ঢাকা মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

কষ্টে আছে ভোলার কুমাররা


ভোলা প্রতিনিধি photo ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৫-১১-২০২১ দুপুর ১১:৪৮

‘বাবা-দাদারা কুমারের কাজ করত, বংশক্রমে আমরাও এ কাজ করি। ২০-২৫ বছর কুমারের কাজ করি, তবে তেমন কোনো সাফল্য পাইনি। মাটি কিনতে হয়, খরচ বেশি, অনেক লোক খাটাতে হয় কিন্তু আমরা পারি না। আমাদের মাটি মিক্স করতে অনেক কষ্ট হয়। যদি মাটি মিক্স করার একটা মেশিন হতো অনেক উপকৃত হতাম।’ কথাগুলো বলেন ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড়মানিকা বাটামারা ৫নং ওয়ার্ডের ভারত পালের বাড়ির কুমার নয়ন পাল (৩২)।

তিনি আরো বলেন, দাদা পিজার দেড়শ বছরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে ধারাবাহিকভাবে এ কুমারের কাজ করে যাচ্ছেন। এখন কারেন্ট আছে যদি এনজিও বা সরকারি ভাবে কোন সহযোগিতা পেতাম তাহলে আমরা আরোও ভালো ভাবে এ কাজে লাভবান হতে পারতাম। ছেলে সন্তান নিয়ে একটু ভালো ভাবে থাকতে পারতাম। এ কাজ করেই আমরা খাই। এ উপরই আমাদের সংসার চলে। ছেলে মেয়েদের ভালো পোশাক পড়াতে পারি না। পূর্জা আসলে টাকার অভাবে সন্তানদের মন্দিরে নিতে পারি না। মেয়েদেরকে অর্থের অভাবে ভালো জায়গায় বিয়ে দিতে পারি না। অনেক কষ্টে আমাদের জীবন চলে। এ দিয়ে আমাদের জীবন কেটে যায়।

পূজা পাল (৫৫) বলেন,  আমার শ্বশুর কুমারের কাজ করে গেছেন। আমরাও ৪০ বছর এ কাজ করি। এখন লাড়কি কিনতে হয়, মাটি কিনতে হয়। সব কিছুর দাম বেশি। লোকের টাকা দিতে পারি না। যাহ আছে তা দিয়ে চলি। যদি মাটি মিক্স এর একটি মেশিন হইতো আরোও বেশি ঢালি বানাতে পারতাম। বেশি লাভ করতে পারতাম। আমাদের সংসার চালাতে অনেক কষ্ট হয়। কেউ আমাদেরকে একটু সহযোগিতা করে না। মনোহর পাল (৫০) বলেন, আমাদের এলাকাকে সবাই কুমার পাড়া হিসাবে চিনে। আমার দাদা  করেছে বাবা করেছে আমরাও কাজ করি। কোন পড়াশুনা করতে পারি নি। তাই এ কাজ করতে হয়। আগে হাড়ি, দধির ঢালী লাটি দিয়ে ঘুরিয়ে বানাতে অনেক কষ্ট হতো। এখনও বিদ্যু আসায় ১০/১২ বছর কষ্ট কম হচ্ছে। কিন্তু এখন মাটি মিক্স করতে অনেক কষ্ট হয়। আমাদের সন্তানরা ও  স্ত্রী এ কাজে সহযোগিতা করেন।

আমাদের এ বাড়ীর ৬টি পরিবার এ কুমারের কাজ করে চলেন। অনেক কষ্ট হয়। তবুও রাত দিন পরিশ্রম করে যাচ্ছি।শংকর পাল বলেন, আমাদের সন্তানদের মানুষ করতে পারি না। প্রতিদিনি ৩শত হতে চার শত টাকা ইনকাম করি। এ দিয়ে সংসার খরচ চলে না। সব কিছুর দাম বাড়লেও আমাদের এ মাটির জিনিস পাত্রের দাম বাড়েনি। আমাদের কদরও বাড়েনি। সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, পাল বাড়ীর উঠান, ঘরের সামনে, বাড়ীর দরজায় সবাই কেউ মাটি কাটতে, কেউবা মাটি মিক্স করতে কেউ মাটির দধির ঢালী সহ মাটির জিনিসপত্র বানাতে ব্যস্ত। কেউবা ওই বানানো পাত্রগুলো রোদ্রে শুকাতে ব্যস্ত কেউ আবার ওই শুকনো মাটির জিনিসপত্র পোড়ানোর কাজে ব্যস্ত। স্বামী, স্ত্রীদের সাথে তাদের সন্তানরাও পড়াশুনার ফাঁকে এ কাজে সহযোগিতা করতে দেখা গেছে। বংশক্রমে তারা প্রায় দের শত বছর ধরে এ কুমার কাজের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে। 

এমএসএম / জামান

কুতুবদিয়ায় পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যু প্রতিরোধে মতবিনিময় সভা

দুমকিতে রাস্তা দখলের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ

মুকসুদপুরে দূর্গাপূজা উপলক্ষে মুকসুদপুর থানার আয়োজনে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

ধামরাইয়ে পারিবারিক কলহের জেরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু

পটুয়াখালীতে সক্রিয় মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে উপকূলে বৃষ্টিপাত

কোনাবাড়িতে ডিভোর্সকৃত স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে সাবেক স্বামীর আত্মহত্যা

বিএনপি সরকার গঠন করলে জনগণের ভোগান্তি লাঘব হবে ও জনস্বার্থে সকল রাস্তার কাজ করা হবেঃ সিরাজুল ইসলাম সরদার

নেত্রকোনার মদনে চেয়ারম্যান-মেম্বারের ভুয়া ওয়ারিশান সনদে সম্পদ বঞ্চিত মা-মেয়ে

পাবিপ্রবিতে ‘প্রমীত ভাষা ব্যবহারের গুরুত্ব’ নিয়ে ভাষা বক্তৃতা অনুষ্ঠিত “সর্বত্র ভাষার অপপ্রয়োগ দূর করতে হবে”

ধামইরহাটে ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের স্কুলমূখী করতে ওয়ার্ল্ড ভিশনের উদ্যোগে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান

কালকিনিতে দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ করতে বিএনপির মতবিনিময়

চন্দনাইশে শান্তিবাহিনী ৬সদস্য সেনাবাহিনীর হাতে আটক

চিতলমারীতে সর্বজনীন উৎসব দুর্গাপূজা সফল করতে প্রস্তুতিমূলক সভা