ঢাকা বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের স্মার্ট সিটি গড়ার স্বপ্ন ডা. শাহাদাতের


এসএম পিন্টু, চট্টগ্রাম ব্যুরো photo এসএম পিন্টু, চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশিত: ৫-১১-২০২৫ দুপুর ৩:০

দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে খ্যাত চট্টগ্রাম শহরের সকল সেবা খাতে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংযোজন করে চট্টগ্রামকে একটি পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও আধুনিক স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। যা বিশ্বমানের একটি স্মার্ট সিটি হিসেবে স্বীকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তবে এই মেয়াদে সবকিছু সফলভাবে শেষ করা সম্ভব নয়, ফলে আগামী নির্বাচনেও মেয়র নির্বাচিত হলে বাস্তবায়ন সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি। মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম বর্ষপূর্তী উপলক্ষে দৈনিক সকালের সময়ের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেন তিনি। 
মেয়র বলেন, ৪৫০ কোটি টাকা দেনা কাঁধে নিয়ে দায়িত্ব নেয়ার একবছরে ৭১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। চলতি বছরে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৯টি খাল থেকে ৪১ লাখ ঘনফুট মাটি ও আবর্জনা অপসারণ করা হয়েছে। ফলে জলাবদ্ধতার ভোগন্তি অনেকাংশে কমেছে। চট্টগ্রাম ওয়াসা ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাথে সমন্বয় করে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, যাতে করে মেরামতের পরে আবার খোড়াখুড়ি না হয় এবং রাস্তার স্থায়ীত্ব বজায় থাকে। ৬১৭ জন অস্থায়ী কর্মীকে স্থায়ী করা হয়েছে, বিভিন্ন পদে ১২৩ জনকে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, ওয়ার্ড পর্যায়ে ৮টি মাঠ সংস্কার করা হয়েছে। বিগত মেয়রের আমলে নানা অনিয়মের বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। রাজস্বখাতের কিছু অনিয়ম ধরা পড়েছে, আরো খতিয়ে দেখে রাজস্ব বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এছাড়া ২০১৫ সালে সিটি করপোরেশনের প্রতিষ্ঠিত প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় কুক্ষিগত করে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও তার পরিবার। চসিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় মেয়রকে চেয়ারম্যান করে বোর্ড অব ট্রাস্টি পুনর্গঠন  করে কর্তৃত্ব ফিরিয়ে দেয় সিটি করপোরেশনকে। বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস উৎপাদনে ও মনোরেল বাস্তবায়নেও চুক্তি হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেলে ক্লিন, গ্রিন, হেলদি ও সেফ সিটি বাস্তবায়ন সম্ভব।’ সর্বশেষ সিটি গভর্ন্যান্সের মূল্যায়নে দেশের ১১টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে প্রথম হয়েছে চসিক।
মেয়র বলেন, গণমানুষের কষ্ট আমি কাছ থেকে দেখেছি। বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অভাবে সাধারণ মানুষ কতটা সমস্যায় থাকে, তা আমাকে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছিল। তখনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমাকে মানুষের জন্য কিছু করতে হবে। সেই ইচ্ছা থেকে মেয়রের দায়িত্ব নিয়ে প্রথম দিন থেকেই নগরীর পরিচ্ছন্নতা ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা আনার কাজকে অগ্রাধিকার দিয়েছি। কারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কষ্ট কমানোই ছিল আমার প্রথম লক্ষ্য। তাই নাগরিক সেবায় ডিজিটালাইজেশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, এবং জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান কাজগুলো আরো বেগবান করি। এরজন্য নাগরিকরা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তাদের প্রতিক্রিয়াই আমাদের আরও বড় কাজে উৎসাহিত করে।
 মেয়র বলেন, ট্রাফিক ও যানজট সমস্যার সমাধানে  নতুন পার্কিং নীতিমালা, হকারদের জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ, এবং স্মার্ট সিগন্যাল সিস্টেম চালু করছি। এছাড়া নগরের প্রধান সড়কগুলো দখলমুক্ত করার উদ্যোগও চলমান আছে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে জনসচেতনতা তৈরি ও আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সবাইকে সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ রক্ষায় নতুন কী পরিকল্পনা হিসেবে প্রতিটি ওয়ার্ডে আধুনিক বর্জ্য সংগ্রহ ব্যবস্থা চালু করছি। পাশাপাশি ‘রিসাইক্লিং প্রজেক্ট’র মাধ্যমে ওয়েস্ট-টু-এনার্জি প্ল্যান্ট চালুর প্রস্তুতি চলছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদন, জ্বালানি উৎপাদিত কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন হ্রাস এবং আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি। নাগরিক সেবার সুবিধার্থে প্রতিটি ওয়ার্ডে ‘মেয়র হেল্প ডেস্ক’ ও ‘চসিক অ্যাপ’ চালু করার পরিকল্পনা আছে। যেখানে নাগরিকরা সরাসরি অভিযোগ বা প্রস্তাব দিতে পারবেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিনোদনের ক্ষেত্রে নগরবাসীকে আধুনিক চিকিৎসা সেবার আওতায় আনার জন্য চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। জনবল বৃদ্ধি, স্থাপনা সংস্কার, নতুন যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে এই বিভাগকে আরো গতিশীল করার জন্য কাজ শুরু করছি। আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা চালুর পাশাপাশি নতুন কমিউনিটি ক্লিনিক, আধুনিক পার্ক ও খেলার মাঠ তৈরি হচ্ছে। দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কল্যাণে বিনামূল্যে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা, খাবার ব্যাংক এবং স্বল্পমূল্যের আবাসন প্রকল্প চালু করার চিন্তা করছে চসিক।
নগরবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আমাদের সবার শহর। আমরা সবাই একসাথে কাজ করলে চট্টগ্রাম হবে সবার জন্য বাসযোগ্য একটি নগরী। “চট্টগ্রাম হবে পরিচ্ছন্ন, প্রযুক্তিনির্ভর ও বিশ্বমানের একটি স্মার্ট সিটি।” লক্ষ্য অর্জনে নিয়ম মেনে চলা, পরিবেশ সচেতনতা বৃদ্ধি, এবং সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে অংশগ্রহণমূলক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন নাগরিকদের কাছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছিলেন ডা. শাহাদাত হোসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই মামলার রায়ে ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ৩ নভেম্বর মেয়র হিসেবে শপথ নেন তিনি। দুইদিন পর ৫ নভেম্বর মেয়র হিসেবে সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব নেন তিনি।

Aminur / Aminur

বারহাট্টায় বিএনপি'র মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুল হকের শোভাযাত্রা ও সমাবেশ

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে আ.লীগ নেত্রীর দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ভূরুঙ্গামারীতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গণশুনানী অনুষ্ঠিত

মাগুরা-২ আসনে ধানের শীষের কান্ডারী এ্যাডঃ নিতাই রায় চৌধুরী

পাঁচবিবিতে নবাগত ইউএনও সেলিম আহমেদের যোগদান

দীর্ঘদিন অবহেলার পর রায়গঞ্জে ধর্ষণকাণ্ডের আসামি গ্রেপ্তার

রাণীশংকৈলে কৃষকদের মাঝে সরকারি প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ

কুমিল্লা-৯ আসনে বিএনপি প্রার্থী আবুল কালামের নির্বাচনি গণসংযোগ শুরু

জুলাই বিপ্লবের মুখ্য বিষয় ছিল বৈষম্যের বিরোধ, পূর্বধলায় গণসমাবেশে মামুনুল হক

বেড়া'য় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অর্থদণ্ড।

রায়পুর ভূমি অফিসগুলোতে ঘুষ ছাড়া সেবা মিলছেনা সেবা

৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা

চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের স্মার্ট সিটি গড়ার স্বপ্ন ডা. শাহাদাতের