ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত ডাক্তারের ভূয়া চিকিৎসায় এতিম শিশু পঙ্গু


বাউফল প্রতিনিধি  photo বাউফল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৩০-১০-২০২১ দুপুর ৪:৩৫

নাম আবুল হোসেন ডাক্তার। এলাকায় যার পরিচিতি আবু ডাক্তার নামে। পিতার নাম মৃত মো. ফকরুল ইসলাম ওরফে ফকু। তিনি এলাকায় ফকু ডাক্তার হিসাবে পরিচিত ছিলেন। চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়াশুনা বা কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা ছাড়াই তিনি ছিলেন ডাক্তার। একইভাবে তার উত্তরাধিকারী ছেলে ও নাতিও ওয়ারিশসূত্রে ডাক্তার। এলাকায় ওই বাড়ির নাম ডাক্তার বাড়ি নামে পরিচিত। ফকু ডাক্তারের ছেলে মো. আবুল হোসেনও ডাক্তার। সকল ধরেন চিকিৎসা করেন তিনি। এখানেই শেষ নয়। আবুল হোসেনের ছেলে মো. আনিচুর রহমানও ডাক্তার। এদের কারোই নেই এম.বি.বি.এস ডিগ্রী। বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশনভুক্ত তো দুরের কথা। তারা সবাই  বংশানুক্রমে ওয়ারিশসূত্রে প্রাপ্ত ডাক্তার। এমন এক ভূয়া ডাক্তার পরিবারের খোঁজ মিলেছে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের উত্তর মমিনপুর গ্রামে। উত্তর মমিনপুরের কালা মিয়ার বাজারে তাদের চেম্বার ও ফার্মেসি রয়েছে। 
খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  আবুল হোসেন ওরফে আবু ডাক্তার তার বাবা ফকু ডাক্তার কাছ থেকে ডাক্তারি শিখেছেন। তবে চিকিৎসা দেওয়ার মত কোন সনদ বা অনুমোদন নেই তার। তবুও গ্রামের অসহায় সাধারন মানুষদের সাথে করছেন প্রতারণা। প্রয়োগ করছেন এন্টিবায়োটিক ওষুধ। 
আবু ডাক্তারের ছেলে আনিচুর রহমানেরও ডাক্তার বনে গেছেন। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউড অফ হেল্থ এন্ড টেকনোলজি, বরিশাল শাখা থেকে প্যরামেডিকাল টেকনোলজির উপর ৬ মাস মেয়াদি কোর্স করেছেন। এ কোর্স করে চিকিৎসা দেওয়ার কোন বৈধতা আছে কিনা প্রশ্ন এলাকাবাসীর। কিন্তু আনিচুর রহমান নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে সাধারন গরীব মানুষদের সাথে করছেন প্রতারণা। দিচ্ছেন ভূয়া চিকিৎসা।  
স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আবুল হোসেন ওরফে আবু এবং তার ছেলে আনিচুর রহমান সকল রোগের চিকিৎসা করছেন। জ্বর থেকে শুরু করে হাড় ভাঙার চিকিৎসাও করেন তারা। যেখানে জীবন-মরণের প্রশ্ন! সেখানে মানুষদের জিম্মি কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।  
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, এ বাপ-ছেলের ভূয়া চিকিৎসায় পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে সিফাত নামের ১১ বছরের এক এতিম শিশুকে। মা হারা ওই শিশু এখন মানবতার জীবন-যাপন করছেন। 
ওই শিশুর বাবা মো. রাসেল ফকির জানান, তার ছেলে নারিকেল গাছের ৩/৪ফুট উচ্চতা থেকে পড়ে হাতে ফাটল ধরে। আবু ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তারা কোন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই হাতে অস্বাভাবিকভাবে ব্যান্ডেস করে দেয়। পরে তার ছেলের হাত ফুলে উঠে এবং রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে বরিশাল শেরেই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসা করেও হাত রক্ষা করা হয়নি। পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয় তার ছেলের। 
ডাক্তার নামধারী আবুল হোসেনের কাছে ভুল চিকিৎসার শিকার শিশু সিফাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সিফাতের হাত বেধে দিয়েছি মাত্র। তবে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারদের নিয়ে বসে তার ক্ষতি পূরণ দিয়ে দেওয়া হবে। 
এবিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মর্কতা প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, এভাবে চিকিৎসা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল আমিন বলেন, খোঁজ নিয়ে 

এমএসএম / এমএসএম

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত