ঢাকা রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

যৌতুক দিতে না পারায় স্বামীর ঘরে ফেরা হলো না সুমির


মোকছেদুল ইসলাম, পাটগ্রাম photo মোকছেদুল ইসলাম, পাটগ্রাম
প্রকাশিত: ১৩-৬-২০২১ বিকাল ৬:১১
ভালোবেসে পালিয়ে বিয়ে করেছে তারা। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হওয়ায় ছেলের ধনাঢ্য পরিবার ভালোবেসে করা বিয়ে মেনে নেয়নি। তাই মেয়ের বাড়িতেই দীর্ঘ ৮ মাস ধরে সংসার। চলতি বছরের ২০ মে ছেলে একদিন নিজ বাড়িতে স্ত্রীকে নিয়ে ওঠে। পরে ছেলের যৌতুকলোভী পিতা ও পরিবারের কথায় পালিয়ে যায় ছেলে। মারপিট, নির্যাতন করে বের করে দেয়া হয় মেয়েকে। উপায়ন্তর না পেয়ে ছেলের বাড়ির বারান্দায় বৃষ্টিতে ভিজে একদিন পড়ে থাকে দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হাবিবা আক্তার সুমি। পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর সালিশ বৈঠকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে ছেলের পরিবার। মেয়ের সুখের কথা ভেবে দরিদ্র পিতা মাথা গোঁজার ঠাঁই বসতভিটার ৭ শতাংশ জমি বিক্রি করে ছেলের বাবার হাতে দুই লাখ টাকা তুলে দেন। এরপর পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনকে আনুষ্ঠানিক মেয়ে বিদায়ের দিন-তারিখ ঠিক করে দাওয়াত দেন। গত ১১ জুন শুক্রবার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। কিন্তু ছেলের বাবার দাবিকৃত অবশিষ্ট ৩ লাখ টাকা না পাওয়ায় কনেকে নিতে আসেনি বরপক্ষের কেউ। ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের পানবাড়ি গ্রামে।
 
জানা গেছে, কন্যাদায়গ্রস্ত দরিদ্র পিতা হাবিবুর রহমানের মেয়ে হাবিবা আক্তার সুমির (২০) সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে একই গ্রামের তোবারক হোসেন ওরফে নাড়িয়ার তৃতীয় ছেলে মহাসিন আলী (২৪)। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে পালিয়ে বিয়ে করে তারা। বিয়ের পর যৌতুকলোভী ছেলের পরিবার ৫ লাখ টাকার দাবিতে মেয়েকে মেনে নেয়ার প্রস্তাব দেয়। দরিদ্র কনের পরিবার এত টাকা দিতে সমর্থ না হওয়ায় কনেকে নিয়ে যায়নি বরপক্ষ। বর্তমানে দিশাহারা হয়ে বিভিন্নজনের নিকট ধরনা দিচ্ছেন হাবিবুর। গত শনিবার (১২ জুন) পাটগ্রাম থানায় একটি অভিযোগ দেন সুমির বাবা হাবিবুর রহমান। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘুরে আসে। সুমির গায়ে হলুদ, হাতে মেহেদির রং থাকলেও যৌতুকের কারণে স্বামীর বাড়িতে ওঠা হচ্ছে না তার। 
 
হাবিবা আক্তার সুমি বলেন, ছেলের পরিবার অনেক টাকা যৌতুক দাবি করে। সালিশি বৈঠকের গন্যমান্য ব্যক্তিগণ ২ লাখ টাকা দিতে বলেন। বাবা জমি বিক্রি করে টাকা দেন তাদের (বরপক্ষ)। তারা টাকা নিয়ে আমার বিয়ের জন্য কোনো শাড়ি, চুরি বা একটি নাকফুলও কেনেনি। পরে আরো ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমার বাবা দিতে না পারায় বর মহাসিন ও তার পরিবার আমাকে নিতে আসেনি। এ অবস্থায় আমার জীবন নিয়ে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। 
 
কুচলিবাড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, আমরা খুব চেষ্টা করেছি। কিন্তু তোবারক হোসেন খুব ত্যাড়া লোক। পরবর্তীতে যৌতুকের টাকার জন্য মেয়েটিকে ঘরে তোলেনি।  
 
বরের পিতা তোবারক হোসেন বলেন, মেয়েকে আনতে ৪ জনকে পাঠাইছিলাম। আমি আনতে যাব না। বাড়িতে উঠাব না। টাকা-পয়সার কোনো ঘটনা নাই।
 
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হাফিজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিল। বরপক্ষ কনেকে নিয়ে আসবে বলে আমাদের জানিয়েছে।

এমএসএম / জামান

বড়লেখায় জীবননাশ ও গুমের আশঙ্কায় আতংকিত ব্যবসায়ী

নাসা গ্রুপের কর্মরত শ্রমিকদের পাওনা বেতন প্রাপ্তির লক্ষ্যে যৌথ আলোচনা সভা

অ্যাকুয়াকালচার নীতির প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে বিভাগীয় কর্মশালা অনুষ্ঠিত

মোরেলগঞ্জে চার লাখ মানুষের সুপেয় খাবার পানির অভাব

রৌমারী উপজেল্ াস্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও ছের গাছের কি দোশ

দুর্গাপূজায় কোন ঝুকি নাই, নিরাপত্তা আমরা দিব, দুর্গাপূজা শুধু একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির সম্প্রীতি ও মহোৎসব

টেকনাফে যৌথ অভিযানে ১ লাখ ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

হাটহাজারী সাব রেজিস্টার অফিসে মূল দলিলের পাতা গায়েব করে ভুয়া পাতা সংযুক্ত

রাঙামাটিতে বিশ্ব পর্যটন দিবস উদযাপন

বিশ্ব পর্যটন দিবসে পরিচ্ছন্ন অষ্টগ্রাম গড়ার শপথ

কাশিয়ানীতে বাস ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত-৪, আহত-৩

কেশবপুরের সাংবাদিক কন্যা সোনালী মল্লিক পেলেন ইয়েস কার্ড'

আত্রাইয়ে রবীন্দ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৮ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন