তাজউদ্দীন মেডিকেলে
উপ-পরিচালক ও চিকিৎসকসহ ১১০ পদ শূণ্য, চিকিৎসা সেবা ব্যহত

গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলে উপ-পরিচালক ও চিকিৎসকের (প্রথম শ্রেণির) ১৫টি পদসহ ১১০ পদ শূণ্য রয়েছে। এতে করোনাকালে চিকিৎসাসহ প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলের পচিালক তপন কান্তি সরকার জানান, প্রায় দুই মাস ধরে হাসপাতালে উপ-পরিচালক পদ শূণ্য রয়েছে। এ ছাড়াও সার্জারী বিভাগের একজন সিনিয়র কনসালটেন্ট, প্যাথলজি/ডেন্টিস্ট্রি বিভাগের দুইজন সিনিয়র কনসালটেন্ট, একই বিভাগের একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট, ইএনটি বিভাগের একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট, চক্ষু বিভাগের একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট, একজন আবাসিক চিকিৎসক/সার্জন, একজন প্যাথলজিস্ট, দুইজন ক্লিনিক্যাল প্যাথলজিস্ট, শিশু বিভাগের একজন রেজিস্ট্রার ও দুইজন সহকারি রেজিস্ট্রার, রক্তসঞ্চালন বিভাগের একজন সহকারি রেজিস্ট্রার, জরুরী বিভাগের ও একজন ডেন্টাল জুনিয়র কনসালটেন্টসহ ১৫টি পদ শূণ্য রয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি গাজীপুর শহরে অবস্থিত। গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে এখানো রোগীরা আসেন। একসময় এটি গাজীপুর সদর হাসপাতাল নামেই পরিচিত ছিল। ২০১১সালে থেকে হাসপাতালটি ৫০শয্যার হাসপাতাল থেকে ১০০শয্যার হাসপাতালে যাত্রা শুরু করে। পরে ২০১৪ সালে সদর হাসপাতালটি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী গাজীপুরের কাপাসিয়ার কৃতি সন্তান তাজউদ্দীন আহমদ’র নামে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামকরণ করা হয় এবং হাসপাতালটি ৫০০ বেডে উন্নীত করা হলেও পাঁচশ বেডের জনবল এখানে নেই।
তিনি আরো জানান, সদর হাসপাতাল থাকাকালে মঞ্জুরীকৃত ১ম শ্রেণির পদ ছিল ১৮টি। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হওয়ার পর মোট মঞ্জুরীকৃত পদ সংখ্যা হয় ৯৭। কিন্তু বর্তমানে এ হাসপাতালে উপ-পরিচালকও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ১ম শ্রেণির ১৫টি পদ শূণ্য রয়েছে। একই ভাবে সদর হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির ২০জনের স্থলে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হওয়ার পর মোট ১১১টি পদ মঞ্জুরী পেলেও সেখানে এখনও ৬২টি পদ শূণ্য রয়েছে। ৪র্থ শ্রেণির ২১ থেকে বেড়ে ৪৬টি পদ হলেও বর্তমানে সেখানে পদ শূণ্য রয়েছে ৩৩টি। এ পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, সবমিলে ৬৬৮মঞ্জুরীকৃত পদ তথা জনবলের মধ্যে ৫৫৮টি পদ পূরণ হলেও বর্তমানে খালি রয়েছে ১১০টি পদ।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলের পচিালক তপন কান্তি সরকার জানান, এখানে দ্বিতীয় শ্রেণির মঞ্জরীকৃত ৪১৪টি পদ পূরণ হয়েছে। তবে হাসপাতালে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইটসোর্সিং/ কর্মচারী নেই। বর্তমানে ৯০জন আউটসোর্সিং কর্মচারী কাজ করছে। সম্প্রতি ১৩০জন আউটসোর্সিং/কর্মচারীসহ অন্যান্য শূণ্যপদে নিয়োগের জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত খালিপদগুলো পূরণ হয়নি। এমনিতেই জেলার প্রধান হাসপাতাল হিসেবে রোগীর চাপ বেশি তারপরও করোনাকালে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক ও নার্স করোনা আক্রান্ত হওয়ায় হয়ে পড়ায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দাঁতের চিকিৎসা নিতে গাজীপুর মহানগরীর ভুরুলিয়া এলাকা মুক্তা বেগম (২৫) ও তার স্বামী নাসির উদ্দিন (৪৫) বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় গিয়ে হাসপাতালের বহির্বিভাগে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। দুপুর একটাও তারা ডাক্তার দেখাতে পারেননি। তার মতো কাপাসিয়া থেকে আব্দুস শুকুর (৪৬)সহ অনেকেই লাইনে অপেক্ষা করছেন। পরে সেখানে কর্মরত ডেন্টাল সার্জন এমএ কুদ্দুস জানান, আমাদের এখানে দুইজন ডেন্টাল কনসালটেন্ট পদ শূন্য রয়েছে। এ অভাব পূরণ হলে হয়তো রোগীদের ভোগান্তি কমতো।
বুধবার দুপুরে হাসপাতালের আউটডোরে দেখা গেছে অন্যদের সঙ্গে গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার বাসিন্দা এম কে সারোয়ার (৬০) কিডনী রোগের ডাক্তার দেখানোর জন্য অপেক্ষা করছেন। তিনি জানান, প্রায় ১ঘন্টা ধরে লাইনে অপেক্ষা করছি কিন্তু ডাক্তারের কাছে যেতে পারি নাই। সেখানেও ছিল রোগীদের দীর্ঘ লাইন। সেখানে চিকিৎসক মো. খায়রুজ্জামান জানান, এ হাসপাতালে ইউরোলজি বিভাগের বিষেজ্ঞ পদ নেই। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এখানে (ওএসডি) পদায়ন পেয়ে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তবে এখানে রোগীর চাপ বেশি থাকায় রোগীদের কিছুটা ভোগান্তিতো হচ্ছেই। অন্যান্য বিভাগেই রোগীদের ভিড় দেখা গেছে।
এছাড়াও একজন রেডিওগ্রাফার হাসপাতালের এক্স-রে, সিটিস্ক্যান ও এমআরআই মেশিন চালন। এখানেও পর্যাপ্ত লোকবল নেই। মূলত এখানে অতিরিক্ত পদই নেই। তাই এ বিভাগে পদ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (রেডিওগ্রাফার) মো. মোফাজ্জল হোসেন খান বলেন, এ বিভাগে ৯জন টেকনোলজিস্ট দরকার তার মধ্যে আমি একাই সিটিস্ক্যান, এমআরআই ও এক্স-রে মেশিন চলাতে হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে এক্সরে বিভাগে একজন অনারারী টেকনোলজিস্ট কাজ করছেন। এ বিভাগের সহকারি রেজিস্ট্রার মো. রাজিব হোসেন জানান, এ বিভাগে চিকিৎসক ও টেকনেশিয়ান সংকট রয়েছে। কমপক্ষে আরো চারজন টেকনোশিয়ান হলে সিটিস্ক্যান ও এমআরআইসহ সংশ্লিষ্ট কাজে আরো গতি পেত। মানুষেরও ভোগান্তি কমতো।
শাফিন / শাফিন

বিশ্ব বসতি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সাতক্ষীরায় দুর্নীতি ও অনিয়র অভিযোগে সিভিল সার্জনের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

পটুয়াখালীতে দক্ষিণ বাংলা সমাজকল্যাণ সংস্থার চারা বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত,

বিলাসপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়কের বিরুদ্ধে জাল দলিল ও প্রতারণার অভিযোগে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ১২২৭ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে নিমজ্জিত

মানিকগঞ্জে স্বর্ণের দোকানে লুটের ঘটনায় মূলহোতা দোকানের মালিকসহ গ্রেফতার ৩

জীবননগর হাসপাতালে শয্যা ও চিকিৎসক সংকট, ভোগান্তিতে সাধারণ রোগী

গোপালগঞ্জে বিশ্ব বসতি দিবস পালিত

আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ছয় ইউনিট

পঞ্চগড়ে ইন্টার্নশিপ বিদ্যালয়ে সহকারি দুই শিক্ষক অনুপস্থিত, একজন হাজতে, ব্যবস্থা নেয়নি কেউ

কোটালীপাড়ায় মায়ের সাথে অভিমান করে মাদ্রাসা ছাত্রের আত্মহত্যা

টেকনাফের বাহারছড়ার গহীন পাহাড়ে কোস্ট গার্ড ও নৌবাহিনীর যৌথ অভিযান

লাকসামে ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ কাউন্সিল’২৫ অনুষ্ঠিত
Link Copied