ক্ষমতার চাদরে ঢাকা পড়ছে রাজনীতির চর্চা ?
চট্টগ্রামে ৯০ দিনের কমিটি দিয়ে ৯ বছরে যুবলীগ!
৩ মাস বা ৯০ দিনের সময়সীমা দিয়ে গঠিত হওয়া আহবায়ক কমিটি দিয়ে ৯ বছর পার করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ। এই সময়ের মধ্যে পুর্ণাঙ্গ কমিটি না করা বা নতুন কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন পদ না পাওয়া অনেক ত্যাগী সাবেক ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা। তবে কি দীর্ঘ বছর যাবৎ ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণের ফলে নতুন কমিটি করার আগ্রহ হারাচ্ছেন শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ? নাকি ক্ষমতার চাদরে ঢাকা পড়ছে রাজনৈতিক চর্চা? এভাবে চলতে থাকলে নেতৃত্ব জটের আশঙ্কাও করছেন অনেকে। ত্যাগীদের মুল্যায়ন না করার ফলে ভাল মানের নেতা তৈরি হওয়া নিয়ে সংশয় থেকে যেতে পারে বলে মনে করছেনর অনেকে।
জানা যায় ২০১৩ সালের জুলাইয়ে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আহ্বায়ক ও ফরিদ মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খোকা, দিদারুল আলম দিদার, মাহাবুবুল হক সুমনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। কিন্তু ৯ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি সেই আহ্বায়ক কমিটি । দীর্ঘদিন পার হয়ে যাওয়ায় এখন ওই কমিটি অনেকটাই নামসর্বস্ব। বয়সের কারনে এই কমিটির অনেক নেতাই হয়তো আর থাকতে পারবেনা যুবলীগে।
বিগত ২০১৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করার কথা জানিয়েছিলেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। পরে নানা বিতর্কে কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় রকমের পরিবর্তণের ফলে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। তৃণমুলের নেতারা আশায় বুক বেধেছিলেন নতুন কমিটি হয়তো চট্টগ্রামের যুবলীগ নিয়ে কিছু একটা করবেন কিন্তু সেই আশায়ও গুড়ে বালি।
এদিকে গুরুত্বপুর্ণ পদে আসতে যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান শতাধিক নেতা দিনরাত পরিশ্রমের পাশাপাশি চালাচ্ছেন জোর লবিং। তবুও কিছুতেই যেন মন গলছে না কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের। অন্যদিকে যুবলীগের গঠনতন্ত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতার ফলে অনেকেই বাদ পড়বেন আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠন থেকে। ফলে নির্দিষ্ট পদ ব্যবহারের স্বপ্ন যেন কখনোই ধরা দিবেনা তাদের। নামের আগে পিছনে নগর যুবলীগ নেতা অথবা সাবেক নেতার পরিচয়েই দিন কাটছে তাদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতা জানান যারা রাজনীতি করে তাদের প্রত্যেকেরই কোননা কোন চাওয়াপাওয়া থাকে তবে এখানে আর্থিক নয় মুল চাওয়াটা হচ্ছে ত্যাগ ও কর্মের মুল্যায়ন করা। তাও যদি না হয় তাহলে নতুনরা রাজনীতিতে আগ্রহ হারাবেন, ভাল মানের নেতা তৈরি হবেনা, একসময় নেতৃত্ব সংকটে পড়বে এধরণের দলগুলো। সুতরাং রাজনৈতিক চর্চা ধরে রাখতে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির বিকল্প নাই। যারা দীর্ঘ দিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন নিজেদের বা দলের স্বার্থে তাদের উচিত আওয়ামী লীগে চলে যাওয়া যাতে ত্যাগী ও মেধাবীরা তাদের যোগ্য মুল্যায়ন পায়।
জানা যায় ২০১৩ সালের জুলাইয়ে মহিউদ্দিন বাচ্চুকে আহ্বায়ক ও ফরিদ মাহমুদ, দেলোয়ার হোসেন খোকা, দিদারুল আলম দিদার, মাহাবুবুল হক সুমনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় যুবলীগ। কিন্তু ৯ বছরেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারেনি সেই আহ্বায়ক কমিটি । দীর্ঘদিন পার হয়ে যাওয়ায় এখন ওই কমিটি অনেকটাই নামসর্বস্ব। বয়সের কারনে এই কমিটির অনেক নেতাই হয়তো আর থাকতে পারবেনা যুবলীগে।
বিগত ২০১৯ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি করার কথা জানিয়েছিলেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির তৎকালীন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। পরে নানা বিতর্কে কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় রকমের পরিবর্তণের ফলে তা আর আলোর মুখ দেখেনি। তৃণমুলের নেতারা আশায় বুক বেধেছিলেন নতুন কমিটি হয়তো চট্টগ্রামের যুবলীগ নিয়ে কিছু একটা করবেন কিন্তু সেই আশায়ও গুড়ে বালি।
এদিকে গুরুত্বপুর্ণ পদে আসতে যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান শতাধিক নেতা দিনরাত পরিশ্রমের পাশাপাশি চালাচ্ছেন জোর লবিং। তবুও কিছুতেই যেন মন গলছে না কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের। অন্যদিকে যুবলীগের গঠনতন্ত্রে বয়সের সীমাবদ্ধতার ফলে অনেকেই বাদ পড়বেন আওয়ামী লীগের এই অঙ্গ সংগঠন থেকে। ফলে নির্দিষ্ট পদ ব্যবহারের স্বপ্ন যেন কখনোই ধরা দিবেনা তাদের। নামের আগে পিছনে নগর যুবলীগ নেতা অথবা সাবেক নেতার পরিচয়েই দিন কাটছে তাদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক নেতা জানান যারা রাজনীতি করে তাদের প্রত্যেকেরই কোননা কোন চাওয়াপাওয়া থাকে তবে এখানে আর্থিক নয় মুল চাওয়াটা হচ্ছে ত্যাগ ও কর্মের মুল্যায়ন করা। তাও যদি না হয় তাহলে নতুনরা রাজনীতিতে আগ্রহ হারাবেন, ভাল মানের নেতা তৈরি হবেনা, একসময় নেতৃত্ব সংকটে পড়বে এধরণের দলগুলো। সুতরাং রাজনৈতিক চর্চা ধরে রাখতে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির বিকল্প নাই। যারা দীর্ঘ দিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন নিজেদের বা দলের স্বার্থে তাদের উচিত আওয়ামী লীগে চলে যাওয়া যাতে ত্যাগী ও মেধাবীরা তাদের যোগ্য মুল্যায়ন পায়।
নগর যুবলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে সাবেক ছাত্রলীগ এবং বর্তমান যুবলীগ নেতাদের অনেকেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে আলোচনায় আছেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক নেতা আবদুল মান্নান ফেরদৌস, নগর যুবলীগের সদস্য ও কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, ছাত্রলীগের সাবেক স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য দিদারুল আলম দিদার, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম আর আজিম, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা নুরুল আনোয়ারসহ অনেকেই। অন্যান্য পদের জন্য যারা মাঠে সরব ও নেতাদের মধ্যে আলোচনায় আছেন তারা হলেন নগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য প্রণব দাশ, সুরঞ্জিত বড়ুয়া লাভু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দীন, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, তানভীর আহমেদ রিংকু, নগর যুবলীগ নেতা শাহেদ হোসেন টিটু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য শেখ মহিউদ্দীন বাবু, সাইফুল আলম লিমন, খোরশেদ আলম রহমান, ইয়াছির আরাফাত, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, নগর যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, আবু মো. মহিউদ্দিন, জাবেদুল আলম সুমন, আসিফ মাহমুদ, সাখাওয়াত হোসেন সাকুসহ ৫ শতাধিক নেতা।
এব্যপারে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল হক রাশেল বলেন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সম্মেলনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর জেলা ও দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি করার উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু করোনার প্রাদুর্ভাবে সার্বিক দিক বিবেচনায় তা করা হয়ে ওঠেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আশা করছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এব্যপারে নগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন আমি এখন যুবলীগ নিয়ে ভাবছিনা আপনি অন্য কারো সাথে কথা বলেন।
এব্যপারে নগর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ বলেন আমি এখন যুবলীগ নিয়ে ভাবছিনা আপনি অন্য কারো সাথে কথা বলেন।
যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু বলেন , ছাত্রলীগের তৃণমূল রাজনীতি থেকে উচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়ে জনগণের মৌলিক অধিকার আদায়ে রাজপথে সবসময় সরব ছিলাম এখনো আছি আমার অর্জিত অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যুবলীগের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। শ্রম, মেধা ও অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে আগামীতে যুবলীগকে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে সামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিলের দিক নির্দেশনায় গতানুগতিক যুবলীগের বাইরে গিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার একটি শ্রেষ্ঠ আদর্শ যুব সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে কাজ করে যাব। আসন্ন কমিটিতে আমাকে যদি নগর যুবলীগের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাহলে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করে বঙ্গবন্ধু কণ্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে সর্বদা সচেষ্ট থাকব।
এ বিষয়ে নগর যুবলীগের সিনিয়র সদস্য ও ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিরর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, ৯ বছরে পুর্ণাঙ্গ কমিটিতো হয়নি এমনকি নগরের সকল থানা এবং ওয়ার্ড কমিটিও করতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ার কারণে অনেক কর্মী পদ বঞ্চিত হয়েছেন। নিয়মিত সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি হলে নেতৃত্ব সৃষ্টি হত। সামনে জাতীয় নিবার্চন এই মুহুর্তে যুবলীগকে সাংগঠনিকভাবে চাঙ্গা করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে ত্যাগী,পরিশ্রমি ও মেধাবীদের সমন্বয়ে একটি নতুন কমিটি দরকার। তাকে মূল্যায়ন করা হলে তিনি তৃণমূল পর্যায়ে ঝিমিয়ে পড়া যুবলীগকে আরো শক্তিশালী ও বেগবান করতে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের দায়িত্বশীলদের সাথে আলোচনা করে ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে তৃণমুলের হাতে নেতৃত্ব তুলে দেওয়ার চেষ্টা করব।।
নগর যুবলীগের পদ প্রত্যাশী সাহেদ হোসেন টিটু বলেন ছাত্রলীগ করেছি এখন দীর্ঘদিন ধরে যুবলীগের রাজনীতি করছি সম্মেলন হলে আমার ত্যাগ ও নেতৃত্ব বিবেচনা করে মহানগরের ভাল পদেই আমাকে রাখবেন আশা করছি। তবে দীর্ঘ দিন ধরেই সম্মেলন হওয়ার খবর শুনে তৃণমূলের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু না হওয়ায় আবার ঝিমিয়েও পড়ছেন অনেকে।
উল্লেখ্য গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, প্রতি তিন বছর অন্তর সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা থাকলেও গত ১৯৮৯-৯০ সালে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের ৬৭ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছিল, ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন নোমান আল-মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন শফিকুল হাসান। এরপর ২০০৩ সালের জুলাই মাসে মহানগর যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। ২০০৮ সাল থেকে অধ্যাবদি ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগের গঠিত সরকার।
এমএসএম / এমএসএম
থামছেই না ছড়াও, দখল করে ভবন নির্মাণ কাজ
বাঁশখালীতে রিক্সা চালক শ্রমিক কল্যাণ ইউনিয়ন নির্বাহী কমিটির বার্ষিক সাধারণ সভা
নোয়াখালীতে যৌন-প্রজনন স্বাস্থ্য ও লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধ সভা
চাঁপাইনবাবগঞ্জ -২ এ,ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জি: মাসুদ'কে চায় সাধারণ মানুষ ও বিএনপি'র নেতাকর্মীরা
পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে শ্রমিক দলের আহ্বায়ক জুয়েলের বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ
কাউনিয়ায় মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টায় পিতা পুলিশের হাতে
বাঁশখালীতে জমি বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত, গ্রেপ্তার-৩
নন্দীগ্রামে সিএনজি চালককে অপহরণ ও মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সুবর্ণচরে আশার আলো সমাজ কল্যাণ সংগঠনের বৃক্ষরোপন কর্মসূচি
সহকারী এটর্নি জেনারেল হলেন পেকুয়ার কেএম সাইফুল ইসলাম
৭ই নভেম্বর উদযাপন ও খন্দকার নাসিরের মনোনয়ন এর দাবিতে মধুখালী বিএনপির জরুরী সভা
ভোলা-১ আসনে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করবে বিজেপি, নির্বাচনি প্রচার ও র্যালী অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় চালককে হত্যা করে অটোরিক্সা ছিনতাই
Link Copied