ঢাকা শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

বান্দরবানের লামা উপজেলায় নিরাপত্তা চৌকির জমি দখলের চেষ্টা


ইসমাইল হোসেন, লামা photo ইসমাইল হোসেন, লামা
প্রকাশিত: ১৯-১১-২০২১ দুপুর ৩:৩৩
বান্দরবানের লামা উপলজেলার দুর্গম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা চৌকির নির্ধারিত স্থান দখলের চেষ্টা করেছে  দুর্বৃত্তরা। লামার ফাসিয়াখালী ইউনিয়নের দুর্গম গয়ালমারা গ্রামে গত ১২ নভেম্বর এ ঘটনা ঘটে। দখলের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো টিম সেখানে উপস্থিত ছিলো না। ওই সময় স্থানীয়রা বিষয়টি লামার ত্রি-ডেবা বিজিবি ক্যাম্পে অবগত করলে বিজিবি সদস্যরা সেখানে দ্রুত উপস্থিত হলে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
 
গ্রামবাসী জানায়, লামায় পাহাড়ের গহীনে দুর্গম জনবিচ্ছিন্ন এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় গলায়মারা গ্রাম একটা সময় বিভিন্ন সন্ত্রাসীগ্রুপগুলোর আস্তানায় পরিণত হয়েছিলো। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর নিজস্ব কোন পাহারা চৌকি ছিলনা,ফলে নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে বেশি সময় অবস্থান করতে পারত না। পরিস্থিতি বিবেচনায় গ্রামের জননিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় মুহম্মদীয়া জামিয়া শরীফ মাদ্রাসা তাদের নিজস্ব ক্রয়কৃত জমিতে ২০১৫ সালে একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়। ওই ঘরে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা বছরের বিভিন্ন সময় ক্যাম্প স্থাপন করে। বছরে ২-৩ বার ১০-১২ দিন সেখানে অবস্থান করে গ্রামবাসীর নিরাপত্তার বিষয়টি দেখাশোনা করে। নিরাপত্তা বাহিনী নিজ উদ্যোগে ওই বাড়িতে ‘নিরাপত্তা বাহিনীর জন্য নির্ধারিত স্থান’ লিখিত একটি সাইনবোর্ডও লাগায়।
 
এছাড়া এর পাশেই রয়েছে সেনাবাহিনীর তৎকালীন জোন কমান্ডার সাঙ্গু দুর্বার মৈত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয় নামক একটি স্কুলপ্রতিষ্ঠা করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প ও স্কুল স্থাপনের পর ওই এলাকায় সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস পায় এবং এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা ফিরে আসে। সেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর অস্থায়ী চৌকি ও স্কুল নির্মাণের বিষয়টি স্থানীয় ও বহিরাগত সন্ত্রাসী অপরাধী চক্রগুলো ভালোভাবে মেনে নেয়নি। বহিরাগত দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন সময় ওই স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবস্থান ও আসা-যাওয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রমূলক চেষ্টা করেছে, যার অংশ হিসেবে গত শুক্রবারের ঘটনাটি ঘটে।
 
গয়ালমারা গ্রামে সরেজমিন গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান সংবাদকর্মীরা। গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা মুহম্মদ নুরুল আজিম ও মুহম্মদ রিদুওয়ান জানান, গত ১২ নভেম্বর সন্ধা নামার পর বহিরাগত সন্ত্রাসী ও ভূমি দস্যুদের নেতা জিন্নাত আলী কুতুবী ওরফে আলু গোলা ৪০-৫০ জন সশস্ত্র অপরিচিত লোক নিয়ে গ্রামের প্রবেশ করে।সন্ত্রাসীরা নিরাপত্তা বাহিনীর নির্ধারিত চৌকি ওই ঘরটি দখল করে নেয়।
 
দীর্ঘদিন ধরে কুতুবদিয়ার এই সন্ত্রাসী চক্রটি প্রতারক, ভূমিদস্যু, মিথ্যা আইনজীবী, ডাক্তার, রাজনৈতিক নেতা ইত্যাদি পরিচয়দানকারী জিন্নাত আলীর অত্যাচার থেকে রেহাই প্রার্থনা করছেন দুর্গম অঞ্চলের বাসিন্দারা। বিষয়টির প্রতি লামা উপজেলা ও বান্দরবান জেলা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর দেয়া উচিত বলে জানান স্থানীয়রা।

এমএসএম / জামান

হাইস্পিড গ্রুপ অফ কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধান

বোদায় মহিলা মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল বিতরণ

হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্থায়ী সদস্য কবর জেয়ারত ও পরিচালক'র সাথে সৌজন্য সাক্ষাত

ভবদাহ অঞ্চলে পানিবন্দি শত শত পরিবার

বারহাট্টার প্রকৃতিতে ফুটন্ত শাপলা যেন হাতছানি দিয়ে ডাকছে

কুড়িগ্রামে দূর্গম চরাঞ্চলের দরিদ্র মহিলাদের মাঝে সেলাই/হস্তশিল্প বিষয়ক প্রশিক্ষনের উদ্বোধন

মানিকগঞ্জে সাবেক মন্ত্রী মুন্নুর মৃত্যুবার্ষিকীতে চিকিৎসা সেবা ও শ্রদ্ধাঞ্জলি

বিয়ে হয়নি তবুও নিচ্ছেন মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা

মির্জাগঞ্জে চাঁদাবাজির মামলায় রাসেল মৃধা গ্রেপ্তার

কর্ণফুলী পেপার মিলসের তামার তার পাচারের সময় ১ জন গ্রেফতার

‎নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগ নেতা বিস্ফোরক মামলার আসামি ভারতে পালানোর সময় গ্রেপ্তার

তানোরে বিএনপির স্থবিরতা কাটাতে মিজানের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি তৃণমূল নেতাকর্মীদের!

মেহেরপুর জেলা বিএনপি'র উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত