আক্কেলপুরে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য সচেতনতা ও সরকারি বিধিনিষেধ পালনে উদাসীনতা লক্ষ্যণীয় উপজেলার সর্বত্র। চিকিৎসক পরামর্শ দিলেও করোনা পরীক্ষা করতে অনীহা অধিকাংশের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত আক্কেলপুরে করোনা আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ১৯ জন। এরমধ্যে ১৮ জন নিজ বাসায় হোম আইসোলেশনে এবং একজন বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে দুজনের পিসিআর টেস্ট ও ১৭ জনের র্যাপিড অ্যান্টিজেন্ট টেস্টের মাধ্যমে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। এই ১৯ জনের মধ্যে আক্কেলপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৮ জন রয়েছেন। আক্রান্তদের লকডাউন নিশ্চিত করছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিনিয়ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে চলছে ব্যপক প্রচারণা। তারপরও রাস্তা ও বিভিন্ন স্থানে চলাচলকারীদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতায় উদাসীন এমন সংখ্যাই বেশি। সাধারণ বিভিন্ন পরিবহনের আধিকাংশই যেমন- বাস, ভ্যান, রিকসা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকসা ইত্যাদি স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। অনেকাংশ যানবাহনেই গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। সরকারি নিষেধ অমান্য করে বিভিন্ন দোকানপাট রাত ৮টার পর খোলা রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করার অজুহাত আছে সকলের কাছেই। তবে প্রশাসনের উপস্থিতিতে অভিযান চলাকালীন পর্যন্তই ওই এলাকায় থাকে সচেতনতা।
আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. রুহুল আমিন সরকার বলেন, হাসপাতালে জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে চিকিৎসা নিতে আসা সন্দেহভাজনদের করোনা পরীক্ষার পরামর্শ দিলে অধিকাংশই পরীক্ষা না করে চিকিৎসা না নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। তবে যদি পরীক্ষার মাধ্যমে আক্রান্তদের আলাদা করা যায় ও মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করা যায় তবে অন্যদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যায়।
উল্লেক্ষ্য, আক্কেলপুর উপজেলাধীন রুকিন্দীপুর ইউনিয়নের মাতাপুর গ্রামের ৭৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ৮ জুন বগুড়া সিএইচএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এমএসএম / জামান