পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে সাতক্ষীরায় ঘর জ্বালানো মামলার আসামি শহিদুল
সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার কাশ্বিশরপুর এলাকার ইউনুস গাজীর ছেলে শহিদুল (২৮) দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকাকালীন প্রতিবেশী হামিদ গাজীর ছেলে গৃহশিক্ষক আতিকুজ্জামান তুহিন শহিদুলের ছেলে-মেয়েকে পড়াতো। সেই সুবাদে প্রবাসী শহিদুলের স্ত্রী রিজিয়ার সাথে আতিকুজ্জামান তুহিনের অবৈধ সম্পর্ক থাকার অভিযোগ ওঠে। তারই জের ধরে শহিদুল প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্ত্রী রিজিয়াকে তালাক দেয় এবং পরবর্তীতে শহিদুল আপস-মীমাংসা করে আবারো রিজিয়াকে বিয়ে করে।
জানা গেছে, বিয়ের সময় শহিদুলের শর্ত থাকে- স্ত্রী রিজয়াকে দিয়ে অভিনব কায়দায় গৃহশিক্ষক আতিকুজ্জামান তুহিনের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করতে হবে। স্বামীর শর্ত রাখতে গিয়ে মিথ্যা সড়যন্ত্র করে তুহিনকে ফাঁসানো হয় মামলায়। এখানেই শেষ নয়, দিন দিন বাড়তে থাকে হামিদ গাজীকে ঘায়েল করতেই শহিদুলের নির্যাতন-নিপীড়ন। একপর্যায়ে শহিদুল পরিশোধ নিতে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এরই অংশ হিসেবে গত ৩১ মে গভীর রাতে হামিদ গাজীর রান্নাঘরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় লক্ষাধিক টাকার মালামাল। আগুন থেকে বাঁচানো যায়নি হাঁস-মুরগি। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় শহিদুলকে ১নং আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয় (মামলা নং ,জি.আর-১৮৮/২১)। এখনো পর্যন্ত আসামিরা পুলিশের ধোরাছোঁয়ার বাইরে।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেছি এবং আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
এদিকে, দ্রুত সব আসামিকে গ্রেফতার এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে নির্যাতিত পরিবারটি।
এমএসএম / জামান