ঢাকা সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫

রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন

অপারেশনের ৮ মাস পর পেট থেকে বের করা হলো গজ


শামীম হোসেন, পাংশা photo শামীম হোসেন, পাংশা
প্রকাশিত: ৯-৬-২০২১ দুপুর ১১:৪০

রাজবাড়ীর পাংশার মডার্ন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে সিজার হওয়া তাসলিমা (৩৪) নামে এক নারীর পেট থেকে ৮ মাস ৮ দিন পর গজ ব্যান্ডেজ বের করা হয়েছে। দীর্ঘ ৮ মাস ধরে গজটি পেটে থাকায় পচন ধরার কারণে তার শরীরে আর কোনো অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করবে না এবং জীবন সঙ্কটাপন্ন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।

ওই নারীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ জুলাই উপজেলার মডার্ন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তাসলিমার সিজার অপারেশন করা হয়। তার সিজার অপারেশন করেন ক্লিনিকের খণ্ডকালীন চিকিৎসক এবং পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শর্মী আহমেদ। 

তাসলিমার স্বামী মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, ২০২০ সালের ৪ জুলাই দুপুরে তাসলিমাকে মডার্ন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আমার স্ত্রীকে ভর্তি করি। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দেখে জরুরি সিজার করতে পরামর্শ দেন। ডাক্তারের কথা শুনে আমরা সিজারে রাজি হলে ৪ জুলাই ডা. শর্মী আহমেদ ও তার সহযোগী ডা. বিনা আক্তার অন্যান্য নার্স এবং ওটি বয় মিলে আমার স্ত্রীকে সিজার করেন। জন্ম নেয় ছেলেসন্তান।

তিনি আরো বলেন, সিজারের দুদিন পর থেকে তাসলিমার পেটেব্যথা হতে থাকে। ক্লিনিক থেকে এ সময় কিছু ওষুধ দেয়া হয়। ৯ জুলাই তাকে ক্লিনিক থেকে রিলিজ দেয়। বাড়ি ফেরার পর অস্ত্রোপচারের ক্ষত থেকে পুঁজ বের হতে থাকে। পরে ব্যথা আরো বেড়ে রায়। তাকে কুষ্টিয়া ‍এবং ফরিদপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রচুর ওষুধ খেতে দেন। একপর্যায়ে তার জীবন সঙ্কাটাপন্ন দেখে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বলেন, পেটের মধ্যে গজ ব্যান্ডেজ রয়েছে। চলতি বছরের ১ মার্চ অপারেশন করে তাসলিমার পেট থেকে গজ ব্যান্ডেজ বের করা হয়। ৩০ মার্চ পাংশা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। আমি একজন সামান্য এনজিওকর্মী। অপারেশনের পর থেকে আমার স্ত্রীর চিকিৎসা বাবদ প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কষ্টের মধ্যে দিন কাটছে আমার। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমাকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষতিপূরণ পাইনি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

সিজার অপারেশনকারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. শর্মী আহমেদের বলেন, মানুষমাত্রই ভুল হয়। আমারও ভুল হয়েছে। আমি ভুল স্বীকার করেছি এবং রোগীর পরিবারকে কিছু ক্ষতিপূরণ দিতে চেয়েছি। 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানাত আল মতিন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং দুপক্ষকে ডেকে একটি মীমাংসা করা হয়েছিল। মডার্ন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক রাজ্জাক দেবেন এক লক্ষ টাকা এবং ডা. শর্মী আহমেদ এক লক্ষ টাকা। কিন্তু ক্লিনিক মালিকপক্ষ টাকা না দিয়ে ক্লিনিকটি বিক্রি করে দেয়। ক্লিনিক মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি।

 

জেলার সিভিল সার্জন ডা. ইব্রাহিম টিটন বলেন, বিষয়টি আমি অবগত আছি। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও যে ক্লিনিকে এমন ভুলের ঘটনা ঘটেছে তা উল্লেখ করে স্বজনরা লিখিত অভিযোগ করলে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মাদ শাহাদাত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি, বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

এমএসএম / জামান

বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরায় দুর্নীতি ও অনিয়র অভিযোগে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালীতে দক্ষিণ বাংলা সমাজকল্যাণ সংস্থার চারা বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত,

বিলাসপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে জাল দলিল ও প্রতারণার অভিযোগে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১২২৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত

মানিকগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে লুটের ঘটনায় মূলহোতা দোকানের মালিকসহ গ্রেফতার ৩

জীবননগর হাসপাতালে শয্যা ও চিকিৎসক সংকট, ভোগান্তিতে সাধারণ রোগী

গোপালগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ছয় ইউনিট

পঞ্চগড়ে ইন্টার্নশিপ বিদ্যালয়ে সহকারি দুই শিক্ষক অনুপস্থিত, একজন হাজতে, ব্যবস্থা নেয়নি কেউ

কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

টেকনাফের বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান

লাকসামে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ কাউন্সিল’২৫ অনুষ্ঠিত