রাজশাহীর মসজিদগুলো সুশোভিত হবে ফল আর ফুলের বাগানে
বাংলাদেশ একটি মুসলিমপ্রধান দেশ। এ দেশের গ্রাম-গঞ্জে, শহর-বন্দরে, হাট-বাজারে, রাস্তার ধারে কিংবা মোড়ে সর্বত্র অসংখ্য মসজিদ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। কৃষি ও গ্রামপ্রধান বাংলাদেশে মসজিদকেন্দ্রিক বাগান চর্চা খুব একটা দেখা যায় না। এর ফলে বাগানহীন মসজিদগুলো কেমন যেন খা খা, নির্জীব, মরুভূমির মতো মনে হয়। এ দেশের আবহাওয়া, জলবায়ু, ভৌগোলিক ও পরিবেশগত কারণে মসজিদ প্রাঙ্গণে পরিকল্পিত উপায়ে আধুনিক পদ্ধতিতে সুদৃশ্য বাগান তৈরি করা সম্ভব।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মসজিদ অঙ্গনে স্বল্প পরিসরে এবং পরিকল্পিত উপায়ে আদর্শ বাগান তৈরি করা সম্ভব। এই বাগানে মালী বা কৃষকের ভূমিকা পালন করবে মসজিদের খাদেম বা মসজিদ কর্তৃক নিযুক্ত কোনো ব্যক্তি। মসজিদের বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফুল, ফল, শাক-সবজি, ভেষজ, বনজ, বাহারি ও শোভাবর্ধনকারী গাছপালা রোপণ করতে হবে। মসজিদের চারপাশে সীমানা প্রাচীর বরাবর নারিকেল, পান, সুপারি, খেজুর ও বিভিন্ন ধরনের শোভাবর্ধনকারী গাছপালা দ্বারা আচ্ছাদিত করা যায়। এছাড়া যেসব মসজিদে আবাদি জমি (ওয়াক্ফ বা দেবোত্তর সম্পত্তি) আছে সেখানে আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হবে। ধান, গম, ডাল, আলু, ভুট্টা, তৈলবীজ, ডালবীজ, পাম, রাবার, মসলা, পাট, চা, ইক্ষু, রেশম, তুলা প্রভৃতি কৃষিজাত শস্য চাষাবাদ করা যায়। মসজিদের যাবতীয় ভূমিসম্পদ, জলমহাল ও অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদকে নিবিড় ও মিশ্র কৃষি চাষের আওতায় আনতে হবে। এর ফলে কৃষি উন্নয়নের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। দেশ স্বনির্ভর হবে।
বৃক্ষ আমাদের সবুজ বন্ধু। বৃক্ষের শত্রু মানুষের শত্রু, সমাজের শত্রু, দেশের শত্রু। মানুষের জন্য বৃক্ষরাজি স্রষ্টার এক অপূর্ব দান। তিনি মানুষের কল্যাণের জন্য বৃক্ষরাজি সৃষ্টি করেছেন। আমরা একটু চিন্তা করলেই বুঝতে পারব মানুষ না থাকলে বৃক্ষের কোন অসুবিধা হত না। কিন্তু বৃক্ষ না থাকলে এ দুনিয়াতে মানব সন্তানের অস্তিত্বই অচল হয়ে পড়তো। গাছ আছে ধরাধামে, জলে-স্থলে সর্বত্র। আমাদের মতই গাছের প্রাণ আছে, তবে এ বিষয়টি বৈজ্ঞানিকভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে বেশি দিন হয়নি। গাছের অনুভূতি আছে বলেই আলোর দিকে ধাবিত হয়। এমন সময় আসতে পারে যখন মানুষ গাছের কথা বুঝতে পারবে। গাছ শিশুর চেয়েও নিষ্পাপ। কারো ক্ষতি করে না বরং প্রাণীর পরিবেশের উপকার করে থাকে। গাছের নীরব কর্মকান্ড সর্বত্র সৃষ্ট প্রাণীর কল্যাণে নিবেদিত। গাছ সম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা একাধিকবার পবিত্র কোরআন শরিফে কথা বলেছেন। সূরা আর-রাহমানে গাছ সম্পর্কে বলা হয়েছে, তারকা ও বৃক্ষরাজি সেজদা করে থাকে। অন্যত্র সূরা ইয়াসীনে গাছের উপকারিতা সম্পর্কে উল্লেখ করেন, যিনি তোমাদের জন্য তাজা বৃক্ষ হতে অগ্নি উৎপাদন করে থাকেন, তৎপর তোমরা উহা হতে প্রজ্বলিত করে থাক।
এ রকমই এক ধারনা নিয়ে রাজশাহীতে মসজিদ প্রাঙ্গনে সবুজায়ন আর সুশোভিত করার কাজটি শুরু করেছেন একদল নামাজি মুসলিম। জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর সিটি হাট শাহী জামে মসজিদে সুপারি ও ফুলের চারা রোপন করা হয়েছে।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা মসজিদের অন্যান্য মুসল্লিদের নিয়ে বৃক্ষরোপণ করেন মসজিদের সভাপতি ও ১৭ নং ওয়ার্ডের যুব লীগের সেক্রেটারী মোহাম্মদ আলাল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা মো. হানিফ। তারা এভাবে রাজশাহী নগরীর সব মসজিদকে এই রকম কাজে উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহ দিতে কাজটি শুরু করেছেন।
এমএসএম / জামান
চুয়াডাঙ্গা জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ কামাল হোসেন এর দিনব্যাপী প্রশাসনিক কার্যক্রম
বাগেরহাট টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের নব-নির্মিত ৫ তলা ভবনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৮ বছর
কুমিল্লা-৯ আসনে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
কুমিল্লায় প্রায় দেড় কোটি টাকার অবৈধ ভারতীয় শাড়ি জব্দ
নিসচার ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জয়পুরহাটে র্যালি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিল
টুঙ্গিপাড়ায় শিক্ষকদের পদসোপান আন্দোলন: দুই বিদ্যালয়ে বার্ষিক ও নির্বাচনী পরীক্ষা স্থগিত
কুমিল্লায় খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় হাজী ইয়াছিনের উদ্যোগে ধারাবাহিক কুরআন খতম ও দোয়া
ক্ষমতায় না গিয়েও অনেকে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন : শফিকুর রহমান
আমরা হিন্দু-মুসলিম নয় আমরা বাঙ্গালী এটাই আমাদের পরিচয়ঃ মহিত তালুকদার
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় মুজিবনগরে দোয়া মাহফিল
ময়মনসিংহ রিয়াদ হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন, পিতার আহাজারি
ভূরুঙ্গামারীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
Link Copied