কয়রায় শেখ রাজিয়া নাসেরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ভাই শহীদ শেখ আবু নাসেরের সহধর্মিণী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচি, বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন ও খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহউদ্দীন জুয়েল, যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও বিসিবির পরিচালক শেখ সোহেল উদ্দীন, নৌ পরিবহন মালিক সমিতির সহ-সভাপতি শেখ জালাল উদ্দীন রুবেল ও শেখ বেলাল উদ্দীন বাবুর রত্নগর্ভা মাতা এবং বাগেরহাট-২ আসনের  সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময়ের দাদি শেখ রাজিয়া নাসেরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর সার্বিক সহযোগিতায় কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠন।

শেখ রাজিয়া নাসেরের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে স্থানীয় সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবুর ব্যক্তিগত অর্থায়নে ও সহযোগিতায় উপজেলার সকল মসজিদ-মাদ্রাসায় কোরআনখানি, দোয়া মাহফিল, স্মরণসভা, মন্দিরে প্রার্থনা, এতিমখানা ও হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়, এতিম খানাসহ বিভিন্ন এলাকায় গণভোজের আয়োজন করা হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিএম মোহসীন রেজার সভাপতিত্বে মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বেলা ১১টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রত্নগর্ভা মাতা শেখ রাজিয়া নাসেরের জীবনী তুলে ধরে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ মো. আক্তারুজ্জামান বাবু বলেন, স্বাধীনতা ও দেশবিরোধী চক্র ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নাসেরকেও নৃশংসভাবে হত্যা করে। এরপর ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভাপতি নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর তার চাচি রাজিয়া নাসেরই তাকে মাতৃস্নেহে আগলে রাখেন। তিনি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর অভিভাবক। তিনি শেখ হাসিনা ও তার সন্তানদের বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিকনির্দেশনা বুঝিয়ে দিতেন এবং লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরণা জোগাতেন। মহীয়সী নারী শেখ রাজিয়া নাসের অত্যন্ত প্রগতিশীল, উদারতা ও সংস্কৃতিমনা ছিলেন। তার মৃত্যুতে শেখ হেলাল ও তার পরিবার-পরিজনরা যেমন মা হারিয়েছেন তেমনি আওয়ামী লীগ হারিয়েছে অভিভাবক।

অনুষ্ঠানে সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ইমদাদুল হক টিটু ও উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম টিংকুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি মাস্টার কফিল উদ্দিন, খগেন্দ্র নাথ মণ্ডল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি কয়রা সদর ইউনিয়নের নবাগত চেয়ারম্যান এসএম বাহারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মোশারফ হোসেন, ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, আব্দুস সামাদ গাজী, সরদার নূরুল ইসলাম কোম্পানী, জিয়াউর রহমান জুয়েল, শাহ নেওয়াজ শিকারী, ইউপি চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ, এস এম জিয়াদ আলী, মাস্টার খয়রুল আলম, গনেশ চন্দ্র মণ্ডল, মহিলা আ’লীগ সভাপতি নীলিমা চক্রবর্তী, যুব মহিলা লীগ সভাপতি সুমাইয়া ইয়াসমিন লতা, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা হোসেন মিলি, শ্রমিক লীগ সভাপতি আব্দুল হালিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রোকনুজ্জামান কাজল, আক্তারুল ইসলাম, জেড এম হুমায়ুন কবির নিউটনসহ উপজেলা বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

স্মরণ সভা শেষে দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ওলামা লীগ নেতা মাও. ওয়াজেদ আলী। অনুষ্ঠান শেষে তাবারক ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।