ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫

ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পানিতে ভাসছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন


বাউফল প্রতিনিধি  photo বাউফল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৮-১২-২০২১ দুপুর ৪:৩১

পটুয়াখালীর বাউফলে ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে পানিতে ভাসছে কৃষকের সোনালী স্বপ্ন। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে হাজার হাজার একর পাকা ধানসহ শীতকালীন ফসলের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে আমন ধানসহ বিভিন্ন ফসল। এতে কৃষকদের হাসি মুখে হতাশার ছাপ। বছরের খোরকি নষ্ট হয়ে যাওয়া অনেক কৃষকের পড়েছে মাথায় হাত। চলতি মৌসুমে অনুকুল আবহাওয়ায় আমন ধানের বাম্পার ফলনে এবং কাঙ্খিত বাজার মূল্য থাকায় কৃষকদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছিল। কয়েকদিন আগেও সোনার ফসল ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিল কৃষক।
উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, চলতি বছর বাউফলে ৩৪ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ১৭ হাজার ১১৩ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১৭ হাজার ৫৪৩ হেক্টর এবং হাইব্রীড জাতের ১৪ হেক্টর জমি রয়েছে। এছাড়া ৪ হাজার হেক্টর জমিতে খেসারী ডাল চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধান এবং ডালের ফলন ছিল  ভাল। ইতিমধ্যেই মোট আবাদের ৫-৬ ভাগ অগ্রিম জাতের ধান কাটা হয়েছে। বাজারে ধানের মূল্যও ছিল উর্ধমূখী। সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন পর কৃষকরা ধানের বাম্পার ফলন এবং বাজার মূল্য ভাল থাকার বাসনা নিয়ে প্রহর গুণছিল। দক্ষিণাঞ্চলে সাধারনত: পৌষ মাসেই আমন ধান কাটা হয়। কিন্তু অগ্রহায়ণ মাসের দ্বিতীয়ভাগে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে হওয়া অকাল বর্ষণে কৃষকের সব আসাই ভেঙ্গে গেল। 

সরেজমিন বাউফলের নাজিরপুর, চন্দ্রদ্বীপ, কালাইয়া, বাউফল এবং কেশবপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে প্রায় আধাপাকা ধানের গোছা ক্ষেতে লুটিয়ে পড়েছে। সদ্য অংকুরোদ্গম হওয়া খেসারী ডাল পানির নিচে ডুবে গেছে। 
বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা জানান, বৃষ্টির কারণে কিছু ধানে চিটা হবে এবং অনেক ক্ষেতের ধান কাটা যাবে না। পানির কারণে ধান পচেঁ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অপরদিকে খেসারী ডাল একেবারেই নষ্ট হয়ে গেছে। এছাড়া আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধান এবং খেসারী ডাল ছাড়াও কৃষকরা অগ্রিম জাতের তরমুজ, মিষ্টি আলু এবং গম চাষ করেছিল। অকাল বর্ষণে এই ফসলগুলোও একবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এই অবস্থায় এই ফসল রক্ষায় কোন কিছুই করার নেই।  
কৃষক মো. ওলিউর জানান, আমাদের অঞ্চলে আমন মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের  কোন ব্যবস্থা থাকে না। তাই পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করার আগেই ফসল নষ্ট হয়ে যাবে। বিভিন্ন চরে অগ্রিম জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছিল। তরমুজের বীজ অংকুরোদ্গমের পর কেবল লতায় পরিণত হচ্ছিল। এসকল তরমুজ একেবারেই পচেঁ যাবে বলে সংশ্লিষ্ট কৃষকরা জানান। অকাল বর্ষণে কৃষকদের কয়েক কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি হয়ছে বলে কৃষকরা ধারণা করছেন। 
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান জানান, অকাল বর্ষণে শতকরা ৩০ ভাগের মতো খেসারী নষ্ট হতে পারে। আর কৃষকরা ধান কাটতেছেন তবে ধান, তরমুজ, গম এবং মিষ্টি আলুর কোন ক্ষতি হবে না। 

এমএসএম / এমএসএম

সাজিদা ট্রেডিংয়ের প্রোপাইটর মোঃ লিয়াকত হোসেন খোকনের বিরুদ্ধে মামলা

শান্তিগঞ্জে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

নাফনদীর মোহনায় ট্রলার ডুবি, ৭জেলে উদ্ধার

বালিয়াকান্দিতে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

বাউফলে চেয়ারম্যান পরিবহন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

আদমদীঘিতে সমন্বয় কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

জয়পুরহাটে পৌর হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির কার্যক্রম স্থগিতের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

দৌলতপুরে মুখ বাঁধা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

কমিউনিটি পুলিশিং সভা ও উদ্ধারকৃত মোবাইল-অর্থ হস্তান্তর: মেহেরপুর জেলা পুলিশের জনবান্ধব উদ্যোগ

ভূরুঙ্গামারীতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নবজাতক শিশুদের জন্ম নিবন্ধন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন

পাবনায় ট্রিপল মার্ডারের রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড

গলাচিপা সরকারি কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাথে জামায়াতের এমপি পদ প্রার্থীর মত বিনিময় সভা

ত্রিশালে মসজিদে চুরি করতে গিয়ে গণপিটুনিতে নিহত