ঢাকা বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫

চন্দনাইশে শীতের আগমনে কদর বাড়ছে ভাপা পিঠার


আমিনুল ইসলাম রুবেল, চন্দনাইশ  photo আমিনুল ইসলাম রুবেল, চন্দনাইশ
প্রকাশিত: ১৯-১২-২০২১ দুপুর ১২:১৩

চট্টগ্রাম চন্দনাইশে শীতের আগমনের সাথে সাথে সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার হিমেল বাতাসে কদর বেড়েছে ভাপা পিঠার। এই ভাপা পিঠার গরম আর সুগন্ধী ধোঁয়ায় মন আনচান করে ওঠে সবার। ইতোমধ্যে শীত আসার সাথে সাথে দক্ষিণ চট্টগ্রামে চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভাপা পিঠা বিক্রির ধুম পড়ে গেছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা যেমন- চন্দনাইশ পৌরসদর, গাছবাড়িয়া, খানহাট, দোহাজারী, রৌশনহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, শীত আসামাত্র এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সকাল-বিকেল, এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত এ ব্যবসায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এই পিঠার স্বাদে ক্রেতারা মুগ্ধ। শীতের সময় এখানকার নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ভাপা পিঠার ব্যবসা। একদিকে ভাপা পিঠার স্বাদ আর অন্যদিকে চুলার আগুন ও জলীয় বাষ্পের উত্তাপ যেন চাঙ্গা করে দেয় দেহমন। আবার অনেকেই পিঠার দোকানে চুলার পাশে বসেই গরম পিঠা খাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার পরিবারের জন্য পিঠা কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন।

সন্ধ্যার পর থেকে পিঠার দোকানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক, সরকারি অফিসার, দোকানের কর্মচারীসহ নানার পেশার মানুষ পিঠা খেতে খেতে আড্ডায় মেতে উঠেন। শুধু সরকারি চাকরিজীবী নয়, দিনমজুর,শ্রমজীবী, রিকশাচালক, ড্রাইভার, শ্রমিকসহ বড় বড় অভিজাত পরিবারের লোকজনের কাছে প্রিয় শীতের এই পিঠা। পিঠা তৈরির জন্য একটি মাটির চুলার খড়ি অথবা জ্বালানি গ্যাস দরকার হয়। যা দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পিঠা তৈরি ও বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

চন্দনাইশ পৌরসভাস্থ এক পিঠা বিক্রেতা জানান, তিনি দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে শীত এলে ভাপা পিঠার এ ব্যবসা চালু করেন। যদিও গরম কালে তিনি যখন যে কাজ পান তাই করে জীবিকা নির্বাহ করলেও শীতের মৌসুমে তিনি ভাপা পিঠা ও সিদ্ধ ডিম বিক্রি করে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিনযাপন করছেন। তার হাতের তৈরি পিঠা ক্রেতারাও বেশ পছন্দ ও আগ্রহ সহকারে কিনছেন। সন্ধ্যার পর থেকে বন্ধু-বান্ধবসহ নানান শ্রেণি-পেশার অনেকেই মিলেমিশে তার দোকানে ভিড় করছেন। তার হাতের তৈরি পিঠার অল্প সময়ে চারদিকে বেশ সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে।  প্রতি পিঠার মূল্য নিচ্ছেন ৫ টাকা করে, যা সকলের জন্য সুবিধাজনক মূল্য। তিনি প্রতিদিন প্রায় ৮০০-৯০০ টাকার পিঠা বিক্রি করেন।

অপরদিকে গাছবাড়িয়া খানহাটে এক পিঠা বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করে আমি প্রায় ৯০০-১০০০  টাকার মতো আয় করি, যা দিয়ে সংসারের ৫ জন সদস্য জীবিকা নির্বর করে। তবে শীতের মৌসুম শেষ হলে তিনি এ পেশার পরিবর্তন আনেন বলে জানান।

পিঠা বিক্রেতারা জানান, ভাপা পিঠা তৈরির উপকরণ হচ্ছে চালের গুঁড়া, নারকেল ও খেজুরের গুড়। গোল আকারের পাতিলে কাপড় পেঁচিয়ে ঢাকনা দিয়ে পাতিলের ফুটন্ত পানিতে ভাপ দিয়ে তৈরি হয় ভাপা পিঠা। অন্যদিকে চালের গুঁড়া পানিতে মিশিয়ে মাটির সাচে বিশেষ উপায়ে তৈরি করা হয় চিতই পিঠা। এই পিঠা বিক্রি চলবে শীত মৌসুম পর্যন্ত।

এমএসএম / প্রীতি

জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবসে কুষ্টিয়ায় বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

কুড়িগ্রামে নাগেশ্বরীতে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

রাজশাহীতে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত

ভূমিদস্যুদের কুনজরে জাকের হোসেনের সম্পত্তি

কুড়িগ্রামে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস অনুষ্ঠিত

রাণীনগরে সরকারি অনুদান পেলেন দিনমজুর কালাম

সীমানা জটিলতা নিরসন শেষে মধুখালীর মিটাইন বালুঘাট ইজারাদারের হাতে হস্তান্তর

লাকসামে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত

শাহরাস্তির টামটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফারুক দর্জিকে অপসারণ

বাঁশখালীর ক্যান্সার রোগী নজরুল ইসলামকে বাঁচাতে সাহায্যের আকুতি

নাচোলে নিজ অর্থায়নে ৭ কিলোমিটার রাস্তা মেরামত করে প্রশংসায় ভাসছেন সমাজসেবক আমিন কর্মকার

বড়াইগ্রামে আমন ধানের রোগবালাই দমন কার্যক্রমে বিপিএইচ স্কোয়াডের মাঠ অভিযান।

দুমকিতে জুলাই শহীদের মেয়েকে ধর্ষণ মামলায় ৩ আসামীর কারাদণ্ড