ৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আপিল আবেদন
নাচোলে ৫৪তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
রায়পুরে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
রাণীনগরে পারিবারিক পুষ্টি বাগান প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম
মানিকগঞ্জ টেলিভিশন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি বি.এম খোরশেদ, সাধারণ সম্পাদক আশরাফ লিটন
জয়পুরহাটে ৫৪ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
রাজশাহী মহানগর বিএনপি'তে সভাপতি মামুন, সম্পাদক রিটন
পিরোজপুরে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন
বারহাট্টায় সমবায় দিবস পালিত
ভোলায় বিএনপি বিজেপি পাল্টাপাল্টি শোডাউন, হামলা বিজেপি অফিস ভাংচুর আহত- ২০
ঝিনাইদহে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপন