কয়রায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে চলছে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম, নেই সীমানা প্রাচীর
বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণে খুলনার কয়রা উপজেলার পোস্ট অফিসের সকল কার্যক্রম চলছে বহু বছরের পুরনো জীর্ণশীর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে। সেবা নিতে আসা মানুষ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গায়ে খসে পড়ছে পলেস্তারা। নেই কোনো সীমানা প্রাচীর। একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভবন মেরামত ও সংস্কারের আবেদন করেও কোনো সাড়া মেলেনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা পোস্ট মাস্টার মাহবুবুল আলম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়রা উপজেলার পোস্ট অফিসের ভবন ১৯৮৫ সালে নির্মাণ করা হলেও বর্তমানে ভবনটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি হলে ভবনের ছাদ দিয়ে পানি ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এমনকি ভঙ্গুর আসবাবপত্র এবং আসবাবপত্রের অভাবে কক্ষের ভেতরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ কঠিন হয়ে পড়েছে। এসব নথি ইঁদুর ও তেলাপোকায় খাচ্ছে।
এদিকে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের আওতাধীন উপজেলার ইউনিয়ন গ্রামীণ ১৭টি পোস্ট অফিসের দায়িত্বে থাকা ৫৫ জন ব্রাঞ্চ পোস্ট মাস্টার দেখভাল করছেন। ডাক বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের সম্মানি ভাতা দেয়া হলেও গ্রামীণ পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টাদের কার্যক্রম পরিচালনায় এসব অফিসেও আধুনিকতার ছোঁয়া লাগোনি।
আরিফুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি জানান, ঢাকায় একটি চিঠি পাঠাব। তাই উপজেলা পোস্ট অফিসে এসে দেখি ডাক বিভাগের কার্যক্রম অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ভবনের অবস্থাও ভঙ্গুর। সনাতন পদ্ধতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সেবা দিচ্ছেন। ডিজিটালের ছোঁয়া এখানে নেই বললে চলে। এতে অনেকেই হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পোস্ট মাস্টার বলেন, প্রতি সপ্তাহে সাধারণ ও রেজিস্ট্রি ৪০০ থেকে ৫০০ চিঠি রিসিভ বা বিতরণ করতে হয়। ডাক বিভাগের সকল কার্যক্রম বাসা কিংবা দোকান থেকেই পরিচালনা করতে হয়। যদি প্রত্যেকটি গ্রামীণ পোস্ট অফিসের জন্য একটি করে ভবন নির্মাণ হয় তাহলে বাংলাদেশ ডাক বিভাগের সকল সেবা সহজে মানুষের মাঝে পৌঁছে দেয়া যাবে।
উপজেলা পোস্ট অফিসের আরেক কর্মকর্তা জানান, উপজেলার ১৭টি গ্রামীণ পোস্ট অফিসসহ সকল কার্যক্রম উপজেলা পোস্ট অফিস থেকে পরিচালনা করা হয়। উপজেলা পোস্ট অফিসের মধ্যেমে প্রতিদিন সরকারের অনেক রাজস্ব আদায় হচ্ছে। ভবন ও আসবাবপত্রের অবস্থা খুবই নাজুক হয়ে গেছে।
কয়রা উপজেলা পোস্ট অফিসের পোস্ট মাস্টার মাহবুবুল আলম বলেন, কয়রা পোস্ট অফিসের কার্যক্রম ডিজিটাইজ না হওয়ায় অনেক সময় সেবা দেয়া যাচ্ছে না। যে ভবনে কার্যক্রম চলছে সেটিও ধসে ধসে পড়ছে। অনেক পুরাতন হওয়ায় ভবনের অনেকাংশশ ভেঙে গেছে। উপজেলা পোস্ট অফিসের নতুন ভবন ও সীমানা প্রাচীর অত্যন্ত জরুরি।
খুলনা (দক্ষিণাঞ্চল) অতিরিক্ত পোস্ট মাস্টার জেনারেল মো. আবু তালেব বলেন, উপজেলা পোস্ট অফিসের ভবনের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অতিদ্রুত ভবন ও সীমানা প্রাচীরের কাজ শুরু করা হবে। সরকার পোস্ট অফিসের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সে অনুযায়ী উপজেলা ও গ্রামীণ পোস্ট অফিসের কার্যক্রম ডিজিটাল ও আধুনিকায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন।
এমএসএম / জামান
শান্তিগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ৬০ কেজি গাঁজা ও পিকআপ উদ্ধার
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদ ফিরে পেয়ে শত শত নেতাকর্মীর সঙ্গে বরিশালে ইঞ্জিনিয়ার মাহফুজুল আলম মিঠু
তারাগঞ্জে এমপি পদপ্রার্থী এটিএম আজহারুল ইসলামের মতবিনিময় সভা
কারখানার জিএম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে বহিষ্কারের দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি
ভূরুঙ্গামারীতে নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসক অন্নপূর্ণা দেবনাথ এর সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
বালিয়াকান্দিতে আইন-শৃঙ্খলার সভা অনুষ্ঠিত
তানোরে ধানকাটা-আলু রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা
শালিখায় হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মুফতি মোস্তফা কামালের গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ
সরকারি রাস্তার জায়গা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে মুক্ত করে আবারো দূর্বৃত্তদের দখলে, নেপথ্যে যাদের ইশারা
হোসেনপুর উপজেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান ভূঁইয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত
জামায়াত থেকে বিএনপিতে যোগদান, দুই দলেরই নেতা হাফেজ বেলায়েত
টঙ্গী–কাশিমপুরে জাল খতিয়ান সিন্ডিকেটের কবলে ৪৮ পরিবার, সড়ক অবরোধ করে কাফনের কাপড়ে অবস্থান