স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি
স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি ১৯৭১ সালে পাক-হানাদারের হাতে দিন দুপুরে নির্মমভাবে নিহত হওয়া নিরানন্দ নাথের। পিতার মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পেতে বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে নিরানন্দ নাথের ২য় ছেলে দয়াল হরি নাথ। কিন্তু কোনো সুরাহা মিলছে না।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ও খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৩ মে (রবিবার) দুপুর ১২ টার দিকে প্রকাশ্য দিবালোকে পাক হানাদার বাহিনীর মেজর খুরশেদ নিজ হাতে গুলি করে হত্যা করেন নিরানন্দ নাথকে।
নিরানন্দ নাথ কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নাথ পাড়ার মৃত ষষ্ঠী চরণ মহাজনের পুত্র। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তার বয়স ছিল ৩৮ বছর। ২ ছেলে ৩ মেয়েকে নিয়ে ছিল তার সংসার। বড় ছেলে রনজিত কুমার নাথের বয়স ১২ বছর। মেজ ছেলে দয়াল হরি নাথের বয়স তখন সবে ১০ বছর। বাকি তিন মেয়ের মধ্যে ছোটটার বয়স ছিল মাত্র এক মাস।
মেজ ছেলে দয়াল হরি নাথ জানান, ১৯৭১ সালের মার্চ মাসের প্রথম দিকে আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম গেলে সেখানে পটিয়ার এক ভদ্রলোকের সাথে দেখা হয়। ওই ভদ্রলোকের সাথে তিনি ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে যোগ দেন। সেখান থেকে চলে যান কুষ্টিয়া জেলার বদ্যনাথতলার অমল কাননে। মুজিবনগর সরকার গঠন করার পর তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতে চলে যান। ১৯৭১ সালের ২১ মে স্ত্রী সন্তানকে একনজর দেখতে গোপনে বাড়িতে আসেন নিরানন্দ নাথ। কিন্তু তার বাড়িতে আসার খবর টি মুহূর্তেই পাকহানাদারের কাছে পৌঁছে দেয় স্থানীয় কিছু রাজাকার ।
খবর পেয়ে পাক হানাদার বাহিনীর মেজর খুরশেদ দলবল নিয়ে ছুটে আসে নিরানন্দ নাথের বাড়িতে। চারদিকে ঘেরাও করে তাকে ধরে নিয়ে যায় বাড়ির পশ্চিমে । সেখানে কাজীর পুকুরের পূর্ব পাশে কচুবনে নিরানন্দ নাথকে নিজ হাতে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মেজর খোরশেদ। তারপর তারা উল্লাস করতে করতে নিহতের লাশ নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা নিহতের লাশ নদী থেকে উদ্ধার করে কাজীর পুকুরের পশ্চিম পাশে সৎকার করেন।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কক্সবাজার আসলে ডেকে নেওয়া হয় শহীদ নিরানন্দ নাথের পরিবারকে। দেয়া হয় সাহায্যের একটি চেক।
১৯৯৬ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুতুবদিয়া থানা ইউনিটের তৎকালীন কমান্ডর মুসলিম খাঁন প্রত্যায়নপত্রে লিখেন নিরানন্দ নাথ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নিরানন্দ নাথ মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য ভারত চলে যান। প্রশিক্ষণ শেষে কুতুবদিয়া চলে আসেন। খবর পেয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাড়ি ঘেরাও করে তাঁকে ধরে নিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে।
একইভাবে নিরানন্দ নাথকে একজন মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে ২০০১ সালে প্রত্যয়ন দেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কক্সবাজার জেলা ইউনিটের তৎকালীন আহবায়ক মোঃ ইব্রাহিম খলিল।
তারপর কেটে গেছে অনেক বছর। নিরানন্দ নাথের পরিবারের খবর নেয়নি কেউই। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে কুতুবদিয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি বরাবরে একাধিক বার আবেদন করে দয়াল হরি। কিন্তু কোন সাড়া মেলেনি। স্বীকৃতি পাননি তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে। সংরক্ষণ করা হয়নি তার মৃত দেহ সৎকারের স্থানটিও।
এমএসএম / এমএসএম
৩২ ঘণ্টা পর গর্ত থেকে উদ্ধার হওয়া শিশু সাজিদ মারা গেছে
গভীর নলকূপের পাইপে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে জীবিত উদ্ধার
চেম্বার অফ কমার্সের প্রেসিডেন্ট বাচ্চুকে শুভেচ্ছা জানালেন জিয়া মঞ্চ সিরাজগঞ্জ সদর থানার নেতৃবৃন্দ
শেরপুরে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: জরিমানা আদায় ও ভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ
কোটালীপাড়ায় সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ, তদন্তে এসে তোপের মুখে শিক্ষা কর্মকর্তারা
দেশ নায়ক তারেক রহমানের ৩১ দফায় কৃষকের উন্নয়ন স্পষ্ট—হাজী ইয়াছিন
মধুখালীতে ভোটকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত
সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে, শালিখা'র বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ
বান্দরবানে অবৈধ কাঠ ডিপো ও চেরাই মিলে সেনাবাহিনীর অভিযানে কোটি টাকার অবৈধ কাঠ জব্দ.
বারহাট্টার সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি প্রার্থী ডাঃ আনোয়ারুল হকের মতবিনিময়
টাঙ্গাইলে হিউম্যান রাইটস্ রিভিউ সোসাইটির উদ্যোগে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালন
কুমিল্লা জেলার আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
কাপ্তাইয়ে বিজিবির অভিযানে ৮৭ লাখ টাকার অবৈধ ভারতীয় সিগারেট আটক
Link Copied