কমলগঞ্জে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও নৈশপ্রহরী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের ইউনিয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও নৈশপ্রহরী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজশে এ নিয়োগ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে মোটা অংকের বিনিময়ে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্যকে কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ৪ সদস্য ও চাকরিপ্রত্যাশী তিন প্রার্থী কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, ১৯৯৪ সালে কমলগঞ্জের মুন্সীবাজারের রামপুরে প্রতিষ্ঠিত ইউনিয়ন আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী ও নৈশপ্রহরী নিয়োগে গত ২৭ অক্টোবর জাতীয় দৈনিকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে ৭ জন ও নৈশপ্রহরী পদে ৪ জন আবেদন করেন। এদের মধ্যে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য বিপুল চন্দ্র মালাকার আবেদন করেন। কিন্তু বিজ্ঞপ্তির শর্ত মোতাবেক কাগজপত্র জমা না দেয়ায় দাতা সদস্য বিপুলের আবেদন বাতিল করে অপর প্রার্থীদের পরীক্ষা নিতে গেলে নিয়োগ বোর্ডের দুই প্রভাবশালী সদস্যের আপত্তির মুখে পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গত ১৩ জানুয়ারি নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয়। ওই দিন স্ব-স্ব পদে আবেদনকারী প্রার্থীরা পরীক্ষায় অংশ না নেয়ায় বহিরাগত কয়েকজনের পরীক্ষা নেয়া হয়। ওই পরীক্ষা চলাকালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্য আম্বর আলী ও মদরিছ আলী অবৈধভাবে পরীক্ষা না নেয়ার জন্য নিয়োগ বোর্ডের সদস্যদের প্রতি দাবি জানান। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডের ডিজি প্রতিনিধিসহ বোর্ডের সদস্যরা তাদের দাবি আমলে না নিয়ে বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য বিপুল চন্দ্র মালাকারকে কম্পিউটার ল্যাব সহকারী পদে এবং মিজু আহমেদকে নৈশপ্রহরী পদে নিয়োগের জন্য চূড়ান্তভাবে সুপারিশ করা হয়। অথচ নিয়োগের সুপারিশ করা দুই প্রার্থীর শিক্ষাগত ও অভিজ্ঞতা সনদ জাল বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিয়োগ বোর্ডের এক সদস্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নয়-ছয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখানে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার কোনো মূল্যায়ন করা হয়নি। অবৈধ লেনদেনকেই প্রধান্য দেয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের নিজের পছন্দমতো প্রার্থীকে উৎকোচের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন। একই প্রক্রিয়ায় আয়া পদেও নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এদিকে বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলপূর্বক অনিয়ম তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২০ জানুয়ারি কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির ৪ সদস্য মদরিছ আলী, আম্বর আলী, হেলেনা আক্তার, নোমান আহমেদ ও চাকরির আবেদনকারী তিন প্রার্থী লুৎফুর রহমান, জাহিদুল ইসলাম ও আকরাম হোসেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানিক কান্তি পাল বলেন, নিয়োগ বোর্ডে কী হয়েছে এবং নিয়োগকৃতদের সনদ জাল কি-না সেটা যাচাই করা আমার কাজ নয়। সেটা দেখবে নিয়োগ কমিটি। তাই সেখানে লেনদেনেও আমার কোনো সুযোগ নেই।
প্রধান শিক্ষকের এমন মন্তব্য নিয়োগের কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি নানা টালবাহানায় কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
বিদ্যালয়ের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়া যথাযথ আইনসিদ্ধভাবেই হয়েছে। এর বাইরে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আলাপকালে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত করছেন। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমএসএম / জামান

কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি নম্বর ক্লোন করে প্রতারণার চেষ্টা

'মাছে ভাতে বাঙালি' প্রবাদটি বর্তমানে শুধুমাত্র বইপুস্তকেই সীমাবদ্ধ

তালায় বিএনপি'র ত্যাগী ও পরীক্ষিত এক যোদ্ধার নাম আব্দুর রকিব সরদার

অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণে জলাবদ্ধতায় শত একর জমি চাষের অনুপযোগী

পেকুয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতা নিহত

বরিশালের বাকেরগঞ্জ নিয়ামতি ইউনিয়নে বিএনপি'র পথসভা অনুষ্ঠিত

মাদকমুক্ত টুঙ্গিপাড়া গড়বঃ নবাগত ওসি

ফলন বিপর্যয়ের শঙ্কা" তানোরে আমন খেতে সাতরা পোকার আক্রমণ

কুমিল্লার মহাসড়ক দখলমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

ঈশ্বরদীতে মৎস্য পোনা অবমুক্ত করণ করা হয়েছে

লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় সভা

মাতাশমঞ্জিল মুক্ত খেলাঘরের উন্নয়নকল্পে ১ লক্ষ টাকা অনুদান দিলেন ছাত্রনেতা শামীম হোসেন

ত্যাগি নেতা জহুর আলম জহুর সংবর্ধীত
Link Copied