ঢাকা বৃহষ্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫

চন্দনাইশে খেজুর গাছের বিলুপ্তিতে হারিয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস


আমিনুল ইসলাম রুবেল, চন্দনাইশ  photo আমিনুল ইসলাম রুবেল, চন্দনাইশ
প্রকাশিত: ২৬-১২-২০২১ দুপুর ১২:৬

দক্ষিণ চট্টগ্রামে চন্দনাইশ উপজেলার আবহমান গ্রামবাংলার শীতকালীন খুবই বৈচিত্র্য পূর্ণ উৎসবের প্রধান উপাদান হলো খেজুর রস। গ্রামীণ সাধারণ মানুষদের জীবন-জীবিকায় এটিকে মুল হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করত একসময়ে। স্বপ্ন ও প্রত্যাশায় অনেকখানি খেজুরগাছের সঙ্গে চাষীদের অঙ্গাঅঙ্গিভাবে বসবাস হয়ে উঠছিল।

হেমন্তের শেষেই শীতের ঠান্ডা পরশে গ্রামবাংলার চাষী খেজুরগাছের মিষ্টি রসে নিজেদেরকে ডুবিয়ে নেওয়ার সুন্দর মাধ্যম সৃষ্টি করত। যা বর্তমানে বিলুপ্তির পথে এই খেজুর গাছ। সেই কারণে শীতে আর মেলে না খেজুর রস। কয়েক বছর আগেও পাহাড়বেষ্টিত চন্দনাইশে সারি সারি খেজুর গাছের সমাহারে গ্রাম বাংলার অপূর্ব সৌন্দর্য দৃশ্যমান হতো।

আবহমান গ্রাম বাংলা চিরন্তন এরূপ আর এখন নেই বললেই চলে। অথচ একসময়ে শীতের আগমনের সাথে সাথেই গাছিরা রস সংগ্রহের জন্য খেজুর গাছ পরিস্কার করতে ব্যস্ত হয়ে পরতো। শুরু হতো গ্রামীন জনপথে,পড়ে যেত খেজুর রস আহরণের ধুম। গ্রামের মেঠো পথে সারি সারি খেজুর গাছে রস সংগ্রহের জন্য গাছিরা টাঙ্গিয়ে রাখতো মাটির তৈরী হাঁড়ি। খেজুর রসের মৌ-মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়তো চারিদিকে। কাকডাকা ভোরে মানুষ অপেক্ষা করত খেজুর রসের জন্য। আর এখন খেজুর রসের অভাবে পিঠাপুলি উৎসবও আর পালন হচ্ছে না।

একসময় গ্রামে কৃষক-কৃষাণীরা নবান্নো উৎসবে মেতে উঠত খেজুর রসের তৈরী নানা পিঠা নিয়ে। আজ আর সেইদিন নেই। কালের বিবর্তনে ক্রমে ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে খেজুর গাছ। অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও এক হাড়ি রস মেলে না এথানে। বিকেলে চোখে পড়ে না খেজুর গাছ কাটার দৃশ্য।

রৌশনহাট পাহাড়ী এলাকার এক সময়ের রস সংগ্রহকারী জানান, বিগত কয়েক বছর আগেও উপজেলা রৌশনহাট পাহাড়ী এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামে বিকেল হলে দেখা যেতো খেজুর গাছে হাড়ি পাতার দৃশ্য। সকাল হলে এলাকার গ্রামে, মহল্লায় গাছিদের দেখা যেত খেজুর গাছ থেকে রস ভর্তি হাড়ি নামাতে। শীতের সকালে গাছিরা খেজুর রসের হাড়ি নিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করত খেজুরের রস। যা বর্তমানে বিলুপ্তি হয়ে গেছে।

আগে শীতের সকালে রোদে বসে খেজুরের রস ও মুড়ি খাওয়া ছিল গ্রামের একটি রেওয়াজ ও ঐতিহ্য। কৃষকেরা ঘুম থেকে ওঠে খেজুরের রসের সাথে মুড়ি দিয়ে খেয়ে মাঠে যেত। এখন খেঁজুর রসের স্বাদ সবার ভাগ্যে জোটে না। গাছিরা তাদের শীতকালের এই পেশা ছেড়ে নেমে গেছে অন্য কাজে। বর্তমান কয়েক গ্রাম ঘুরেও একজন গাছি পাওয়া যায় না।

উপজেলার পাঠানদন্ডী গ্রামের গোপাল দাশ প্র: বগ্যা জানান, শীতের মৌসুম শুরুতেই আমাদের খেজুর রসের জন্য গাছ তৈরীর কাজে ব্যস্ত হয়ে পরতে হতো  এবং সংগ্রহকৃত কাঁচা রস এবং রসের তৈরী মিঠাই মানুষের ঘরে ও হাট-বাজারে বিক্রি করে যে অর্থ পাওয়া যেত তা দিয়ে সংসার চলত। এখন সেই খেজুর গাছ নেই। আধুনিকতার ছো‍ঁয়ায় সেই দিনের গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে। যার ফলে এই পেশা ছেড়ে দিয়ে এখন দিন মজুরি কাজ করে সংসার চালাতে হচ্ছে।

জামান / জামান

সোনাদিয়ার চর থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনের দায়ে এক ব্যাক্তিকে ৪ লাখ জরিমানা

আ.লীগের প্রায় ৩০ হাজার সন্ত্রাসীকে ভারতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ হাসনাত আবদুল্লাহর

বাঁশখালীতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্যে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত

ভূরুঙ্গামারীতে বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

হাটহাজারীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান

শ্যামনগরে উপজেলা পর্যায়ে সরকারী ও বেসকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত

রায়গঞ্জে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বোরো ধানের হাইব্রিড বীজ বিতরণ

বাংলাদেশে ইসলাম নিয়ে এসেছেন অলি-আউলিয়ারা, রাজনৈতিক দল নয়—পীর সাহেব ছারছীনা

নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ: আইডিয়াল স্কুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা

টঙ্গীতে রনি'র সমর্থনে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী ৭ নেতার প্রস্তুতি সভা

কুমিল্লায় বেগম রোগমুক্তি কামনায় হাজী ইয়াছিনের উদ্যোগে কুরআন খতম ও দোয়া

নাচোলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘নাচোল সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব’-এর কার্যালয় উদ্বোধন

সুবর্ণচরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা