গাইবান্ধা-০৫ (সাঘাটা–ফুলছড়ি) আসন
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতি
ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনকবলিত দুই উপজেলা—সাঘাটা ও ফুলছড়ি নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-০৫ আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক অঙ্গন বেশ সরগরম। ২৪ শে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর নির্বাচনী মাঠে নেই আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) তবে মাঠে সক্রিয় জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি এ আসনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্ভাবনা জোরদার হয়েছে। তফসিল ঘোষণার আগেই দুই দলের নেতাকর্মীরা দফায় দফায় মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
বিএনপির ভেতরে অস্থিরতা, মনোনয়ন নিয়ে দ্বন্দ্ব
এ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যেই দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ফারুক আলম সরকার। ২০১৮ সালে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করা এই পরিচিত মুখের প্রতি আবারও আস্থা রেখেছে দলের হাই কমান্ড।
তবে কেন্দ্রের সবুজ সংকেত পেলেও মাঠ পর্যায়ে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বহিষ্কৃত জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাহিদুজ্জামান নিশাদের সমর্থকদের একাংশ ফারুক আলম সরকারের মনোনয়নের বিরোধিতা করছেন।
তৃণমূল বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা সকালের সময় কে বলেন, “২০১৮ সালের নির্বাচনের পর বিএনপির দুঃসময়ে বর্তমান নমিনি ফারুক আলম সরকারকে আমরা কাছে পাইনি। তৃণমূলের কথা বিবেচনায় রেখে দলের উচিত এমন কাউকে মনোনয়ন দেওয়া—যিনি আমাদের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলেন।”
এই অভ্যন্তরীণ মতবিরোধের কারণে বিএনপির নির্বাচনী প্রস্তুতিতে কিছুটা ধীরগতি দেখা যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিমত।
জামায়াতের ‘ফুরফুরে’ মাঠ, ভোটারদের দোরগোড়ায় ওয়ারেছ আলী বিএনপি যখন ঘরোয়া দ্বন্দ্বে ব্যস্ত, তখন এ আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেচ আলী বেশ সক্রিয়। শহর–গ্রাম–চরাঞ্চল—সর্বত্রই তিনি ভোটারদের সাথে যোগাযোগ বাড়িয়ে চলেছেন। স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, বিএনপির অস্থিরতার সুযোগে তাঁর জনপ্রিয়তা দৃশ্যমানভাবে বাড়ছে।
ফুলছড়ির তুলনায় সাঘাটা উপজেলায় ভোটার সংখ্যা বেশি—আর দুই প্রার্থীর বাড়িই সাঘাটায়। বিএনপির ফারুক আলম সরকারের মতো জামায়াতের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়ারেচ আলীরও শক্ত অবস্থান এই এলাকায়। ফলে ভোটের সমীকরণ আরও জটিল হয়ে উঠতে পারে।
আগামী নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে পারে ‘স্থানীয় পরিচয়’
স্থানীয় ভোটাররা বলছেন, এ আসনে প্রার্থীর রাজনৈতিক পরিচয়ের পাশাপাশি স্থানীয়তা ও ব্যক্তিগত সম্পৃক্ততা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের ভোটারদের মধ্যে ‘কঠিন সময়ে পাশে থাকা নেতার প্রতি’ আস্থা বেশি।
একজন প্রবীণ ভোটার আব্দুর রহমান বললেন,
“নদীভাঙা মানুষের সমস্যা বোঝে—এমন নেতা চাই। দল যাই হোক, যিনি এলাকার জন্য কাজ করেন, এবার ভোট যাবে তার দিকেই।”
বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশন ফুলছড়ি উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া আকাশ বলেন,স্থানীয় অনেকে ভোটাররাই মনে করছেন,বিএনপির অভ্যন্তরীণ সমন্বয়হীনতা দূর না হলে জামায়াতের মাঠ–পর্যায়ের কার্যক্রম জোরদার থাকলে গাইবান্ধা-০৫ আসনটি এবারের নির্বাচনে চমক দেখাতে পারে।
তফসিল ঘোষণার আগেই জমে উঠেছে ভোটের বাতাস। এখন দেখার বিষয়—বিএনপি ঘরের আগুন নেভাতে পারে কি না, আর জামায়াত কতটা মাঠ দখলে রাখতে পারে।
এমএসএম / এমএসএম
রাণীশংকৈলে ডাব পাড়তে গিয়ে গাছকাটা শ্রমিকের মৃত্যু
সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হলো শেরপুর পৌর এলাকা
পাঁচবিবিতে আদিবাসী শিশুদের মাঝে বড়দিনর উপহার
রাজশাহী বাগমারায় বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থীর মনোনয়ন ফর্ম উত্তোলন
রাজশাহী-১ আসনে বিএনপির মনোনয়ন ফরম তুললেন শরীফ উদ্দিন
রাণীনগরে প্রায় ৮০ লক্ষ্য টাকা ব্যয়ে নির্মান হলো বৌদ্ধভূমিতে স্মৃতিসৌধ
নাজিরপুরে নামওয়াস্তে কাজ করে ৪০ লক্ষ টাকার শিংহভাগ আত্মসাতের অভিযোগ
মধুখালীতে বিকল্প আয়ের উৎস হিসেবে জেলেদের বকনা বাছুর প্রদান
চট্টগ্রামে গিয়াস কাদের ও হুম্মাম কাদেরের মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ
মুকসুদপুর পৌর আওয়ামী লীগের দুই নেতার দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ
এবারের নির্বাচন হবে দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন- মনিরুল হক চৌধুরী
শৃংখলার সাথে প্রত্যেক ভোটারের বাড়ি গিয়ে ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা করুন : মাহমুদ হাসান খান বাবু